** বিশ্ব সৃষ্টি ও মহা বিস্ফোরণ (বিগ ব্যাংগ)
.
*ষ্টিফেন হকিং এর বিগ ব্যাং থিওরী আজ সর্বময় স্বীকৃত। এ থিওরী অনুযায়ী মহাবিশ্বের সকল দৃশ্য অদৃশ্য গ্রহ নক্ষত্র সৃষ্টির শুরুতে একটি বিন্দুতে পুঞ্জিভুত ছিল। এবং একটা বিশাল বিষ্ফোরণের
মাধ্যমে এরা পৃথক হয়ে গেছে যাকে বলা হয় বিগ ব্যাং...
.
বিগ ব্যাং সম্বন্ধে বলতে গিয়ে কুরআন বলেছে-
“সত্য প্রত্যাখানকারীরা কি ভেবে দেখে না যে,আকাশমন্ডলি ও পৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে;অত:পর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম” (সুরা আম্বিয়া:৩০)"
.
এখন প্রশ্ন হলো, বিগ ব্যাং সম্পর্কে যা জানলাম কয়েক দশক আগে, কুরআনে এই কথা প্রায় ১৪০০ বছর আগে কে উল্লেখ করল???
..
** পৃথীবির বাইরের জীবন
.
এমনকি স্কুলে থাকাকালীন সময়ে আমি নিজে ও বিজ্ঞান বইয়ে পড়েছি যে পৃথীবির বাইরে কোন জীবন নেই। কিন্তু বিজ্ঞান আজ বলছে পৃথীবির বাইরে জীবন আছে
.
পৃথীবির বাইরের জীবন সম্বন্ধে বলতে গিয়ে কোরআন বলেছে-
তাঁর এক নিদর্শন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি যখন ইচ্ছা এগুলোকে একত্রিত করতে সক্ষম।
(সুরা আশ-শুরা:২৯)
.
এখন প্রশ্ন হলো,এই সম্পর্কে যা জানলাম কয়েক দশক আগে, কুরআনে এই কথা প্রায় ১৪০০ বছর আগে কে উল্লেখ করল???
...
** মহাবিশ্বের আদি অবস্থা
.
আজকের বিজ্ঞান বলছে মহাবিশ্ব
গ্যালাক্সিগুলো তৈরী হওয়ার পূর্বে সব
পদার্থগুলো গ্যাসিয় অবস্থায় একত্রে ছিল মানে ধুমৃকুঞ্জ..
.
মহাবিশ্বের আদি অবস্থা সম্বন্ধে বলতে গিয়ে কোরআন বলেছে-
“অত:পর তিনি আকাশের দিকে মনযোগ দিলেন যা ছিল
ধুমৃকুঞ্জ, অত:পর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন
তোমরা উভয়ে আসো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়।
তারা বলল স্বেচ্ছায় আসলাম।” (সূরা হামিম আস
সিজদাহ : ১১)।
.
এখন প্রশ্ন হলো, মহাবিশ্বের আদি অবস্থা সম্পর্কে যা জানলাম কয়েক দশক আগে, কুরআনে এই কথা প্রায় ১৪০০ বছর আগে কে উল্লেখ করল???
...
** মহাবিশ্ব সম্প্রারণশীল
.
মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল এটা এই কিছুদিন আগে প্রমানিত হয়েছে। বিজ্ঞানী আরভিন সর্বপ্রথম আলোর লোহিত অপসারন পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রমাণ করেন এ বিশ্বজগত সম্প্রসারিত হচ্ছে, গ্যালাক্সিগুলো একটার থেকে আরেকটা দূরে সরে যাচ্ছে।
.
মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল সম্বন্ধে বলতে গিয়ে কোরআন বলেছে-
“আমি নিজ ক্ষমতা বলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই এর সম্প্রসারণকারী।”সূরা যারিয়াত-৪৭
.
এখন প্রশ্ন হলো, মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল সম্পর্কে যা জানলাম কয়েক দশক আগে, কুরআনে এই কথা প্রায় ১৪০০ বছর আগে কে উল্লেখ করল???
.
যারা এখন বলবে এইটা মোহাম্মদ (সা) উল্লেখ করেছেন তাদের কাছে আরেকটি প্রশ্ন , মুহাম্মদ (স) এর কাছে কি শক্তিশালী কোন টেলিস্কোপ
ছিলো, যা দিয়ে উনি গ্যালাক্সিগুলোর
সরে যাওয়া দেখেছিলেন ?
...
