এইচ,এম,পারভেজ
পৃথিবীর সবচে সুন্দর ভাষায় তুমি তোমার বন্ধুত্বের কথা বলেছ। এই জীবনে এরচে বড় উপহার আমার আর কিছু নেই। এরচে বড় পাওয়া আমার আর কিছু নেই। আমার জীবনে বন্ধুত্বের সূচনা তোমাকে দিয়ে, সমাপ্তিও হবে তোমাকে দিয়ে। আমার জীবনে আমি তোমাকে আলাদা করে ভাবিনি। তোমাকে পাওয়ার চেয়ে না পাওয়ার অফুরন্ত আশায় নিজকে বিলিয়ে দেব। এই হবে আমার প্রায়শ্চিত্ত।
আমার কথা শুনে তোমার কিছুটা সময় হয়তো নষ্ট হলো। নষ্ট সময়ের কথা মনে রাখবে না প্লীজ। মনে রেখেই কি লাভ শুধু জ্বালা বাড়াবে। কখনও যদি আমার কথা তোমার মনে পড়ে, ছবিটা একটু দেখবে, অথবা ফেলে দিবে। ঝিনুকের বুকে নাকি কষ্ট লুকানো থাকে। একটা ক্ষুদ্র ঝিনুকের বুকে কতোটা কষ্ট লুকিয়ে আছে দেখবো, যদি ঝিনুক খুঁজে পাই। সবাই সুখের ভাগ দেবার প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু নিজের সুখ তার নিজের অধিকারেই থাকে, এর ভাগ কাউকে দেয়া যায় না।
আর কি হবে বল, মৃতপ্রায় মানুষকে তবুও বাঁচানো যায়, মৃত প্রেমকে বোধহয় কোনভাবেই আর বাঁচানো যায় না। তোমার চিঠির জন্য প্রতীক্ষা করতে আমার ভাল লাগে। সেই প্রতীক্ষার প্রহরে তোমাকে বলার জন্য কিছু কথার মালা সাজিয়ে রাখবো যদিও তার কোনটাই তোমাকে কোনদিনই জানতে পারবে না, দিব না। দম বন্ধ হয়ে আসছে। কিন্তু কাউকে বুঝতে দেয়া যাবে না। নিজের কষ্ট অন্যের কাছে প্রকাশ পেয়ে যাওয়াকে দুর্বলতা মনে হয় আমার।
অর্থ,আভিজাত্য আর ভালোবাসাকে মনপ্রাণ দিয়ে ঘৃণ্য করে ও। মনে মনে ভাববো .......... নামের কেউ নেই। কাউকে কোনদিন ভালোবাসিনি। আর যদি ভালবেসে থাকি, তাহলে আমার ভালোবাসার অপমৃত্যু হয়েছে। ওর জীবনটা শেষ হয়ে গেছে। একটা জীবনে ভালবাসা একবারই আসা উচিত। ওরও তাই এসেছিলো। কিন্তু নির্মম নিয়তি ফিরিয়ে নিলো, সেটা আবার। ও জীবনে আর কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পর্যন্ত পারবে না।
তুমি যখন একণ্ডচ্ছ আশা নিয়ে আমার সামনে দাঁড়াবে, হয়ত সেদিন আমি তোমাকে দেওয়ার মত কিছুই থাকবে না। শুধু থাকবে দু-চোখের অশ্রু আর মলিন মুখের একটি হাসি।
নীলার এই চলে যাওয়া ওর মধ্যে এমন একটা শূন্যতার সৃষ্টি করল যে নিজের জগতকে সে সংক্ষিপ্ত করে ফেলল কবিতা আর গানের মাঝে। এমনি করে চলে গেল অনেকণ্ডলো দিন। সময় যখন বৃদ্ধ ঘোড়ায় ভর করে, স্মৃতিণ্ডলো তখন অনেক বেশী সক্রিয় হয়ে ওঠে। নিজের মধ্যে একটা পরিবর্তন টের পেল সে। সান্তনা কোনদিন ব্যাথা লাঘব করতে পারেনা বরং উসকে দেয়। সময় সত্যিই এখন ওল্ড জিপসীম্যান হয়ে গেছে, বয়সের ভারে হাঁটতে পারছে না। অথচ পরীক্ষার হলে বসলে এই বুড়ো যাযাবর এতো শক্তি কোথায় পায় ভাবতে গিয়ে অবাক হতে হয়। বর্তমানণ্ডলো ধীরে ধীরে স্মৃতির কোমল বক্ষে চলে যাচ্ছে। স্মৃতিগুলো উসকে দেয় না কিন্তু ঘুন পোকার মতো কুঁরে কুঁরে খায়, মন নামক বস্তুটার সমস্ত আবরণ। এই কষ্ট কাউকে বলে বা দেখিয়ে বোঝানোর তৃপ্তি মেলে না । এ শুধু নিজের জন্য।
====================
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪০