আগে আমাদের জানতে হবে কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যটা কি?
জিয়ারত মানে ওইখানে গিয়ে নামাজ পড়া নয়,
কুরআন তেলোয়াত করা নয়,
দাড়িয়ে বা বসে জিকির করা নয়,
সুরা ফাতিহা বা এখলাস কিংবা কোন সুরা পড়ে বখছিয়ে দেয়া নয়,
ঈসালে সোয়াব নয়,
সম্মলিত ভাবে তার জন্য দোয়া করা নয়,
সাধারনত এইগুলা করা শিরক কিংবা বেদাত পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
..
কবর জিয়ারতের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দুইটি
১। নিজের লাভ (মানে মৃত্যুর কথা স্মরন হয় ও দুনিয়ার মোহ দূর হয়)
২। মৃত্যু ব্যাক্তির লাভ (মানে আপনার সালাম ও দোয়া দ্বারা সে উপকৃত হয়)
..
এক নাম্বার উদ্দেশ্য হচ্ছে,,
রাসুল্লাহ (সা: ) বলেছেন,,
তোমরা কবর যিয়ারত কর, কারণ তা দুনিয়ার মোহ দূর করে এবং আখিরাতকে মনে করিয়ে দেয়। -(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৫৭১; মিশকাত পৃ. ১৫৪)
.
এখন আপনাদের প্রশ্ন করি পাকা কবর দেখলে কি মৃত্যুর কথা স্মরন হবে যেখানে কোটি কোটি টাকা ইনকাম হচ্ছে ওরস কিংবা মাজারে, নাকি গরিব ভাংগাচূরা বসে গেছে, আর জংগল- গাছ হয়ে গেছে এমন কাচা কবর??
যেমন গ্রামের কবর, মা- বাবা, দাদা- দাদির কবর যেখানে দিনের বেলা গেলে ও ভয় করে!?
কোথায় গেলে মৃত্যুর কথা বেশি স্মরন হবে??
অবশ্যই কাচা কবর!
..
তাহলে কাচা কবর দেখতে যেতে হবে পাকা কবর নয়!
পাকা কবর (মাজার- ওরসে) শিরক আর ইনকামের বাজারে গরম হয়ে থাকে। এক কথায় এইগুলা হল বিনা পুজির ব্যাবসা।
.
সেজন্য জিয়ারতে যেতে হবে এমন কবরে যা দেখলেই মৃত্যুর কথা স্মরন হয়। যেখানে গেলেই মনে হয় আমি যত বড় মন্ত্রী - মিনিষ্টার কিংবা প্রভাবশালী হই না কেন আমাকে এই কবরেই আসতে হবে এবং দুনিয়াকে তুচ্ছ মনে হবে।
.
এইটা হল আপনার নিজের লাভ যার ফলে আপনি আল্লাহর কাছে তওবা করবেন, কান্নাকাটি করবেন, দুনিয়ার মোহ ভুলে গিয়ে ইসলামের পথে ফিরে আসবেন।
......
২ নাম্বার উদ্দেশ্য হচ্ছে,,
ওই মৃত্যু ব্যাক্তিকে ও উপকার করা। মাইয়েতকে সালাম দিলে ও তার জন্য কেবলামুখি হয়ে দোয়া করলে আল্লাহর পক্ষ হতে শান্তি বর্ষিত হবে ও তার কবরের আযাব হাল্কা হবে ইনশাল্লাহ।
.
[বিদ্র: কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্য মসজিদে নববি, হারমাইন শরিফ, মসজিদুল আকসা এই তিন মসজিদ ব্যাতিত অন্য কোথাও সফর করা হারাম (সহিহ বুখারি)
................
আর যিয়ারত নিয়ে সমাজে প্রচলিত শিরক ও বিদাত হচ্ছে,,
কেউ যদি জিয়ারত করতে গিয়ে পির- আউলিয়া কিংবা যেকোন মৃত্যু ব্যাক্তির কাছে কোন কিছু চায়, হোক না কেন সেটা শাহজালাল কিংবা শাহপরানের মাজার তাহলে তা স্পশট বড় শিরক হবে
(সুরা ফাতিহা: ৫, নমল:৬২, ইউনুস ১০৬, )[তিরমিযীঃ ২৫১৬]
এবং তা করে কেউ যদি তওবা না করে মারা যায় তাহলে সে নিশ্চিত জাহান্নাম (নিসা:৪৮,১১৬)
..
আর কেউ যদি আল্লাহর কাছে চাইল কিন্তু তাদেরকে ওসিলা করে, তাহলে তা স্পশট বিদাত হবে। কারন এই ব্যাপারে কোরআন ও সহিহ হাদিসের কোন দলিল নেই!"
..
ইয়া আল্লাহ আমাদের সত্যটা বুঝার তৌফিক দান করুন!