একেবারে সহজ কথায় সুফিজমের ভিতর দিয়ে একটা ট্যুর হয়ে গেলে কেমন হয়? তাসাউউফ জিনিসটা কী, সেটুকু, ব্যস। কোন জটিলতার কচকচি নেই, নেই বিশাল বিশাল দুর্বোধ্য রেফারেন্স ও কথা... হুম। দারুণই হয়।
সো, লেটস রক!
সুফিজম বলতে কিস্যু নেই...
মারবেন না আমাকে ভাই, কথাটা সত্যি।
সুফিজম বলতে আলাদা কিস্যু নেই। এটা হল স্রেফ একটা বাজার-চলতি নাম। যেন একটা নাম দেয়া দরকার, সেজন্যেই দেয়া। কারণ, শাশ্বত সমর্পিত শান্তির ধর্মে, যাকে গালভরা শব্দে আরবিতে বলি আদ্-দ্বীন আল্ ইসলাম- সেটায় যা আছে তার সবই আছে সুফিজমে। আবার, সুফিজমে এমন কিছুই নেই, যা ইসলামে নেই। যাহা ইসলাম, তাহাই সুফিজম।
তাহলে নামটা এলো কেন?
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লা আলাইকা’র সময় একদল সাহাবি রাদ্বিআল্লাহ্ ছিলেন, যাঁরা একটা ছাউনির নিচে থাকতেন, সুদীপ্ত মদিনায়। ছাউনি শব্দটা থেকেই এসেছে সুফি শব্দটা। আবার এসে থাকতে পারে তাঁদের পশমী পোশাকের জন্যও।ওই সাহাবিরা অতি নিবেদিত। ব্যবসা-বাণিজ্য-চাষাবাদ কিছু করতেন না, এমনকি থাকতেন না পরিবারের সাথেও। তা তিনি মক্কা থেকে এসে থাকুন বা এই মদিনারই অধিবাসী হোন না কেন- যিনি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রেমে হিতাহিত জ্ঞানশূণ্য হয়ে গিয়েছিলেন, তিনিই এসে পড়তেন এই তিনদিক খোলা ছাউনির তলায়।
পুরো দলের মধ্যে হয়ত দু-চারজন কাঠ কাটতে গেলেন, বিক্রি করে সবার জন্য দু-চার টুকরা করে রুটির জোগান দেখবেন- বাকিরা ওই ছাউনিতেই। রাসূলের গোলামিতে। তাঁর পায়ের তলায়। দিন নেই, নেই রাত নেই। গ্রীষ্ম-শীত-ধূলিঝড় নেই। তাঁদের না আছে এক টুকরা বাড়তি কাপড়, না একটা বাক্স-পেঁটরা। দাঁড়াতে পারেন না, অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাস- এই এঁরাই আবার কী করে যেন রাতের পর রাতের পর রাত পার করে দেন সালাতে।
দয়ার আকর রাসূল সালাওয়াতুল্লাহ্ও তাঁদের ছাড়া খাবেন না। বসবেন না। উঠবেন না। এই আসহাবে সুফফারা দিনের পর দিন রোজা রেখে রাতের পর রাত কুরআন তিলাওয়াত ও আধ্যাত্ম্যসাধনায় এমন মগ্ন ছিলেন, যে ইসলামের ব্যবহারিক প্রকৃত রূপ হিসাবে তাঁদের দেখেই মানুষ দলে দলে শামিল হত। এসে পড়ত তাদের পান্ডিত্য দেখে, মোহ- বরজনের আজব মোহ দেখে।
এটাইতো সুফিজম।না, না। এভাবে যারা করেছেন, তারাই শুধু সুফী নন। ইসলামের পূরো রীতিটা যেই অনুসরণ করেন, শেষতক তিনিই সুফী।
অথবা, আমরা আরো একটু খতিয়ে দেখতে পারি সুফিজমকে।
রাসূল সাল্লাল্লাহ্’র সময়কালের অনেক আগে আসহাবে ক্বাহাফ বা গুহাবাসী ধ্যানীদের কথা তুলে আল্লাহ্ সূরা কাহাফে বলছেন, হে প্রিয়, আপনিতো দেখেছেন ওই গুহাবাসীদের কোন দিক দিয়ে সূয্য উঠে আসত আর ছায়া পড়ত কত লম্বা...
