আপনি যদি একজন নতুন এবং শিক্ষানবীশ উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন, তাহলে ইনবাউন্ড মার্কেটিংয়ের কনসেপ্টটা ভালোভাবে আত্মীকরণ করা উচিৎ। প্রযুক্তির অবারিত আশীর্বাদে সৃষ্টি হয়েছে নতুন ধারার সুযোগ, বেড়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এই সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে আপনি শীর্ষে উঠবেন নাকি মিডিওকার হয়ে রইবেন তা নির্ভর করছে একান্তই আপনার ওপর। বিশাল অংকের টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন নির্মাণ অথবা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রডাক্ট কিনতে উৎসাহী করা, এসব হ্যাপা পোহাতে আপনার আপত্তি থাকতেই পারে। আপনি নির্ঝঞ্ঝাট, নির্বিরোধী মানুষ, অথবা আপনার অত টাকা বা লোকবল নেই। তাহলে কী করা যায়? প্রচার ছাড়া তো পণ্যের প্রসার সম্ভব না। এসব ভেবে মন খারাপ করার কিছু নেই। আপনার কাছে একটি কম্পিউটার, একটি মোটামুটি ভালো মানের ডিজিটাল ক্যামেরা আছে তো? ব্যস, আপাতত আর কিছু লাগবে না। আপনি ইনবাউন্ড মার্কেটিংয়ের জন্যে প্রস্তুত। ব্লগ পোস্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, অডিও ক্লিপ, ভিডিও ইত্যাদির মাধ্যমে ঘরে বসেই পণ্যের বিপনন এবং প্রচারের পদ্ধতিটাই হলো ইনবাউন্ড মার্কেটিং। ঠিকঠাক মত এসবের ব্যবহার আপনাকে দিতে পারে অভাবনীয় সাফল্য। তবে অন্য সব ক্ষেত্রের মত এখানেও সাফল্য পেতে হলে পরিশ্রম এবং বুদ্ধিদীপ্ত কৌশল প্রয়োগের বিকল্প নেই।
এক্ষেত্রে এই উক্তিটি মনে রাখা জরুরী, “It’s Not What You Say—It’s What Others Say about You. ‘
আপনি মনস্থির করে ফেলেছেন যে ইনবাউন্ড মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ঘটাবেন। আপনাকে অভিনন্দন। এবার এটাও ভাবুন আপনার পণ্যের টার্গেটেড অডিয়েন্স কারা। আপনি যা করতে যাচ্ছেন তাতে কি বিশ্বমান অর্জিত হবে? যদি না হয়, তাহলে আপনার মার্কেটিং স্ট্রাটেজি পরিবর্তন করুন এখনই।
Answer the question: “What are you the world’s best at?” If the answer is “nothing,” re-think your strategy to get narrower or innovate across alternatives.”
এ প্রসঙ্গে সত্তর দশকের আমেরিকান হিপ্পি ব্যান্ড গ্রেটফুল ডেড এর কথা এসে যায়। তাদের সঙ্গীত দর্শন ছিলো অন্য সবার থেকে আলাদা। রক’ন রোল এবং জ্যাজের ফিউশনে তারা সম্পূর্ণ নতুন ধরণের মিউজিক তৈরি করেছিলো। বিটলস বা রোলিং স্টোনের মত গগনচুম্বী জনপ্রিয়তা পাবার কোন আকাঙ্খা তাদের ছিলো না সঙ্গত কারনেই। তারা পেয়েছিলো একটি বিশেষ শ্রোতাগোষ্ঠী। এই বিশেষ অডিয়েন্সের জন্যেই তারা গান করতো। অন্যান্য ব্যান্ডগুলির আয়ের মূল উৎস ছিলো এ্যালবাম বিক্রি। গ্রেটফুল ডেডের ক্ষেত্রে তা ছিলো বিশ্বব্যাপী ট্যুর। এমন কী তাদের শ্রোতারা সেখানে গান রেকর্ড এবং বিলি করতে পারতো। গ্রেটফুল ডেডের এই দর্শন নিঃসন্দেহে একটি ব্যতিক্রমী এবং কার্যকর পদ্ধতি ছিলো। ইনবাউন্ড মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ‘ইউনিক’ হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া সবসময় বিকল্প তৈরির ক্ষমতা থাকতে হবে। আরেকটি উদাহরণ দেয়া যাক। সান ডিয়েগোতে মাংকি রেঞ্চ নামক একটি প্লাম্বার কোম্পানি ছিলো। সে জায়গায় এবং সেই সময়ে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো না কেউ। পরে তারা যখন ব্যবসা বাড়িয়ে নিউ ইয়র্ক, স্যান ফ্রান্সিসকো, টেক্সাস, পুয়ের্তো রিকো, ইতালি প্রভৃতি জায়গায় নিয়ে গেলো, তখন তারা ব্যবসায় মার খেতে শুরু করলো। কারণ একই প্রোডাক্টের আরো অনেক কোম্পানি ছিলো সেসব জায়গায়। তখন তারা করলো কী, বা-হাতিদের জন্যে পন্য উৎপাদন শুরু করলো। এবার তারা বিপুল সাফল্য পেল।
তত্ত্বগতভাবে এ ধরণের কৌশলকে মার্কেটিংয়ের ভাষায় বলা হয়, “রিমার্কেবল স্ট্রাটেজি”।
বিশিষ্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজি বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড হ্যাক্স এর একটি উক্তি এই ব্যাপারে প্রনিধানযোগ্য ““Watch your competitors, but don’t follow them.”
