আপনার উপর আক্রমণ দেখে যদি মরমে মরে যেতে ইচ্ছা করে, যদি ঘুমাতে না পারি, যদি মাঝরাতে পথে পথে ঘুরে বেড়াই ছেড়ে দেয়া সিগারেট দু আঙুলে নিয়ে, যদি উলট পালট হয়ে যায় সবকিছু, তখন আমি কী করব? আপনি যে পথে হেঁটেছেন, সেটাই হোক আমার অবলম্বন...
* তীব্র অমানবিকতা নিয়ে আপনার চাচার কলিজা চিবিয়েছিলেন হিন্দা- তাও যুদ্ধে খুন করার পর। আপনি কখনো কাউকে জোর করে নিজের নীতিতে আনেননি, আনতে দেননি। কিন্তু হিন্দা মক্কার পতনের পর নিজেই আপনার নীতিতে আসতে চাইলেন। শর্ত, হামজার অবমাননা ক্ষমা করতে হবে! আপনি প্রিয়তম চাচার কলিজা চিবানো ওই মহিলাকে ক্ষমা করলেন!
আমি আপনার অবমাননাকারীদের জন্য যে ব্যক্তিগত কষ্ট পেয়েছিলাম, অন্তরের অন্তস্থল থেকে ক্ষমা করলাম। আমি আপনার অনুসারী। অন্তত হতে চাই।
* আপনাকে কেউ একজন বলল, মুহাম্মাদ! তুমি আমাকে আইনি কোন একটা ব্যাপারে শাস্তি দিয়েছিলে। শাস্তিটা ন্যায্য, কিন্তু তোমার উপর আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষিপ্ত। চাদর সরিয়ে দাও, পিঠ অনাবৃত কর, আমিও তোমার পিঠে চাবুকের আঘাত করব।
আপনি অনাবৃত করে দিলেন। ওই লোক পিঠে কী যেন একটা ডিম্বাকৃতির চিহ্ন খুঁজতে চেয়েছিলেন মূলত। সেটা পেয়ে চুম্বন করতে করতে কেঁদে কেঁদে বললেন, হে প্রভুর প্রেরিত! আমি আপনাকে ভালবাসি। আমি আপনার চরণে সমর্পিত!
আমিও আপনাকে ভালবাসতে চাই। আমিও আপনার চরণে সমর্পিত হতে চাই আপনার নীতিতে।
* কোন এক মুসায়ী আপনার কাছে এল। তাকে নিজের উপাসনালয় ছেড়ে দিলেন উপাসনা করার জন্য? নিজের মসজিদে শুতে দিলেন রাতে? নিজের খাবার দিলেন পাঠিয়ে? নিজের কম্বল দিলেন গায়ে দিতে? তারপর, সে যখন ইচ্ছা করে আপনার পবিত্র উপাসনালয় অপবিত্র করে বেরিয়ে গেল, পরদিন ফিরে এল ভুল করে ফেলে রাখা তরবারি নিয়ে যেতে, আপনি তার অসুবিধা হয়েছে বলে বিপরীতভাবে আফসোস করলেন?
আপনার আগমনে শুভেচ্ছা।
কম করে কিছু দেননি আমাকেও। আমার ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা নিন। কাজী নজরুলের কন্ঠে আমার শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন,
'ভালবাসা পায়নি যে জন,
রাসূল তাকে ভালবাসে!'
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:১২