দুপুরের নাস্তা সেরে সবায় হোটেল এ গিয়ে ঘুম ৷ বিকেল ৪ টার সময় আবার চাঁদের গাড়ী নিয়ে বের হই জেলা পরিষধ পার্ক এর দিকে ৷ ২২ জনের মধ্যে যাচ্ছি মাত্র ১২ জন বাকিরা ঘুমেই মগ্ন ৷ শহর থেকে অল্প দুরুত্বে জেলা পরিষধ পার্ক ৷ পার্কের ভিতর কৃত্রিম হ্রদ এর উপর বানানো ঝুলন্ত ব্রীজ টাই সবার মনকে উচ্ছাসিত করে ৷ আদ্রতা এতো বেশী ছিলো যে সেকেন্ড এর মধ্যেই আমি ঘামে ভিজে অস্থির,আর বাকীরা ছবি তুলতে তুলতে অস্থির ৷ সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে,চাঁদের গাড়ীতে উঠে আবার রওনা দিলাম শহরের দিকে ৷ শহর পৌছানোর পর বাকীরা যোগ হলো সিস্টেম রেস্টুরেন্ট আর রাতের নিউজিল্যান্ড পারা দেখার জন্যে ৷ ঐতিহ্যবাহী সিস্টেম এ ভাত,বাশ-কুরল,লাল কাকড়া ভাজা ছাড়াও আছে আরও কিছু ৷ রাতের নিউজিল্যান্ড পারা টা যেনো ঢাকার কোনো অলি-গলিতে পরে থাকা ছোট্ট একটা প্লটের টুকরা,রাস্তাও প্রচন্ড খারাপ ৷ সবায় গান গাচ্ছে,কিন্তু শহরে ফিরলেই যে ট্যুর এর সবচেয়ে বড় বিপদ সামনে আসবে তা কী সবায় জানে?
শহরে ফিরে আসার পর ড্রাইভার জুলমত(জুম্মান) ভাই আমাকে ঢেকে বললো ভাই কাল সাজেক এ হরতাল! এই কথা শুনে আমার চক্ষু কপালে ৷ সবার মধ্যে এক হতাশা,সবচেয়ে বেশী আমিই ৷ সারারাত বসে বিকল্প প্লান,বিকল্প বাজেট বের করার চেষ্টা করেছি ৷ দ্বিতীয় দিন ভোর এ সবায় কাঙ্খিত এক সংবাদ এর অপেক্ষায় ৷ এদিকে সাজেক যেতে পারবো না তাই তউফিক ভাই,রেজওয়ানা আপু ও ওয়াসেকা আপু ঢাকায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে ৷ দলটা ২২ জনে আর নেই,এখন আমরা ১৯ ৷দুপুর ১২ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিলাম,হরতাল থাকুক আজ বিকেল ৪ টায় সাজেক রওনা হবো,তার আগে ঘুরে আসা যায় শান্তিপুর অরন্য কুটির ৷ যেই সিদ্ধান্ত সেই কাজ ৷ চাঁদের গাড়ীতে করে সবায় রওনা দিলাম পানছড়ির অরন্য কুটির এ উদ্দেশ্যে ৷ দীর্ঘ ২০ কিমি পথ পারি দিয়ে পৌছায় অরন্য কুটির এ ৷ বিশাল এক বৌদ্ধ মুর্তির স্থাপনা ৷ লোকমান ভাই দিলো সবায়তে ফলের ট্রিট,ছিলো জাম্বুরা আর কমলা ৷ সবায় এবার ছবি তোলায় ব্যাস্ত,লোকমান ভাই তো ছবি তুলতে তুলতে শুয়ে পরলো ৷ তপ্ত রোদে মুর্তির কাছে পৌছানোর রাস্তাটা আগুন হয়ে আছে ৷ জুতা খুলে সেই মুর্তিটার কাছে যাওয়ার রাস্তায় সবার নাচানাচি(গরমে পা জ্বলে যায়) ৷শান্তিপুর এ সবায় কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে আবার গিয়ে উঠি চাঁদের গাড়ীতে ৷ শহরে ফিরে এসে সবায় খাওয়া দাওয়া করে নিলাম ৷ এবার গন্তব্য স্বপ্নের সেই সাজেক,যাকে ছুইতেই হবে ৷
কিছু ছবিঃ
১)হোটেলের বারান্দা থেকে খাগড়াছড়ি শহর
২)জেলা পরিষধ পার্কের ঝুলন্ত ব্রীজ
৩)পরিষধ পার্কের পথে
৪)জেলা পরিষধ পার্কের কৃত্রিম হ্রদ
৫)জেলা পরিষধ পার্কে
৬)রোমিও=ফোয়েজ ভাই,জুলিয়েট=ফাতেমা ভাবী (আধুনিক)
৭)ডান পাশ থেকে রনো ভাই,শাহীন ভাই,লোকমান ভাই
৮)রুবেল ভাই আর জেলা পরিষধ পার্কের ফলক
৯)আলুটিলা বৌদ্ধ মন্দিরের উপরীভাগ
১০)আমি ক্যাপ্টেন মারুফ
১১)ফাতেমা ভাবী ও অরন্য কুটিরের মুর্তি
১২)লোকমান ভাই শুয়েই পরলো
১৩)গ্রুপের একাংশ
১৪)অরন্য কুটির এর বিশাল মুর্তি
চলবে...
খাগড়াছড়ি ভ্রমন ১
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