Life is a song, Love is the music, Music is the art of thinking with sounds.. Music is ArtceLL
বাংলাদেশের প্রথম দিককার প্রোগ্রেসিভ রক/মেটাল ব্যান্ড আর্টসেল ১৯৯৯ সালে গঠিত হয়। আর্টসেল মূলত রক জেনারের গান করে থাকলেও এদের বেশ কিছু এক্সপেরিমেন্টাল গ্রাঞ্জ এবং থ্র্যাশ জেনারের ট্র্যাক রয়েছে। The DaiLy Star এর মতে, "ArtceLL is one of the Leading rock bands of the country"।
ব্যান্ড মেম্বাররা ঢাকার এক স্কুলে একসাথে পড়তেন| এরশাদ তান্ত্রিক ব্যান্ডের মেম্বার ছিলেন। ব্যান্ডটি ভেঙ্গে যাওয়ার কিছুদিন আগে লিঙ্কন সেটিতে যোগ দেন। তান্ত্রিক ব্যান্ডের অন্যান্য মেম্বাররা গ্রুপ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এরশাদ এবং লিঙ্কন একজন বেসিস্ট ও একজন ড্রামার খুঁজতে থাকেন এবং তখন তাঁরা সেজান ও সাজুর সাথে পরিচিত হন। আর্টসেল গঠনের পূর্বে মাঝে মাঝে তাঁরা বিভিন্ন প্রোগ্রামে MetaLLica’র গান পারফর্ম করতেন। কিছুদিন পর এরশাদ একটি কম্পোজিশন রেডি করে প্রোগ্রামগুলোতে পারফর্ম করা শুরু করেন। দর্শকদের কাছ থেকে আশাতীত সাড়া পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা নিজেদের একটি ব্যান্ড গঠনের পরিকল্পনা করেন। শুরুর দিকে আর্টসেল একটি আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ড হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে এটি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মেইনস্ট্রীম ব্যান্ডে পরিণত হয়েছে।
ব্যান্ডের নাম আর্টসেল রাখার কারণ প্রসঙ্গে সেজান এবং সাজুর বক্তব্য: “যদিও আমরা হেভি মেটাল ব্যান্ড হিসেবে শুরু করেছিলাম, তবু হেভি মেটাল নাম চাইনি। আমরা হেভি মেটাল এর সাথে একটা কোমল এবং শৈল্পিক ছোঁয়া চেয়েছিলাম। ‘দেহকোষ যেখানে শিল্প সৃষ্টি হয়’- এটাই আমাদের ব্যান্ডের নামকরণের পেছনে মুল আইডিয়া ছিল। এরশাদ আর্টসেল নামটা সাজেস্ট করে এবং আমরা সকলে তা সমর্থন করি”।
ব্যান্ড মেম্বারস:
এরশাদ জামান- লীড গীটার, ব্যাক ভোকাল (এরশাদ এ বছর আর্টসেল ছেড়ে দেন।)
কাজী সাজ্জাদুল আশেকীন (সাজু)- ড্রামস
জর্জ লিঙ্কন ডি’কস্টা- গীটার, মেইন ভোকাল
সাইফ আল নাজি (সেজান)- বেইস
রুম্মান আহমেদ- লিরিক্স
*ট্যুর থাকাকালীন সময়ে সময়ে মেকানিক্স ব্যান্ডের রিয়াজ(ড্রামস)আর্টসেলের সাথে যুক্ত হয়।
এখন পর্যন্ত আর্টসেলের ২টি অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছে।