একই কাহিনি আমরা পাই তূর পাহাড়ে। খোদাপ্রেমমত্ত নবী মূসা আলাইহিস সালাম কেমন করে পরিণামে জ্বালিয়ে দিলেন তূর!
আর রাসূল সালামুল্লাহ্? তাঁর মাত্র ৬৩ বছরের কায়িক অবস্থানের চার ভাগের একভাগই চলে গেল জন-অরণ্যের বাইরে। পনের বছর। পনের বছর চার মাস! ধ্যানমগ্ন। গালভরা আরবিতে বলি, মোরাক্বাবা।আর জলের মত বাংলায় বললে, সারা দিন-রাত গুহায় একতালে বসে থেকে শুধু ভাবনা চিন্তা আর হিসাব মিলানো। তিনি তাঁর এই ৬৩ বছরে আর কোন কাজ করেননি, যার একক যোগফল এতবড় হতে পারে। ফলাফল? পড়ুন! আপনি পড়ুন আপনার স্রষ্টার নামে, যিনি শিক্ষা দিয়েছেন মানবকে কলমের দ্বারা...
এই আজব ব্যাপার কি এখানেই শেষ? না তো। হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া আসহাবিহী ওয়াসাল্লাম কতদিন তক না খেয়ে থেকেছেন একাধারে? ইসলাম আসার পরও, ত্রিশ-চল্লিশ দিন। সম্পদের তাঁর অভাব ছিল না। সত্তর উট যিনি কুরবানি দেন, তাঁর না খেয়ে থাকতে হয় না।
মানুষ কক্ষনোই না খেয়ে ২৩ দিন এর বেশি বাঁচবে না। তিনি কেমনধারা মানুষ, আর তাঁর কেমনধারা সাধনা!সাহাবি রাদ্বিআল্লাহুআনহুম প্রশ্ন করেন, আমরা থাকতে চাই এতদিন। তিনি বলেন, আমি তোমাদের মত না।
সাহাবিরা তো জানতেনই, তিনি তাঁদের মত না। তাইতো কথায় কথায় বলতেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আপনার আলোকিত চরণে আমাদের বাবা-মা ক্বুরবান... তাইতো তাঁরা তাঁর চুল মুবারক, পবিত্র থুতু, কফ, অজুর পানি এমনকি রক্তও পান করে ফেলতেন।
আজব ভালবাসনেওয়ালা ওই দেড়-দু লক্ষ সাহাবি।
আমাদের সাথে একদমই মেলে না। হয়ত এজন্যই তারা সব প্রশ্নের উর্দ্ধে। তাদের ঈমানও সব প্রশ্নের উর্দ্ধে, ভালবাসাও।
আমরা বুঝতেই পারি না, কোন যুক্তিতে এমন কাজ করেন। আমাদের সাথে একদমই মেলে না।
কথায় কথায় বলেন, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল যেভাবে বলেন... আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল যা চান... তাই হবে। সাহাবিদের এই শিক্ষাটাও কুরআন থেকে নেয়া। কুরআনে যে আল্লাহ্ নিজেই অসংখ্য জায়গাতে বলছেন, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল।
হে আবু বকর রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহু, আপনি ঘরের ছাইটুকুও এনে দিলেন, বাসার সবার জন্য কী রেখে এসেছেন?
ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে রেখে এসেছি।
মজার ব্যাপার হল, তখন কিন্তু সাইয়্যিদুনা আবু বকর রাদ্বিআল্লাহ্ আল্লাহ্র রাসূলের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।হয়ত তিনি কুরআন থেকেই জেনেছেন... আর এই রাসূল মু’মিনদের ঘরে সদয় উপস্থিতি রাখেন। তিনি শাহিদ তথা মুমিনের সব কাজের সাক্ষি, মুবাশ্শির, তথা মুমিনকে ভুল থেকে ঠিকের দিকে নিজ গাইডেন্সে নিয়ে আসেন ও নাজির- তথা সব কাজ চাক্ষুষ প্রত্যক্ষকারী...
হয়ত তিনি শুনেছেন, আমি সব জাতির সব কাজের জন্য আনব একজন করে সাক্ষী, এবং এই সব জাতির সব কালের সবার কাজের সাক্ষীস্বরূপ আনব আপনাকে...
কুরআনের প্রথম ব্যাখ্যাকারী ছিলেন রাসূলের দ. চাচা হদ্বরত আব্বাস রাদ্বিআল্লাহ্’র ছেলে। এই সাহাবী ছেলেবেলায় রাতের পর রাত জেগে থাকতেন, আহা, কখন যেন আমার রাসূল চলে আসেন। বদনা হাতে তাঁবুর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতেন। যদি একবার সেবার সুযোগ পাই! আল্লাহ্’র রাসূল এত খুশি হলেন, বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন, খোদা আমার! তুমি ওকে ক্বিতাবের জ্ঞান ঢেলে দাও। সেই হদ্বরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিআল্লাহ্ তাফসীরে ইবনে আব্বাসে বলেন, আল্লাহ্’র পক্ষ থেকে একটা নূর, মানে রাসূল সালাওয়াতুল্লাহ্ এসেছেন।
সাইয়্যিদুনা হাসসান বিন সাবিত রাদ্বিআল্লাহ্ কতদিন যে মিম্বরে দাড়িয়ে নবীর নামে বানিয়ে বানিয়ে কবিতা বলেছেন, সুর করে তা গেয়েছেন বুকে হাত বেঁধে- তার ইয়ত্তা নেই। তাও আবার মসজিদে নববীতে। অনেক সময় স্বয়ং রাসূলুল্লাহ্র সামনে। রাসূল দয়া করে বলেও বসলেন, হাসসান! তোমাকে হাশরের দিন আমার সাথে করে নিয়ে যাওয়া তো ভালবাসার করণীয় হয়ে গেল!
এই ভালবাসার টানেই খেজুরপাতার অমসৃণ মাদুরে বসে এশিয়া-আফ্রিকা-ইউরোপের বিশাল রাষ্ট্র শাসন করেন সাইয়্যিদুনা উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বি আল্লাহ্! নিজে রাজাধিরাজ, তবু খিদমতগারকে নিজের উটে বসিয়ে নেয় কোন পাগল? যদি আল্লাহ্ ও রাসূলে পুরো সমর্পিত না হন? আসহাব ও আলে রাসূল দ. দের কতটা ভালবাসলে, শ্রদ্ধা করলে নিজের পরনের বাড়তি কাপড় নেই, অথচ উমার রাদ্বিআল্লাহ্ তাঁদের পবিত্র ক্ববরের উপর সমাধিক্ষেত্র তৈরি করেন!
