বলেছিতো, এই শরতে না পারলেও
আগামী শরতে সত্যিই দিবো একটা নীল শাড়ি।
শহরে তো আর খোলা মাঠ নেই
তুমি বরং ছাদের এ মাথা থেকে ও মাথা হেটো
শাড়ির আঁচল দুলিয়ে আর আমি তোমায়
দেখবো এক কোনায় দাঁড়িয়ে সিনেমার নায়কের মতো।
ওমা! তাতেও হবে না?
আচ্ছা ঠিক আছে, সময় কমিয়ে আনছি। শরতে নয়,
বছরের শেষ দিনই তোমাকে দিবো লাল পাড়ের সাদা শাড়ি।
গ্রীষ্মের প্রথম প্রভাতে তুমি পড়বে সেই শাড়িটি
আর আমি ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি। তারপর দু’জন মিলে
হারিয়ে যাবো বৈশাখি মেলায়। ঘামে যুবুথুবু হয়ে
মঙ্গল কামনা করবো সবার, মঙ্গল শোভাযাত্রায়।
এবার ঠিক আছে হে?
নাহ! এতেও হচ্ছে না তোমার। তাহলে কি বসন্তে?
যাও, সময় আরো কমিয়ে আনলাম। আসছে বসন্তেই
দিবো হলুদ শাড়ি। না না, হলুদ নয়, লাল।
কারণ ওদিন সবাই হলুদ পরে।লাল শাড়িই দিবো।
সব হলুদের মাঝে তুমি ফুটে থাকবে গোলাপের মতো। চলবে?
তাতেও চলবে না? আর বুঝি তড় সইছে না বুড়ি?
ঠিক আছে তবে শরতেই তোমায় বিদায় জানাই।
তোমার মনের মেঘ যখন কেটে গেছে তখন বিদায় অনিবার্য।
শুধু মাঝে কেটে গেলো বসন্ত, গ্রীষ্ম, বর্ষা। আর এখন শরত।
তাই এই শরতে তোমায় আবারও জানাই বিদায়।
যাবার আগে শোন, আসছে হেমন্তে সেই মানুষটাকে খুঁজে নিয়ো
যে তোমায় দিবে পাহাড়ের ঐপাড় থেকে আসা চোরাই লেহাঙ্গাটা।
তার বিনিময়ে তাকে দিয়ে দিয়ো আমাদের স্বপ্নগুলো।
আর একটা কথা। শুনবে তো?
মনে আছে শীতে একটা চাদর দেবার কথা?
চাদরটা দিয়ো আমায় আসছে শীতে।
আমি ওটা গায়ে জড়িয়ে ঘুরবো সারা শহর।
আর উম নেবো তোমার গায়ের, যেমনটা
উম পেয়েছিলাম গেলো বর্ষায় ঝুম বৃষ্টিতে
যখন তুমি আমায় জড়িয়ে ধরে শেষ চুমু খেয়েছিলে।
(২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, পল্টন)