somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন একটি আতঙ্কের নাম বাচ্চাদের কাছে!!!

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমাদের সময় এমন কোন দিন যায়নি যে পিঠে, হাত পায়ে বেতের দ্বাগ নিয়ে বাসায় যাইনি। এমন কোনদিন যায়নি যে বড়ুয়া স্যারের (চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল) দুই পেন্সিলের চিপায় স্যান্ডউইচ হওয়া আঙ্গুল ফুলে বাসায় ফিরিনি। কিন্তু কখনো কোন টিচার আতঙ্ক ছিলেন না। বাঘা স্যারের নামই ছিল বাঘের মত হুংকার দিয়ে আমাদের ঘাড় ধরে হেলিয়ে পিঠের উপর আধামনি থাপ্পর দেয়ার কারণে। স্কুলের একমাথায় বাঘা স্যারের হুংকার আর এক মাথায় শুনা যেত।

কিন্তু কেউই আতংক ছিলেন না। স্নেহ মায়া মমতায় আমাদের মানুষ করেছেন। অনেকেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু তাঁদের কাউকে দেখলে হুমড়ি খেয়ে সালাম করি। মাথা তুলে কথা বলি না এখনো।

যুগযুগ ঘরে শতশত হাজার হাজার ছেলে স্কুল থেকে বের হয়ে গিয়েছে আজীবন শ্রদ্ধাভরে প্রত্যেক শিক্ষককে স্মরণ করে।

এখন আছেন এমন কেউ, কোন স্কুলে? থাকলে ক'জন? যাদের কথা বাচ্চারা বুকভরা ভালবাসা নিয়ে স্মরণ করে।

এখানেই আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা, বড় লজ্জা।।

ভালবাসাহীন চাপিয়ে দেয়া পাহাড়সম ভার নিয়ে বাচ্চারা ঘরে ফেরে? মনের কথা কাউকে বলতে ভয় পায়। আবদার আর্জি নিয়ে টিচারদের সামনে যেতে ভয় পায়। সমস্যা বলতে ভয় পায়। টিচারদের ছায়া দেখলেও ভয় পায়।

কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায় একই অবস্থা।

যুগ পরিবর্তন হয়েছে। এখনকার বাচ্চারা হয়েছে মারাত্মক সংবেদনশীল এবং আত্মকেন্দ্রিক। এদের মেরে সংশোধন করা দুষ্কর। আতংক ছড়িয়ে নয়, ভালবাসা দিয়ে জয় করতে হবে এদের।

পিঠে ব্যাগের ভার। রোবোটিক জীবন। বাবা মায়ের জীবন যুদ্ধ। শুধু পড়া আর পড়া। এর সাথে যদি যুক্ত হয় আতংক আর ভয়!! আমরা কি পেয়েছি, আর এরা কি পাচ্ছে!!! করুণা হয় আমাদের বাচ্চাদের জন্য।

স্কুল হবে বাবা মায়ের বিকল্প। আতঙ্কের নাম নয়। কিন্তু এখন বাচ্চাদের কাছে আতঙ্ক, অনেকের বুকভরা গর্ব!!

প্রিয় মাহবুব কবির মিলন স্যারের লেখা।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২১

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই

ট্রাম্প হচ্ছে একজন আপাদমস্তক বিজনেসম্যান। কমলা হ্যা্রিস যেহেতু ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত তাই ইন্ডিয়ান ভোটার টানার জন্য সে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে জাস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

চট্রগ্রামে যৌথবাহিনীর ওপর ইসকনের এসিড হামলা সাত পুলিশ আহত।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৩

এসিড নিক্ষেপে আহত পুলিশ সদস্য



চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর ইসকন সমর্থকদের হামলা ও এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসকন

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭


INTERNATIONAL SOCIETY FOR KRISHNA CONSCIOUSNESS যার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ISKCON এর বাংলা অর্থ হল আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ। যে সংঘের ঘোষিত উদ্দেশ্য হল মানুষকে কৃষ্ণভাবনাময় করে তোলার মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রকৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি তাদের কাছেই যাবে তারা তোমার মূল্য বুঝবে....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪


মৃত্যুর পূর্বে একজন পিতা তার সন্তানকে কাছে ডেকে বললেন, 'এই নাও, এই ঘড়িটা আমি তোমাকে দিলাম। আমাকে দিয়েছিলো তোমার দাদা। ঘড়িটা দুইশত বছর আগের। তবে, ঘড়িটা নেওয়ার আগে তোমাকে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×