কে বলে মানুষ মারতে শুধু রামদা,ছুরি,চাপাতি,শর্টগান,রাইফেল,বুলেট ব্লা ব্লা প্রয়োজন? এসব ব্যবহারে যাকে মারবেন সে খুবই কম সময় কষ্ট পাবে আর সাময়িক কষ্ট পেয়ে মারা যাবে। কিন্তু কাউকে যদি দীর্ঘমেয়াদে চরমতর যন্ত্রণায় ফেলতে চান,তাহলে এগুলোর একটাও কাজের না!
কোন ব্যক্তিকে দীর্ঘমেয়াদে কষ্ট দেওয়াও তেমন একটা কঠিন কাজও নয়। ধীরে ধীরে তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। আস্তে আস্তে কথা-বার্তা চালান। সুন্দর ভাবে তার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন।বন্ধুত্ব করাটাও তেমন একটা কঠিন না আজকালকার দিনে। নাম্বার নাই তাতে কি? অনলাইন তো আছে। বন্ধুত্ব গড়াটা আপনার ব্যাপার। আস্তে আস্তে সম্পর্কটা গভীরে পতিত করুন। তবে সবসময় হাসি-আনন্দে রাখুন। কিছু সময় পেরিয়ে যাক না আনন্দে।কাটান না মাস কয়েক আনন্দে। ক্ষতি কি? এবার তার সাথে কথা -বার্তা কমিয়ে দিন। আগে যেখানে দিনে পাঁচবার কথা বলতেন সেখানে দুইবার বলুন। আস্তে আস্তে এড়িয়ে চলুন। কিন্তু হুট করেই ছেড়ে দেবেন না। সেই কথা-বার্তা অাবার বাড়িয়ে দিন। সে তার ভুল ধারনা ভাঙ্গাবে। একই প্রক্রিয়া চালাতে থাকুন। কথা-বার্তা বলবেন ভালোভাবেই। আবার হুট করেই কমিয়ে দিন। কয়েকদিন যাওয়ার পর আবারো বাড়িয়ে দিন। একটা পর্যায়ে গিয়ে সেই ব্যক্তিটার মানসিক দুর্বল স্হানগুলোতে অাঘাত করতে থাকুন। আঘাতে জর্জরিত হতে হতে যখন সেই ব্যক্তিটি নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করবে,তখনই তার ক্ষত স্হান সাড়িয়ে তুলুন। ফল পাবেনই। সে আবারো আপনার প্রতি দুর্বল হবেই। এর একটা পর্যায়ে গিয়ে তাকে একা করে দিন,দেখবেন সে আজীবন মানসিক ভাবে ধ্বংসস্তুপেই পড়ে থাকবে। টেনে তোলার সাধ্য থাকবে আপনার। তাকে মানসিকভাবে ধ্বংস করা মানেই তাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া! শুধু যে দৈহিকভাবে কষ্ট দেওয়া যায়,তা নয়। মানসিক কষ্ট দৈহিক কষ্টের চেয়ে হাজার গুণ বেশী শক্তিশালী। আর এই মেকানিজম বিশেষত বিপরীত লিঙ্গের দু'জনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সমলিঙ্গের জন্য আলাদা ব্যবস্থা প্রযোজ্য।
.
সর্বসাকুল্যে একটা কথা মনে রাখুন, এক জন মানুষকে কষ্ট নয় ভালোবাসতে শিখুন। ভালোবাসায় কোন পরিশ্রম নেই। ভালোবাসায় কোন কষ্ট নেই। কোন মানুষকে কষ্ট দেওয়ার আগে একবার নয় দু'বার নয় শ'খানেক বার ভাবুন। কারণ কোন ব্যক্তিকে কষ্ট দিয়ে আপনি নিজে কখনোই শান্তিতে থাকতে পারেন না। যে ব্যক্তি আপনাকে গুরুত্ব দেয়,তাকে গুরুত্ব দিন। হোক সে পূর্বের শত্রু। ক্ষমা করুন। ক্ষমার চেয়ে মহৎ শান্তি আর কোন কিছুতেই নেই। ভালোবাসুন। ভালোবাসতে শিখুন। জীবনে আত্মতুষ্টি আর স্বীয় শান্তির অভাব হবে না। প্রাণ খুলে বাচার ইচ্ছা জেগে থাকবে আজীবন। ©