পৃথিবীর গতিপথ দুটি, নিজের চারপাশে এবং সূর্যের চারপাশে ঘুর্ণন। দুটি কাজই সে একসাথে করে চলে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের ও দুটিই কাজ। নিজের দিকে চাওয়া এবং অপরের দিকে তাকানো। দুটি কাজই একসাথে করা উচিৎ, তা নাহলে জীবন স্বার্থক হয়না। সাগর যদি না পায় নদীর জল জল কেন তার কুলে কুলে ? সাগরে মিশতে না পারলে নদীর জলধারা হওয়াটাই ব্যার্থ। এই মিলন সাধনাকে স্বার্থক করতে হলে প্রয়োজন, একটিকে আরেকটির সম্পূরক হিসেবে মিশিয়ে দেয়া। যারা এই মিলন সাধনায় উত্তীর্ণ হয় তারাইতো মানুষ, জীবন শিল্পীর অভিধা তাদেরই প্রাপ্য।
অন্যরা নামধারী মানুষ হলেও পুরো মানুষ নয়। তারা ব্যাক্তিকে বা সমাজকে বড় করে তোলার সারল্যের তাগিদে, তথা ভারসাম্য রক্ষা করার দ্বায় ধেকে মুক্তি পাওয়ার তাগিদে তারা মানুষ। এ ধরনের জীবন দ্বীন জীবন। এর স্বাদ ফিকে। প্রকৃত অর্থে সভ্যতাকামীরা কখনও তা কামনা করতে পারেনা। তারা চায় জটিলতা আর তার ওপর কর্তৃত্ব, এটাই জীবন।
সুখের তাগিদ অথবা ভয় এই দুটো কারনে মানুষ ভালো হতে পারে। প্রথমটাই মুল্যবান দ্বিতীয়টা নয়। ভয় মানুষের জীবনকে আড়ষ্ট করে তোলে। আর প্রথমটা করে সম্প্রসারিত। সম্প্রসারনই জীবন। আড়ষ্টতা সুখ এবং জীবন দুটোরই শত্রু। সভ্যতার উচিৎ সুখের এবং জীবনের সাধনা করা। নিজেকে এবং অপরকে খুশী করে তোলার কায়দা না জানলে সভ্য হওয়া যায়না।
বিনা কষ্টে সুখ পাওয়া যায়না। তার জন্য সাধনা দরকার। যা সহজতার সাধনা, সহজ সাধনা নয়। তা জয় করে নিতে হয় এমনিতে পাওয়া যায়না। সুখের উপায় আর সুখ এক জিনিস নয়। এই ব্যপারটা উপলব্ধি করতে পারলে জীবনে সুখের পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। তা নাহলে উপায় নিয়েই থাকতে হয়, লক্ষ্যে আর পৌঁছানো যায়না। আমরা নকলেরে আসল ভেবে তার পেছনেই জীবন কাটাই, আসলেরে চিনিনা। তাই তার বর থেকে বঞ্চিত থেকে যাই।
উধাও ভাবুক
০৫/০৯/২০১৫ ইং
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