চোখ দু টো কে খুলতে ইচ্ছে করছে না। বার বার খুলেও বন্ধ করে দিচ্ছি। কিন্তু এভাবে কতক্ষন? ভেবে ভেবে ঠান্ডা পানিতে মুখ ভিজিয়ে। ঘড়ির কাটার দিকে তাকিয়ে সব ভাবনা আর অলসতা কে ছাড়িয়ে বেরিয়ে পরা প্রতিদিনের যাত্রায়। ছুটে চলতে চড়ুই পাখির দৌড়াদৌড়ি অথবা কাউকে পাশ কাটিয়ে নিজের পথ চলা। পথ চলতে চলতে সময় টা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আরো দ্রুত ছুটে চলা। কারন দেরী হলে আজকের দিনের মতো হয় তো নতুন অনেক কিছু কে হারিয়ে ফেলা!
হাটতে হাটতে ভাবনায় এবার নিজেকে নয় ওদের নিয়ে ভাবা, নিজেকে সামলে নিয়ে নিজের অধিকার টা সবার আগে তুলে ধরা!
আর খুব বেশি সময় নেই, কিছুক্ষনের মধ্যেই আমাকে যেতে হবে ঐ দরজায়। তা না হলে আজকের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে সব হাসি আর আনন্দ। পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখি, অন্ধকার এখনো কাটেনি। আকাশে এখন সূর্য উঠেছে, মিষ্টি করে হাসছে।
ঐ তো আমার আনন্দ অপেক্ষা করছে, কিন্তু আর যে ছুটে যেতে পারছি না। সব কিছু ভেঙ্গে আসছে, একটু পর হয় তো পড়ে যাবো। ঠিক যেমনি প্রতি রাতে চোখ বন্ধ করলে মনে হয় উপর থেকে পড়ে যাচ্ছি! না না না আমাকে আজকেও পারতে হবে। তা না হলে সবার থেকে আলাদা করে দিবে, পিছিয়ে যাবো!
হাটতে হাটতে যখন ঠিক দরজায় দাঁড়িয়ে তখন একবার পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি, কালো অন্ধকার মুছকি হাসছে! চোখ দু'টো কে বন্ধ করে যখন সামনে তাকাই তখন কুয়াশায় আনন্দের দেখা পাই। একটু ভালো লাগা অনুভব করি। বুঝতে পারি সূর্য মিষ্টি হাসছে আর শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। আমি আজও পৌছে গেছি আনন্দের কাছে!