এই গল্পটি পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান কাম প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক কিংবা প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানকে নিয়ে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে বিচ্ছুবাহিনীর শৌর্য-বীর্যের প্রতাপে রণাঙ্গণে বেহাল তখন পাকিস্তানিরা। মদ্যপ ইয়াহিয়া অকারণে এক সৈনিকের ওপর মারাত্মক ক্ষিপ্ত। তিনি নিজ হাতে বরখাস্তপত্র টাইপ করে ওই সৈনিকের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘মাদার... হারামখোর, এই নে! এখনি দূর হ আমার সামনে থেকে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে তোর মত কুলাঙ্গার-কমিনার আর প্রয়োজন নেই (কারণ অন্যরা সব তারচেয়েও বড় কমিনা বিধায়...)।
নিরপরাধ সৈনিক চরম বিস্ময় হজম করে জানতে চাইলো, ‘স্যার, আমার অপরাধ?’
‘তোকে আমি বরখাস্ত করলাম, ব্যস এটাই আসল কথা। যা এখন গিয়ে আমাকে গালিগালাজ করতে থাক জীবনভর। এতে আমার কিছুই আসবে যাবে না! মন চাইলে আমি মারা যাবার পর আমার কবরে গিয়ে ‘হিসু’ করে আসিস!’
“অত বড় লম্বা লাইনে আমি দাঁড়াতে পারবো না, স্যার! দয়া করে অন্য কোনো শাস্তি থাকলে দিন...” ভাবলেশহীন কণ্ঠে সৈনিকের জবাব।
আহ্সান কবীর
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০১