somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এফসিপিএস-এর সাতকাহন

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশের সাধারণ মানুষদের একটা অংশের কাছে এমবিবিএস পাশ করা হতভাগা ডাক্তারদের উপাধি হল ‘সিম্পল’ এমবিবিএস ডাক্তার। তাই এমবিবিএস পাশ করে তরুণ ডাক্তাররা এখন আর বসে থাকেন না। তারা ‘সিম্পল’ উপাধি দূর করতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনে লেগে পড়েন। এদের মধ্যে একটি বড় অংশ এফসিপিএস ডিগ্রী অর্জনের চেষ্টা করেন।



এফসিপিএস ডিগ্রীর ন্যূনতম সময় চার বছর হলেও ডিগ্রীটি অর্জন করতে কি পরিমাণ সময় লাগে, তার ধারণা পাওয়া যায় যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিডিং রুমে যাওয়া হয়। এফসিপিএস পরীক্ষার আগ দিক দিয়ে রিডিং রুমে গেলে দেখা যায় যারা পড়াশোনা করছেন তাদের কারও মাথায় চুল নেই, কারও দাড়ি পেকে গেছে, কারও চুল আছে কিন্তু দেখলেই বুঝা যায় বয়স পঁয়ত্রিশ পার হয়েছে। এদের মধ্যে এমন ডাক্তারও আছেন যার সন্তান ও তিনি পরীক্ষার দিন একসাথে বের হন, পরীক্ষা দেবেন বলে!



এসসিপিএস ফাইনাল পরীক্ষা বছরে দুইবার হয়। যারা ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার শর্ত পূরণ করেছেন তারা আল্লাহর নাম নিয়ে পরীক্ষা দিতে শুরু করেন এবং মনকে বুঝিয়ে নেন যে এফসিপিএস মানে- ‘ফেইল কনফার্ম পাশ সেলডম’!! হ্যাঁ, এ পরীক্ষা এমনই কড়া হয় যে একবার দুবারে পাশ করার ঘটনা খুব কম। তাই চতুর্থ বা পঞ্চম বারের মত ফাইনালে বসছেন এরকম ডাক্তারের সংখ্যাটাই বেশী। একই সাথে, এই পরীক্ষার পদ্ধতিটি এমন যে, শুধু পড়ালেখা করে একজন এফসিপিএস করে বের হয়ে আসবেন সেই সুযোগ নেই। বরং, কারা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্ববধানে সিনসিয়ারলি ট্রেইনিং করেছেন তথা রুগীদের পাশে থেকে, রুগীদের সেবা দিয়ে নিজেদের দক্ষ করে তুলেছেন এবং একই সাথে যে বিষয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন সেই বিষয়ে যথেষ্ট (মানে- অনেক) জ্ঞান অর্জন করেছেন, তা এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট বের হয়ে আসে। সে হিসেবে এই পরীক্ষায় পাশ করা ডাক্তারদের মান প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। বিদেশের যে কোন স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর চেয়ে কোন অংশে কম নয়, বরং কিছু ক্ষেত্রে বেশীই।



কিন্তু কিভাবে হয় এই পরীক্ষার শুরু? কোন শর্ত পূরণে একজন এফসিপিএস ফাইনালে বসতে পারেন? চলুন, একটু গোঁড়া থেকে জেনে নেই- Fellow of College of Physicians and Surgeons (সংক্ষেপে এসসিপিএস) বাংলাদেশের চিকিৎসকদের অন্যতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রী। এটি প্রদান করে Bangladesh College of Physicians and Surgeons নামক বাংলাদেশ সরকারের বিধিবদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয় এই প্রতিষ্ঠান থেকেই পাশ করা ফেলোদের মধ্য থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা। এমবিবিএস পাশ করার পর একজন ডাক্তারের বেছে নিতে হয় সে কোন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নেবে। ইন্টার্নশিপের সময় মেডিসিন, সার্জারি ও গাইনী-অবস্ ওয়ার্ডে কাজ করতে গিয়েই অনেক তরুণ ডাক্তার তাদের পছন্দের বিষয় বেছে নেন। কেউ শুধু ইন্টার্নাল মেডিসিনে বা জেনারেল সার্জারি বা গাইনী ও অবসটেট্রিক্স বিষয়ে থেকে যান আর কেউ কেউ ডিগ্রী নেন অন্যান্য সাব-স্পেশালিটিতে (যেমন: নিউরোলজি, নিউরোসার্জারী ইত্যাদি)। আবার কেউবা বেসিক সাবজেক্টে (তথা এনাটমি, ফিজিওলজি, প্যাথোলজি ইত্যাদি) ক্যারিয়ার করেন।



