ভেসে ওঠা খড়ের আঁটি দেখে বুঝে গেছি
একদিন পুজো হয়েছিল
.
বিসর্জিত হয়েছিল কোনো এক কাশভর্তি ঋতুতে
শরীরে নারীচিহ্ন ফুটে আছে
.
উর্ধ্বপদ, হেঁটমুখে পদ্মনাভির সুতো আঁকড়ে
আমিও ভেসেছিলাম দশমাস–দেবতাদেহে
.
বলো মাঝি, কে কার প্রতিমা…!
.
বাকিটুকু পড়ুন

চলে যাচ্ছো গ্রহ ছেড়ে
ভরসা ওইটুকুই, আবার ফিরে আসবে
.
ছেড়ে যাচ্ছো ভাবলেই কান্না আসে
গলুইয়ে বসে সাবধানে খুলি নৌকোর-
ভেজাকুচি
চতুর আঙুল থেকে টুপটাপ গড়িয়ে পড়া
সংসারের খেয়াল
.
তোমার সফেদ আদর জের টানা হালখাতায়
তবুও
বেশ খরা মৌসুমে জল নিতে আসা জুমচাষীর থামি
নো ম্যানস ল্যান্ডের পতাকা হয়ে ওড়ে
.
টিভি স্ক্রলে দ্রুত প্রান্ত বদলায় খবর–
স্পর্শের কবুল ঘুঙুর..
. বাকিটুকু পড়ুন

ভেঙে গেলে
সূঁই দিয়ে কী সেলাই হতে পারে
আড়ালের সাঁকো
যতই জুড়ে যাচ্ছো শ্লেটের শরীর–
তারাফোটা ইমন-বলয়
ঝরে পড়ে স্বরগ্রাম, বাউলিয়ানা কৈশোর
.
মোছো শ্বেতলিপি-চারুময় ছায়াঘুম
তীব্র ঘর্ষণে মুছে ফেলো চকশব্দ
তৎসম অজস্র আঁখর
.
অতঃপর তাপ দাও উচ্চগ্রাম, জলের খরচে পাতন ঘটুক...
. বাকিটুকু পড়ুন

এখনি আসার সময় হলো
আঁজলায় খানিকটা জল নিয়ে
কতটা সমুদ্র অপেক্ষা করেছি
তোমার তো প্রহর খেয়াল থাকে না
খেয়াল থাকে না এভাবে ক’টি জলবর্ষ মিশে গেছে
হাওয়ায়
.
এখন জেলেদের ফিরে আসা দেখে
মনে হয়
কেও জলের বিশ্রাম ভেঙে দিয়েছে
.
আমি গঙ্গায় যাচ্ছি…
।
@ Pulak Biswas
বাকিটুকু পড়ুন

.
বুকের ডানদিকের ব্যথাটা আবার জেগে উঠছে
দল বেঁধে নামে মৃত্যুচিন্তা
এভাবে
মৃত্যুর স্বাদ ক’জন পায় বলো
.
আয়ু ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়
মরে যাচ্ছি আমি প্রতিদিন
একটু একটু করে
.
এ নির্জন বিকেলে
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ফাইনাল
চেক আপের জন্যে
দু’এক পা এগোলেই মনে হয়
অনামিকা ধরেছে কেউ
.
কী আশ্চর্য
ভুলগুলো বারবার নড়ে ওঠে
.
@ পুলক বিশ্বাস বাকিটুকু পড়ুন

.
তোমাকে এখনো পাঠ করি
স্বপ্নে-ভ্রমণে-গানে-কবিতায়
এসব জেনেও
নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে একরাশ হাহাকার ছাড়ো
বেশ লাগে
.
আমিতো কেবল খেলা করি অলস শব্দদের বাগানে
তবুও কী মনে হয়
ওই দূর পরবাসে
তোমার নাক-থুতনির ঘামবিন্দু
আমার নজর এড়িয়ে কবিতার জলে মেশে
.
বাকিটুকু পড়ুন

তোমার যৌবন যূথিকামালা, ওষ্ঠপুঠের ধ্রুপদী আহ্বান ছুঁতে
ভুল করি
ছোঁয়ার তাড়নায় জলে পা দিতেই ভাঙনের শব্দ শুনে
ফিরে আসি নদী থেকে
সন্তরণের ভয়ে পায়ে হাঁটি উপবনের গহিন পথ
-
উদাসীন কাঁটাঘাসের পিঠে মানচিত্র এঁকে
যেই বুকপকেটে আলো পুরে নিই
খুঁজে নিতে আঁকাবাঁকা ঢেউ
বায়ুরঙা কষ্টফুল তুলতে ঠেস দিয়ে দাঁড়াই
মেঘভেলার ছায়ায়
দ্যাখি আমি শেকল পরিয়ে দিচ্ছি ক্রমশ অসম্ভবের... বাকিটুকু পড়ুন

অজুহাতের মুখোমুখী গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি-
আগাম বর্ষার রঙ মেখে সময়ের আনাচকানাচ লুকোচুরি খেলে
ভো্টের দরবার
দেখা যায় পেরেকবিদ্ধ শৈবাল-প্রবালের সৃষ্টিজঠরে
পাপস্খলিত আগুনের ভিড়

জোনাকিদের হলুদ ছোটাছুটি সন্ধ্যারাগের সীমারেখায়
মুক্তো ছিনিয়ে কৃতকর্মের চালচিত্র দাপিয়ে বেড়ায়
নিকষ সুগন্ধীমাখা অন্ধকারে

তবুও ঋণের বোঝার মতো রোদের পিঠে আটকে যায় ঝিনুক–
সুদের চোরাবালিতে
লোনা বাতাসের সাথে ওড়া দীর্ঘশ্বাসও
কেবলি ঢুকে যায় জীবনকালের... বাকিটুকু পড়ুন

কেবলি বাড়ে ভুলের মাশুল, পাপের শর্করা
অলিগলিতে রোদ্রের আগুন পোড়ার পর মিথ্যে প্রতিশ্রুতির পসরা-
ক্রোধের কালো রোশনাই
রিমোর্টের বোতাম চেপে দুঃখ ছিটিয়ে বললে
আমি কিছু দেখি নাই…

অতঃপর যথারীতি এম.আর.আই. এর সুড়ঙ্গে
কখনো কোমায়
স্তিমিত হৃদকম্পে হাজারো অঙ্গ-ভঙিমায়
দেখা যায় মেরুদন্ডের জেলির মতো অংশের সাথে
ঝুলে আছে জীবন কোনো মতে

শীতলক্ষ্যার পিঙ্গলজলে দাঁড়িয়ে হিংস্র আগুনের ফলা
ছড়ালে প্রত্ননেশায়
স্বপ্নসাঁকো ভেঙে মেতে... বাকিটুকু পড়ুন