আগ্রহ করে ছিলে তাই মিথ্যে বলে আজ গল্প করতে এসেছি। সময় চেয়ে ছিলে তাই তো ক্ষণিক আলোয় তোমার চোখে চোখ রেখেছি। তুমি হেসেছিলে তার সাথে আমিও মৃদু হেসেছি। এরপর আসর জমিয়ে তুললে তুমি। অনেক দৃশ্য আঁকলে তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে অনেক মুখের ছবি দেখালে। আর তখন তোমার উচ্ছ্বাস আমার ভেতর টা কে আস্তে আস্তে পাথরে পরিণত করল।
চোখের দিকে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে। তুমি তোমাকে আড়াল করছিলে আর আমি তোমার ভিতরের তুমি টা কে খুঁজে ফিরছিলাম,একটা সময় এসে তুমি ধরা খেলে। আমি তোমাকে জিততে দেব বলেই লুকোচুরি খেলায় হেরে গিয়ে অন্য দিকে চোখকে ফিরিয়ে নিয়েছিলাম। তোমার গল্প বলার ভঙ্গির দিকে তাকিয়ে একটা মুহূর্তে আবিষ্কার করলাম তোমার ঠোট শীতল নরম!
এতো দিন গল্প শোনার মতো মনের মতো কাউকে পাও নি,গল্প বলা নিয়ে খুব ক্ষুদ্রার্থ তুমি। তাই মেঘকে ক্যানভাস করে অনুভূতির প্রলেপে দৃশ্য গুলো সাজাচ্ছো তোমার দর্শনে।
তোমার বাহিরের মানুষ টা কে নিয়ে তোমার ভীষণ কৌতুহল। তাই যখন জানতে চাইলে তোমার সম্পর্কে, আমি তখন তোমার ভিতরের মানুষের গল্প বলি। তুমি আরো ক্ষুদ্রার্থ হয়ে ওঠো আরো জড়তা সৃষ্টি করো। তোমার কৌতুহল মিটাতে চাইনি। তাই সোজা বাক্যে প্রকাশ না করে উল্টো বাক্যে প্রকাশ করেছিলাম। কারণ আমি জানি আমার প্রতিটি বাক্য তোমাকে ভাবায়, তোমাকে ধাঁধায় ফেলে.....
শেষ বারের মতো তোমার চোখের দিকে তাকালাম তোমার ভিতরের মানুষটার দিকে। অনেক অমিলের মাঝে একটা মিল খুঁজে পেলাম। তখন আমি আরো পাথর হয়ে গেলাম। অনুভব করতে পারি অনেক দূরের তোমার সীমানায় তুমি খুব দুঃখি। তোমার কষ্টের মাঝে অজান্তে আমাকে জড়িয়েছো। আমি চাই তোমার সীমানায় বাসন্তী হয়ে থাকতে। তাই তো নিজেকে মেলে ধরি না,আগ্রহ করি না।
আমাদের বিদায় নেওয়ার সময় হয়ে এলো। ঠিক তখনই তোমার মূল গল্প বলা শুরু ...... কিন্তু সময় যে হাতে একদমই নেই।
শেষ দৃশ্যে তোমার ভিতরের মানুষটা ভালোবেসেছিল, তাই তুমি শান্ত হয়ে তাকিয়ে রইলে আর আমি ফিরে এলাম...