বাবা হলো সেই মানুষটি যিনি নিজের কথা চিন্তা না করে আগে পুরো পরিবারের কথা ভাবেন। এই মানুষটিই হাজার অভাবেও নিজের সন্তানদের অানন্দে রাখার জন্যে সর্বদা মিথ্যা বলে বেড়ায়। ইনি নিজের মোবাইলের ভাঙ্গা সেটটা দিয়ে বছর বছর পার করে দেয়,তবু নিজের সন্তানদের জন্য ব্র্যান্ড নিউ ফোনটা বরাদ্দ রাখে,যে করেই হোক। নিজে এক শার্ট আর প্যান্ট দিয়ে মাসের পর মাস কাটিয়ে দেয়। নিজের কথা না ভেবে সংসারের হা করা মুখগুলো ভরাট করার জন্য সদা যুদ্ধ করে যান। তিলে তিলে গড়ে তোলা বাবা যখন তার কোন সন্তানের মৃত লাশ নিজ কাঁধে নেন,এর চেয়ে খারাপ আর কষ্টকর দৃশ্য আর কি হয়?
রাত দশটা পেরোবার পরও যখন নিজের রাজকন্যা মেয়ে ঘরে ফিরে এলো না চিন্তিত বাবার মন আর টিকে কি করে?
বেরিয়ে পড়লেন তাকে নিয়ে ঘরে ফেরার আশায়। কিছুদূর গিয়ে ছেড়া স্যান্ডেল,তারও কিছু দূরে চুলের গোছা, সবশেষে তার ঘুমন্ত কন্যা। ঘরে ফিরলেন ঠিকই। মৃত মেয়ের লাশ নিয়ে ফিরলেন। তার কাঁধটুকু কি সেই লাশ নিতে পেরেছিলো? কখনো কি চেয়েছিলো এভাবে মরণ দেখবে বলে?
তনুর মৃত্যু কথাই বলছি। মেয়েদের কাছে দুটো স্হান সবার উপরে থাকে। বড় ভাই আর তার বাবা। আর যখনই তার বাবা তার ভক্ষণকৃত দেহ নিয়ে সমাজের সামনে নুইয়ে পড়ে, এ সমাজ কি কোন উত্তর রেখেছে তাদের জন্যে? কি অপরাধে তনুর মা-বাবাকে এ অবস্হায় ফেলা হলো? কি অপরাধেি তনুকে এ শাস্তি দেয়া হলো? সে নিজের জীবন নিজে চালাতো বলে? নিজে স্বাবলম্বী আর উচ্চ শিক্ষিত হতে চেয়েছিলো বলে? কি উত্তর দেবে এ সমাজ? রাষ্ট্রের কাছে কি কোন সদুত্তর আছে? পারবে কি রাষ্ট্র তার স্বাধীনতার মর্যাদা রাখতে? স্বাধীন অধিকারে কি এ দেশের প্রত্যেকটা নারী-পুরুষ বাচতে পারবে?
রাষ্ট্র আর সমাজের কাছে প্রশ্ন রইলো।
স্বাধীনতা দিবসটুকু কেমন একটা পানসে লাগছে।
#RIP_TONU
#WANTJUSTICE
#WANTINDEPENDENCE