** পৃথীবির ডিম্বাকৃতি
.
আগে মানুষ ভাবত পৃথীবি সমতল। স্যার ফ্রনকিস ড্র্যাক ১৫৯৭ সনে প্রথম প্রমান করেন যে, পৃথিবী গোলাকার । কিন্তু কুরআন এর চেয়েও আরো সঠিক তথ্য দিচ্ছে..
.
পৃথীবির আকার সম্বন্ধে বলতে গিয়ে কোরআন বলেছে-
“আর আল্লাহ্ পৃথিবীকে উহার পর ডিম্বাকৃতি করে তৈরি করেছেন”[৭৯:৩০]
.
এখানে ডিমের জন্য ব্যাবহৃত আরবি শব্দ হচ্ছে “دَحَاهَا” , যার অর্থে হচ্ছে উট পাখির ডিম, এবং উট পাখির ডিমের আকৃতি হল পৃথিবীর মত। স্যাটেলাইট হতে প্রাপ্ত ছবি ও বিভিন্ন জটিল যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পরীক্ষা- নীরীক্ষার দ্বারা সুনিশ্চিত হওয়া গেছে আমাদের এ পৃথিবী exactly উট পাখির ডিমের ন্যায়।
.
এখন প্রশ্ন হলো, পৃথীবির আকার সম্পর্কে যা জানলাম কয়েক দশক আগে, কুরআনে এই কথা প্রায় ১৪০০ বছর আগে কে উল্লেখ করল???
...
** চাঁদের আলো
.
আগের সভ্যতা গুলোর ধারণা ছিল,চাঁদের নিজস্ব আলো আছে।কিন্তু বিজ্ঞান বর্তমানে আমাদেরকে বলে যে,চাঁদের আলো হচ্ছে প্রতিফলিত আলো
.
চাঁদের আলো সম্বন্ধে বলতে গিয়ে কোরআন বলেছে-
"কত কল্যাণময় তিনি, যিনি নভোমন্ডলে সৃষ্টি করিয়াছেন রাশিচক্র এবং উহাতে স্থাপন করিয়াছেন প্রদীপ এবং চাঁদ- যাহার
রহিয়াছে ধার কার আলো"।
(সূরা ফুরকান:৬১,ইউনুস:৫)
.
এখন প্রশ্ন হলো, চাঁদের আলো সম্পর্কে যা জানলাম কয়েক দশক আগে, কুরআনে এই কথা প্রায় ১৪০০ বছর আগে কে উল্লেখ করল???
...
** সূর্যের আবর্তন
.
এই মাত্র বিংশ শতাব্দীতে মানুষ মনে করত সূর্য স্থীর তা চারপাশে আবর্তন করে না। কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞান স্বীকার করে যে সুর্য স্থীর নয় তা কক্ষপথে বিচরণ করে
.
সূর্যের আবর্তন সম্বন্ধে বলতে গিয়ে কোরআন বলেছে-
“তিনি সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন এবং চাঁদ ও সূর্য। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।” (সূরা আম্বিয়া -৩৩)
.
এখন প্রশ্ন হলো, সূর্যের আবর্তন সম্পর্কে যা জানলাম কয়েক দশক আগে, কুরআনে এই কথা প্রায় ১৪০০ বছর আগে কে উল্লেখ করল???
এইরকম আরো পদার্থ বিজ্ঞান, পানি বিজ্ঞান, .ভূতত্ব বিজ্ঞান, সমুদ্র বিজ্ঞান, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, প্রানী বিজ্ঞান ইত্যাদি সম্পর্কে অসংখ্য তথ্য বর্তমানে যা জানলাম কয়েক দশক আগে কুরআনে প্রায় ১৪০০ বছর আগে তা উল্লেখ করা হয়েছে..
.
এখন প্রশ্ন হল, ১৪০০ বছর আগে কুরআনে এইসব বিষয়ে কে উল্লেখ করল????
এইখানে নিসন্দেহে অন্য কোন উপায় থাকবে না, সৃষ্টিকর্তা, উৎপাদনকারী, প্রস্তুতকারক ইত্যাদি উত্তর দেয়া ছাড়া!
.
এই সৃষ্টিকর্তা, উৎপাদনকারী, প্রস্তুতকারীকেই আমর মুসলিমরা বলি আল্লাহ!
.
তারপরে ও যেসব নাস্তিকরা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করবে না তাদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন,,
এতে সন্দেহ নেই যে, আমার নিদর্শন সমুহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের অধিকারী।
(সুরা নিসা:৫৬)