আমরা সবাই ‘আকবর দ্যা গ্রেট’ সম্পর্কে মোটামুটি জানি, কিন্তু ‘ওমর দ্যা গ্রেট’ সম্পর্কে কয়জন জানি? হ্যা। হযরত ওমর ( রা: ) ছিলেন Khulfa-e-Rashideen এর ২য় খলিফা ও শক্তিমান একজন শাসক। আর তাই তাকে বলা হত ‘ওমর দ্যা গ্রেট’। হযরত মুহাম্মদ ( স: ) এর মৃত্যুর পর Khulfa-e-Rashideen হিসেবে যে চারজন খলিফা ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং প্রসারে সবচেয়ে বেশি আবদান রাখেন তারা হলেন- হযরত আবু বকর সিদ্দিক ( রা: ), হযরত ওমর ( রা: ), হযরত উসমান ( রা: ), এবং হযরত আলী ( রা: )।
সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হল চারজনের মধ্যে তিনজন খলিফা ই আততায়ীর হাতে মারা যান। তখন থেকেই শুরু। এখন পর্যন্ত ও আমরা যা দেখছি তা হল, যে দেশে ইসলাম ধর্মের অবস্থান ভাল সে দেশেই এসব আততায়ীর (বর্তমানে যারা জঙ্গী নামে পরিচিত) আক্রমন হচ্ছে। যে মুসলিম দেশগুলো বিশ্বে একটু ভাল অবস্থানে গিয়েছিল (ইরাক,সিরিয়া,লিবিয়া) তাদের শাসকদেরও করুণ মৃত্যু হল। আসলে তাদের দোষ কি ছিল তাও আজ পর্যন্ত কেউ জানে না। সম্প্রতি আবার সাদ্দাম হোসেনকে নিরপরাধ ঘোষনা করা হল।
যুগে যুগে জঙ্গীরা ছিল এখনও আছে শুধু নাম পরিবর্তন হয়েছে আরকি। টাকা পয়সা হয়েছে ক্ষমতা হয়েছে। তাদের ক্ষমতাবান করার জন্যই ক্ষমতাশালী মুসলিম শাসকদের আগে হত্যা করা হয়েছে। তারা ইসলাম ধ্বংস করতেই নেমেছে তাতে কোন সন্দেহই থাকে না। জঙ্গীবাদ এবং ইসলামকে তারা এমনভাবেই মাখাইছে এখন অবস্থা এমন হইছে যে, কোন দেশে জঙ্গী হামলার পর সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়তেছে মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী এবং ইসলাম সম্পর্কিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলো।
ইসলাম ধর্মের বন্ধু, তিনজন Khulfa-e-Rashideen দের যরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে তারাই আমার “বাংলাদেশে” আক্রমন করেছে। হতে পারে এখন তাদের নাম জেএমবি হুজি বা আইএস, হতে পারে তারাও মুসলমান ছিল। কিন্তু আমার চোখে তারা শুধুই ইসলাম ধর্ম হত্যা চেষ্টাকারি। তারা বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের যে অবস্থান, সবার মাঝে ধর্মীয় যে সম্প্রিতি, সেটাকেই ধ্বংস করতে চেয়েছে। কিন্তু পারবে না। আমরা হাজার হাজার অস্ত্রধারী সৈন্যের সামনে খালিহাতে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছি আর এরা ত মাত্র কয়জন। আমরা সব ধর্মের সব জতি গোষ্ঠী একসাথে আছি এবং একসাথেই থাকব।
জানি না আমার দেশের ভবিষ্যৎ কি। তবে এটা বলতে পারি আমরা বাংলাদেশীরা যতদিন বেঁচে আছি কখনোই এইসব মুসলিম বেশধারি জঙ্গীদের হতে দেশকে তুলে দিব না। এখন আমাদের সরকারের দিকে তাকায়া থাকলে হবে না, যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কাউকে সন্দেহ হলে তাকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। এখনি সময় দেশের পাশে দাঁড়াবার। প্রয়োজনে দেশকে বাঁচাতে আবার যুদ্ধ করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৯