বিসিপিএস ক্লিনিকাল (অর্থাৎ মেডিসিন, সার্জারি ও গাইনী-অবস)ও বেসিক সাবজেক্ট উভয়টিতেই ফেলোশিপ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে অধিকাংশ ডাক্তার এফসিপিএস সাবস্পেশালিটিতে না করে ইন্টার্নাল মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি ও গাইনী-অবস্-এ করেন। (সাবস্পেশালিটি করতে চাইলে তারা সাধারণত এমডি ও এমএস করার চেষ্টা করেন।) এফসিপিএস পরীক্ষাকে দুটো অংশে(তথা পার্টে) ভাগ করা হয়েছে। ফাস্ট পার্ট পরীক্ষাটিকে এফসিপিএস-এ এনট্রেন্স পরীক্ষার মত বিবেচনা করা যায়। একজন ডাক্তার এমবিবিএস পাশ করে ইন্টার্ন শেষ করার ন্যূনতম এক মাস পনেরো দিন পরে এই পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে পরবর্তীতে যে কোন সময় এই পরীক্ষা দিতে কোন বাঁধা নেই।



এফপিসিএস ফার্স্ট পার্ট পাশ করলে একজন সেকেণ্ড পার্টে অংশগ্রহণ করার একটি শর্ত পূরণ করলেন। সেকেণ্ড তথা ফাইনাল পার্টে অংশগ্রহণ করার আরও দুটি শর্ত হল: এক, তিন বছর ট্রেইনিং ও একবছর কোর্স (তথা ক্লাস) বা এক বছর পেইড পোস্টে ট্রেইনিং এবং দুই, বিসিপিএস অনুমোদিত একজন সুপারভাইজারের অধীনে একটি ডিসারটেশন সাবমিট করা।



তিন বছর ট্রেনিং-এর বিষয়টিতে কোন প্রতিষ্ঠানকে সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয় না। বরং ডিসট্রিক্ট লেভেল হাসপাতাল থেকে শুরু করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের যেখানে একজন এফসিপিএস করা কনসালটেন্ট আছেন তার সুপারভিশনে ট্রেইনিং করা যায়। ট্রেইনিং-কে ছয়মাসের ক্ষুদ্র ভাগে বিভক্ত করে দেয়ায় নিজের সুবিধে মত ছয় মাস ছয় মাস করে তিন বছর ট্রেইনিং শেষ করার সুযোগ আছে। তবে প্রত্যেকবার ট্রেইনিং শেষে বিসিপিএস-এর ডাটাবেজে আপডেট করে আসতে হয়।(২০১২ সাল থেকে নতুন নিয়ম অনুযায়ী)। একজন ডাক্তার যে বিষয়ে এফসিপিএস করছেন তার উপর ভিত্তি করে ট্রেইনিং-এর শর্তের কিছুটা ভ্যারিয়েশন আছে। (বিসিপিএস-এ ওয়েবসাইট থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যাবে: http://www.bcpsbd.org)



ট্রেইনিং ‘অবৈতনিক’ ভাবেও করা যেতে পারে, আবার ‘বৈতনিক’-ও হতে পারে। তবে, ‘বৈতনিক’ ট্রেনিং পোস্ট কম হওয়ায় অধিকাংশ ব্যক্তিই অবৈতনিক ভাবে ট্রেইনিং শেষ করার চেষ্টা করেন। যারা বিসিএস-হেল্দ ক্যাডারে সরকারী চাকুরী করছেন তারা উপজেলায় দুবছর পার না করে ট্রেইনিং পোস্টে আসতে পারেন না। আবার ট্রেইনিং পোস্ট কম থাকায় ঘুষ-তদবির ছাড়া ট্রেইনিং পোস্টে আসা যায় না। সে হিসেবে যারা এমবিবিএস-এর পর পর সরকারী চাকুরী করছেন তাদের এফসিপিএস শর্ত পূরণের সুযোগ পেতে পেতেই বয়স ত্রিশ পার হয়। (লক্ষ্যনীয়, এমবিবিএস পাশ করে ইন্টার্ণশিপ শেষ করতে করতে বয়স পঁচিশ থেকে ছাব্বিশ হয়ে যায়)। সুতরাং তারা ফাইনাল পার্টে বসতে বসতেই পয়ত্রিশে পা দেন। (অন্যদিকে, যারা এমবিবিএস পাশ করে অনারারী ট্রেইনিং করে শর্ত পূরণ করেছেন কিংবা ফাইনালে বসে পাশও করে ফেলেছেন তারা যদি শেষ মুহূর্তে বিসিএস-স্বাস্থ্য ক্যাডারে ঢুকতে পারেনও চাকুরীর মেয়াদে তারা জুনিয়র হয়ে পড়েন। এদের প্রমোশন হয় দেরীতে।)



