সবাই বলে অাজকাল কোন খাঁটি ভালবাসা নাই। কথাটা পুরোপুরি সত্য নয়। কোন ভালবাসাটা খাঁটি আর কোনটা মেকি,তা জানা আছে।
এখনও অনেক ভালবাসা আছে যেখানে মেয়েটি রিকশায় যাওয়া-অাসার খরচ বাচিয়ে বাসের ভীড় চেপে আরও কয়েক কিলোমিটার হেঁটে যাওয়া আসা করে টাকা জমায়। সেই জমানো টাকায়,প্রিয় মানুষটার জন্যে হাজার টাকার দামী টাইটান ঘড়ি কিনতে পারে না ঠিক। কিন্তু ঐ কম দামী উপহারে থাকি এমন এক ভালবাসা যা, কোটি টাকায়ও পাওয়া সম্ভব না।
এমন ভালবাসাও দেখেছি,যে ছেলেটা প্রতি দুই মাস অন্তর নিত্য নতুন জামা-কাপড় কেনে সে ছেলেটা ঐ টাকা বাচিয়ে প্রিয় মানুষটার মুখে হাসি দেখার আশায়, ঐ টাকাগুলো জমাতে শুরু করে। সামান্য একটা পায়েল বা এক জোড়া কানের দুল বা দুই হাত ভরা চুড়ি! বা শ'পাঁচেক দামের ঘড়ি! আর যখন মেয়েটার চোখে আনন্দ অশ্রু দেখে তখন ছেলেটার মধ্যে বিশ্ব জয়ের আনন্দ দেখার সাধ্য আর কারো নেই। মেয়েটি অশ্রুসজল যখন প্রশ্ন করে, তুমি এত টাকা কোথায় পেলে? তখন ছেেলেটির হাসিমাখা উত্তর, " অারে !আমি এতদিন শুৃধু টাকা উড়াইছি নাকি? আমার জমানো টাকা আছে না?" মেয়েটির বুঝতে আর বাকি থাকে না!
এমনও দেখেছি দু'জনের মধ্যে এই সমাজের হাজার বাধা আছে জানা সত্ত্বেও হাতে হাত চেপে ভালবেসে যায়। দুটি ভিন্ন ধর্মের ছেলেমেয়ের প্রমের কথা জানাজানি হওয়ার পর এ সমাজ পান থেকে চুন খসার আগেই যাদের এক ঘরে করে ফেলতে পারে,তা জানা সত্তেও ভালোবেসে যায়।
এমন ভালবাসাও দেখেছি ছেলেটি বোকা হওয়ায় তার প্রিয় মানুষটির সাথে চলতে ফিরতে কথিত গুন্ডাদের নানা কথা শুনেও কিছু বলতে পারে না,সাহসের অভাবে তখনই মেয়েটি কোমর বেঁধে তাদের শাসিয়ে আসে আর ঐ বোকা ছেলেটির হাত ধরেই ভালবেসে যায়।
আমরা এখন সবসময় ঐ লোক দেখানো ভালবাসাটাকেই শুধু দেখি। অন্যভাবে চিন্তা করতে চাইনা! আমরা সবসময় ভাবি যে আজকালকার ভালবাসা হলো এক বাটি হতে দুজনে মিলে চটপটি খাওয়া, বিভিন্ন দিবসে কালার ম্যাচিং কাপড় পড়া, আর পর্দা লাগানো রিকশায় চলা, আর পার্কে কোণা বা চিপা পাইলেই ডুইক্কা পড়া।
ভাই ধারণা পাল্টানো দরকার। ভালোবাসাটারে অত সহজলভ্য কইরো না। কথা আছা, ধৈর্য্যের ফল মধুর চেয়ে মিষ্টি। ধৈর্য্য ধরে কষ্ট করে ভালোবেসে যাও, অনেক ভালো ফল অপেক্ষা করবে। কষ্ট করে অর্জন করবা,দেখবি মনের শান্তির অভাব নাই। মন দিয়ে মন থেকে ভালবাসতে শিখো আগে। শান্তি আর সুখের অভাব হবে না!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