বর্তমান সমাজে এখন অনেক মানুষ কোরবানি দেয় লজ্জায় পড়ে এবং নিজের বড়ত্ব মানুষকে দেখানোর জন্য। যার ফলে এখন কে কয়টি এবং কত দামে কোরবানি দিবে এই ব্যাপারে শিরকি প্রতিযোগিতায় নেমে যায়। তারা কোরবানি দেয়ার আগে ভাবে সমাজে আমার এত প্রভাব, যদি আমি একটি এবং অল্প দামে কোরবানী দেই তাহলে লোকে কি বলবে?। তারা আরো ভাবে অমুকে আমার চেয়ে কম পয়সাওয়ালা হয়ে এত দামে কোরবানি দিচ্ছে যদি আমি তার চেয়ে বেশি দামে না দেই তাহলে আমার মান-সম্মান কোথায় থাকবে?।
আল্লাহর কসম করে বলছি, যদি আপনার ভিতর এইরকম চিন্তা-ভাবনা থেকে থাকে তাহলে আপনি জেনে রাখুন,
পশু কোরবানীর বদলে আপনি আপনার ঈমান শিরকের মাধ্যমে কোরবানী করতেছেন!
.
মনে রাখবেন,,
শিরক এমন একটি গুনাহ যা করলে ঈমান এবং পূর্বের সমস্ত আমল সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে যায়। কিয়ামতের দিন আল্লাহ সুবাহান্তায়ালা যেকোন গুনাহ ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরকের গুনাহ কস্মিনকালে ও ক্ষমা করবেন না।
আল্লাহ বলেন,,
নিসন্দেহে আল্লাহ ইচ্ছা করলে যেকোন গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না
(সুরা নিসা :৪৮,১১৬)
.
রাসুল্লাহ (সা) বলেছেন,,
“আমার সামনে জিব্রাঈল আবির্ভূত হলেন। তিনি বললেন, আপনি আপনার উম্মতদের সুসংবাদ দিন, যে ব্যাক্তি আল্লাহর সংগে কাউকে শরিক না করা অবস্থায় মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললাম, যদিও সে যিনা করে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে? তিনি বললেন: যদিও সে যিনা করে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে।
[সহিহ বুখারি :১২৩৭,মুসলিম:৯৪]
.
শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় ধ্বংসত্মাক বিষয়। শত পাপ করলে ও কিয়ামতের দিন তা ক্ষমার সম্ভবনা আছে কিন্তু শিরকের পাপ ক্ষমার কোন সম্ভবনাই নেই এবং তা নিসন্দেহে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।
তাই আবারও বলছি কুরবানি দেয়ার আগে অন্তত একবার ভেবে দেখবেন,
পশু কোরবানি বদলে আপনার ঈমান যেন শিরকের মাধ্যমে কোরবানি না হয়ে যায়!
.
সুতারং কোরবানি হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য, লজ্জায় পড়ে কিংবা নিজের বড়ত্ব মানুষকে দেখানো জন্য নয়!