ডিসারটেশন করতে হয় দু’ধাপে। প্রথম ধাপে শর্ত হল, ফার্স্ট পার্ট পাশ করার পর বিসিপিএস-এর তিন দিনব্যপী ডিসারটেশন ট্রেইনিং-এ অংশগ্রহণ করতে হবে। এরপর, বিসিপিএস অনুমোদিত একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে সুপারভাইজার হিসেবে ঠিক করতে হবে। তার সাথে আলোচনা করে একটি বিষয় ঠিক করতে হবে এবং উক্ত বিষয়ে একটি প্রটোকল লিখে বিসিপিএস-এ জমা দিতে হবে। প্রটোকল জমা দেয়ার দেড় বছর পরে কেবল ফাইনাল পরীক্ষায় বসা যাবে। দ্বিতীয় ধাপে, প্রটোকল বিসিপিএস থেকে অনুমোদিত হলে রিসার্চ সম্পন্ন করে ডিসারটেশন জমা দিতে হবে ফাইনাল পরীক্ষার ন্যূনতম ছয়মাস আগে। ডিসারটেশন বিষয়টিতে প্রয়োজনীয় খরচাদি, দৌড়াদৌড়ি এবং পড়াশোনা করতে হবে পরীক্ষার্থীর নিজের। সুপারভাইজর ও বিসিপিএস-এর সংশ্লিষ্ট ডাক্তাররা শুধ ভুল হলে বারবার ভুল ধরিয়ে দিবেন। ফলে ট্রেনিং-এর পাশাপাশি ডিসারটেশনের কাজটি একজন ডাক্তারের জন্য যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।



যাই হোক, একজন ডাক্তার উপরোক্ত সকল শর্তপূরণ করে এফসিপিএস সেকেণ্ড পার্ট তথা ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে পারেন। রিটেন, ওএসপিই, শর্ট কেস, লং কেস, ভাইভা প্রত্যেকটি পর্যায়ক্রমিক অংশে পৃথকভাবে পাশ করতে পারলেই কেবল একজন ডাক্তার বিসিপিএস-এর ফেলো হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। এই পরীক্ষার সময় একজন পরীক্ষার্থীর জীবনে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। কেউ এই ঝড়ে বেঁচে বের হন। কেউ ফিরে যান বাড়িতে ছয়মাস বা একবছর পর পুনরায় ‘ঝড়ে’ পড়ার জন্য। কেউ কেউ আবার আশা ছেড়ে দিয়ে ‘সিম্পল’ এমবিবিএস-ই থেকে যান শেষ পর্যন্ত।



আমাদের ইউনিভার্সিটির গ্র্যাডুয়েট ভাই বা বোনেরা যখন ছাব্বিশ বছর বয়সে মাস্টার্স শেষ করে চাকুরী করে সাত আট বছর পার করে দিচ্ছেন (ধরে নিলাম চাকুরী পাশের পরপরই পেয়ে গেছেন) তখন ডাক্তাররা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী পরীক্ষা দেয়ার জন্য নিজেকে কেবল তৈরী করতে পেরেছেন। সুতরাং এই ডাক্তাররা যদি আরও ঝড়ঝঞ্চা পেরিয়ে এফসিপিএস ডিগ্রীটি অর্জন করতে পারেন তখন তারা যদি আপনাদের কাছ থেকে চিকিৎসা পরামর্শের বিনিময়ে বৈধ উপায়েই পাঁচশটি টাকা নেন তখনকি খুব বেশী দাবী করে ফেলেন? (প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ায় একজন জেনারেল প্র্যাকটিশনারের ফি পঞ্চাশ ডলার তথা প্রায় চার হাজার টাকা এবং একজন স্পেশালিস্ট ডাক্তারের ফি একশত পঞ্চাশ ডলার তথা প্রায় বার হাজার টাকা।)



পাঠক, উত্তরটি বিবেচনার ভার আপনাদের উপরই ছেড়ে দিলেম।



লেখক: আবদুল্লাহ সাঈদ খান
http://journalbd.com
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×