১ম অ্যালবাম ‘অন্যসময়’ মুক্তি পায় ২০০২ সালে। এ অ্যালবাম মুক্তির কিছুদিন আগে ব্যান্ডের অন্যতম মেম্বার এবং মূল লিরিকিস্ট রুপক ‘সেরেব্রাল ম্যালেরিয়া’য় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। অন্যসময় অ্যালবামটি রুপককে উৎসর্গ করা হয় এবং তাঁর স্মরণে অ্যালবামের চতুর্থ ট্র্যাকের নাম ‘রুপক-একটি গান’ দেয়া হয়। এ অ্যালবামটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা অর্জন করে।
‘অন্যসময়’ অ্যালবামে মোট ১০টি ট্র্যাক রয়েছে।
১. অন্য সময় (এ গানটা শোনার সময় নিজেকে স্থির রাখতে পারিনা, আমার সবচাইতে পছন্দের বাংলা গান। এক সময় আমার মোবাইলের ওয়েলকাম টিউন ছিল। আম্মুর চিল্লাপাল্লায় ডিলিট করে দেয়া লাগসে)
২. ভূল জন্ম
৩. পথ চলা
৪. রুপক-একটি গান
৫. মুখোশ
৬. রাহুর গ্রাস
৭. ইতিহাস/ সময় অদৃষ্ট
৮. কৃত্রিম মানুষ
৯. অবশ অনুভূতির দেয়াল
১০. অলস সময়ের পাড়ে
২য় অ্যালবাম ‘অনিকেত প্রান্তর’- ‘অন্যসময়’ মুক্তির ৪ বছর পরে ২০০৬ সালে আর্টসেল রিলিজ করে। এ অ্যালবামটিও লোকপ্রিয়তা অর্জন করে এবং ২০০৬ এর সর্বাধিক বিক্রিত অ্যালবামগুলোর একটি হয়।
‘অনিকেত প্রান্তর’ অ্যালবামটিতেও ১০টি ট্র্যাক রয়েছে।
১. লীন
২. স্মৃতিস্মারক
৩. ধূসর সময়
৪. পাথর বাগান
৫. শহীদ স্মরণী
৬. ছায়ার নিণাদ
৭. ঘুণে খাওয়া রোদ
৮. তোমাকে
৯. গন্তব্যহীন
১০. অনিকেত প্রান্তর
৯ জানুয়ারী, ২০১২ এ আর্টসেল ফেসবুক পেজ এ ঘোষণা দেয়: এ বছরের কোন এক সময় তাঁদের ৩য় অ্যালবাম রিলিজড হতে পারে।
নিজস্ব ২টি অ্যালবাম ছাড়াও আর্টসেল বেশ কিছু মিক্সড অ্যালবামে কাজ করেছে:
অদেখা স্বর্গ- ছাড়পত্র(২০০১)
অপ্সরী , দুঃখ বিলাস- অনুশীলন(২০০২)
চিলেকোঠার সেপাই- আগন্তুক(২০০৩)
অস্তিত্বের দিকে পদধ্বনির সম্মোহন- আগন্তুক ২(২০০৩)
স্বপ্নের কোরাস- প্রজন্ম(২০০৩)
ছেঁড়া আকাশ - লোকায়ত(২০০৪)
বাংলাদেশ:স্মৃতি ও আমরা- আগন্তুক ৩(২০০৫)
উৎসবের উৎসাহে- আন্ডারগ্রাউন্ড(২০০৬)
এই বিদায়ে- লাইভ নাও!(২০০৭)
কান্ডারী হুশিয়ার- রক ৩০৩(২০০৯)
হুঙ্কারের অপেক্ষায়!- গর্জে উঠো বাংলাদেশ!(২০১১)
আর্টসেলের অন্যান্য কিছু ট্র্যাক:
এই বৃষ্টি ভেজা রাতে (লিঙ্কন সোলো)
কালো মেঘ
আশীর্বাদ-(ব্ল্যাক ও ক্রিপ্টিক ফেইট)
জানি ভূল করেছি (লিঙ্কন সোলো)
২৩ অক্টোবর, ২০০৯ এ ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আর্টসেল উইন্টার গার্ডেন, শেরাটন হোটেলে ‘10 Years of ArtceLL insanity’ লাইভ কনসার্ট এর আয়োজন করে। পাওয়ারসার্জ, মেকানিক্স, রিবর্ণ, ক্রিপ্টিক ফেইট, রকস্ট্রাটা, এক্স-ফ্যাক্টর, অর্থহীন, ওয়ারফেজ, মাইলস এবং ফিডব্যাক এ কনসার্টে অংশ নেয়।
তথ্য ও ছবি: উইকিপিডিয়া, ফেসবুক পেজ, আর্টসেলিজম, দ্যা ডেইলি স্টার, গুগল এবং fLickr
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:৩৬