পায়ের তলায় ক্বাবা, বিলাল রাদ্বিআল্লাহ্ আযান দেন রাসূলুল্লাহ্’র মুখে চেয়ে।বিলাল জানতেন, ঘর কাবা তো কিছু করতে পারবে না, পারেও নি কোনদিন। আল্লাহ্’র একত্ববাদ আপনিই তুলে ধরেছেন ভুবনে। আপনিই একত্ববাদের কেন্দ্র- যেখান থেকে সুবাস ছড়ায়।কী সুতীব্র, সুতীক্ষ্ণ ছিল তাঁদের দৃষ্টি, ভাবনা।
এই প্রত্যেক সাহাবির কাজে আমরা পাই অচিন্ত্য দৃঢ়তা।যা-ই তাঁরা করেন, জেনে শুনে বুঝে। তাতেই সফল। এটাই যে সত্য! এটাই যে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলার একমাত্র মনোনীত! পুরনো রীতি ও সংবিধান রদ হয়ে গেছে তো।
ঠিক এসব কারণেই ইসলাম আজ পৃথিবীর সবচে বেশি মানুষের জীবনধারা। একের পর এক ইরাক-আফগান নাটক করে, প্রতি দেশে দশ লাখ করে মানুষ মেরেও কাজ হচ্ছে না। বছর বছর দশ লাখ করে নানা ছুতোয় মারা যাচ্ছে মুসলমান, মারা যাচ্ছে এইডসের এক আজব সিন্থেটিক অভিশাপে, কিন্তু এই মুসলিমের ঝাড়বংশ কমেও না। নড়েও না।হবে কীভাবে? যে নূর স্রষ্টা জ্বেলেছেন, তা সৃষ্ট নিভাতে পারবে না।
তাইতো, কারবালায় সিজদারত সাইয়্যিদি সানাদি ওয়া মাওলায়ি হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু আনহুর মাথা মুবারক ছিন্ন হয়ে ধূলিতে লুটায়, দখলদার এজিদ বসে ক্ষমতায়। কিন্তু আজো সাহস করে আস্তাকুঁড় থেকে এজিদের নামটা তুলে আনে না নিতান্ত নপুংসক ছাড়া কেউ। হুসাইন বলতে মানুষ পাগলপারা। আরে, রাসূল দ. যে বলেছেন, আমি হুসাইন হতে, হুসাইন আমা হতে... হুসাইন আমার আধা শরীর, বাকী আধা হাসান। বেহেস্তে কেউ যুবক না হয়ে যাবে না। আর বেহেস্তের সব যুবকের মালিক আমার হাসান হুসাইন!
কাফির রাসুলুল্লাহ্ আলাইহিস সালামকে বলে বংশহীন। আল্লাহ্ কাফিরকে বলেন চিহ্নহীন। সেইসাথে জানান, রাসূলের জন্য রেখেছেন অগণন ফল্গুধারা। আজ পৃথিবীতে কত নবী-বংশধর আছেন, সেটা এই দিকই নির্দেশ করে।
তাসাউফের শিক্ষা আলাদা কিছু নয়।
তাইতো, সব হাদিস গ্রন্থের কিতাবুল ফিতান অধ্যায়ে লেখা আছে, শেষ যুগেও তোমরা বিভ্রান্তি থেকে বাঁচতে হলে অবশ্য অবশ্যই জনমানবশূণ্যতা বেছে নাও। নাহলে ঈমান রাখতে পারবে না। চলে যাও বনে, সেখানে লতাপাতা খেয়ে বৃদ্ধ হয়ে মারা যাও। তাও লোকালয়ে এসো না। এখানে ঈমান হারানোর শঙ্কা পুরোপুরি।তাও যদি লোকালয়ে ফিরে আসতে হয়, আল্লাহ্’র কোন প্রকৃত প্রতিনিধিকে পেলেই এসো।
তাসাউফে যাদেরকে বলা হয় শাইখ বা পীরে তরিক্বত, তারাই এই প্রতিনিধি। কারণ তাদেরকে আন্দাজে প্রতিনিধি সাব্যস্ত করা হয়নি। শুধু ডিগ্রি দেখে বা রাজবংশ দেখে তো নয়। তিনি যুগের পর যুগ কঠিন আধ্যাত্ম্যসাধনা করে এ অবস্থানে এসেছেন। ঠিক যে সাধনার ভিতর দিয়ে স্বয়ং রাসূল সালাওয়াতুল্লাহ্ গিয়েছিলেন, গিয়েছেন চার খলিফা, আসহাব- এমনকি হাসান বসরি, রাবেয়া বসরি, ইমাম আবু হানিফার মত তাবঈ যে তীব্র কষ্টকর আত্মমগ্নতার ভিতর দিয়ে গেছেন যুগ ধরে, যেভাবে স্মরণ করেছেন আল্লাহ্ তাআলাকে, ঠিক সেভাবেই। কুরুনে সালাসা বা তিন প্রজন্মের সুন্নাত অনুসারে।
এই শাইখকে নিজ হাতে স্থলাভিষিক্ত করেছেন তাঁর শাইখ।তাঁকে তাঁর শাইখ।অবিচ্ছিন্ন একটা ধারা গড়ে উঠেছে একেবারে রাসূল সাল্লাল্লাহ্ পর্যন্ত।এখানে ভুল হবার কোন সম্ভাবনা নেই। ইসলামের মূল শিক্ষা বিকৃত হবার কোন সম্ভাবনা নেই।কারণ, আল্লাহ্ বলছেন, যারা আল্লাহ্’র আউলিয়া, তাদের না আছে কোন ভয় এমনকি একটুও দুশ্চিন্তা। তাঁরা আল্লাহ্’র পক্ষ থেকেই ইলহামি কনফার্মেশন পান, কাকে নিজের জায়গাতে বসিয়ে যেতে হবে।কে পরিণত হয়েছেন আল্লাহ্’র বন্ধু তথা ওয়ালিতে।
আর ঠিক এই কথাটাকেই এখনকার ভাষায়, বিজ্ঞানের জবানে বলতে গেলে, ব্রেন ওয়েভ যখন থিটা বা ডেল্টায় নেমে যায়, তখন শুধুমাত্র একজন মেডিটেটর বা ধ্যানী বা মোরাকাবা-মুশাহিদাকারীই সচেতন থাকতে পারেন। আর এই লেভেলে স্পেস-টাইম ভেদ করে মন চলতে পারে।সময় যেহেতু ফিজিক্সে চতুর্থ মাত্রা, আর তিন মাত্রার মতই স্থির, তাই অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত বলতে আলাদা কোন কাল নেই। আমরা তিন মাত্রার বলে টের পাই না। সময়ের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হই। কিন্তু এখন ফিজিক্স ঠিকই স্বীকার করে, আমাদের মন মাত্রা ভেঙে যে কোন স্থানে যেতে পারে তাই নয়, যে কোন কালেও যেতে পারে- শুধু দরকার ঠিক মাত্রার ধ্যানী।
ফলে, ব্যবহারিক জীবনের পাশাপাশি কী যেন এক জগতের ছোয়া পাওয়া হয়ে যায়। সংযোগ স্থাপন হয় স্রষ্টার সাথে। নামাজ পরিণত হয় মি’রাজে।
ঠিক যে কাজটা করে গেছেন সাইয়্যিদুনা আলী কাররামাল্লাহ্। কী গভীর ধ্যানেই না তিনি নিমগ্ন ছিলেন নামাজে, যে টেরও পাননি পা থেকে তীর খুলে নিচ্ছেন সাহাবিরা!
আর কত বন্ধ দুয়ারের ওপাশ থেকে শোনার চেষ্টা, যে ওটার ঘ্রাণ কেমন! ঘ্রাণের কথা তো বাদই, তাসাউউফে একবার মাত্র মগ্ন হতে পারলে স্বাদও নেয়া হয়ে যায় স্থান-কাল-সীমানার ভিতরের সব এমনকি বাইরের অসীমটুকুর।
ওয়েলকাম, টু দ্য আনসিন ওয়ার্ল্ড অফ সুফিজম।
ভাঙা যাবে দেয়ালটুকু। নিশ্চিত।
তারপর?
সেই পুরনো কথা-
আমি আপনারে আজ চিনিয়াছি, মোর খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:৫৬