তো আপনার কাঙ্খিত গন্তব্য এবং কৌশল ঠিক করে ফেলুন তবে! এরপর আপনি বিভিন্ন ছোট-খাট ইন্টারনেট প্রোগ্রাম দিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন। যেমন,
ব্লগ পোস্ট- এক পৃষ্ঠার মধ্যে ব্লগ লিখে ফেলুন। সহজ ভাষায়, অযথা অপ্রয়োজনীয় শব্দ ব্যবহার না করে। এক্ষেত্রে URL তে ব্লগের প্লাটফর্ম এর নাম না থেকে(যেমন, .blogger.com, .typepad.com অথবা .wordpress.com) আপনার কোম্পানির নাম রাখলে ভালো হয়। শুধুমাত্র নিজের ঢোল না পিটিয়ে প্রাসঙ্গিক লিংক দিতে পারেন ৫-১০টি। সাম্প্রতিককালে কী পড়েছেন, কী দেখেছেন এসব শেয়ার করতে পারেন।
ভিডিও—আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ২-৩ মিনিটের ভিডিও বানান। পণ্য সম্পর্কেও বানাতে পারেন।
ওয়েবাইনারস—ইন্টারনেটে আপনার পণ্য এবং প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে লাইভ পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করতে পারেন।
পডক্যাস্ট- ১০ থেকে বিশ মিনিটের অডিও ক্লিপ বানাতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকার রাখতে পারলে তা দারুণ ফলপ্রসু হবার সম্ভাবনা আছে।
ওয়েবকাস্ট- লাইভ ভিডিও প্রোগ্রাম নির্মাণ করতে পারেন।
ইনবাউন্ড মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো Search engine optimization (SEO). আপনি অনলাইন জগতের বিশাল বিশ্বে এক কোণায় নিজের ঘর বানিয়ে রাখলেন, কিন্তু মানুষকে তার ঠিকানা দিলেন না। তাহলে মানুষ কীভাবে চিনবে? ইনবাউন্ড মার্কেটিংয়ের মূল মন্ত্রটাই হলো এই- Get found in the internet. তাই এমনভাবে আপনার কনটেন্ট লিখতে হবে যেন সার্চ ইঞ্জিনগুলো সহজেই আপনাকে খুঁজে পায়। এজন্যে বিশেষ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন।
আপনার কনটেন্ট এ যথাসম্ভব ক্লিকেবল টেক্সট বা হাইপার লিংক সংযুক্ত করুন। ইনবাউন্ড মার্কেটিংয়ের ভাষায় এটিকে বলা হয় Anchor text. ধরুন, আপনি হাইপার লিংক করে লিখলেন “The best e-book service of Bangladesh”, তাহলে কেউ এই নামে সার্চ করলে সরাসরি আপনার ওয়েবসাইট নির্দেশিত হবে।
উপযুক্ত শিরোনাম দেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোন কনটেন্ট লিখতে পঞ্চাশ ভাগ সময় শিরোনামের জন্যে এবং বাকি সময়টা লেখার জন্যে দিতে হবে। যথার্থ শিরোনাম দিলে তা সার্চের ক্ষেত্রে দারুণ ফলাফল এনে দিতে পারে। কিছু শিরোনামের নমুনা দেয়া হলো যেগুলো আর্টিকেলকে ভাইরাল করতে সাহায্য করেছিলো।
8 Marketing Tips From An Olympic Gold Medalist
10 Leadership Lessons From Don Corleone
Steve Jobs & Guy Kawasaki—Powerpoint Best Practices
7 Signs You Should Run Screaming From An SEO Consultant
How To Convince A CEO To Enter 21st
এখান থেকে দেখা যায় যে মানুষ সংখ্যাবাচক শিরোনাম পছন্দ করে। এছাড়াও বিখ্যাত নাম(যেমন ডন কর্লিওনি, স্টিভ জবস) থাকলে তা অনুসন্ধানে সাহায্য করে।
গুরুত্বপূর্ণ অংশটি বাক্যের প্রথমে দিন। কোম্পানির নাম শিরোনামের শেষে দিন। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলো প্রথমে থাকার সুযোগ পাবে। সাবধান, দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সস্তা এবং রুচিহীন শিরোনাম দেবেন না। এতে সামগ্রিকভাবে ক্ষতিই হবে।
তবে আপনি যদি আপনার লিংক ম্যানুয়ালি সাবমিশন করতে চান, তাহলে http://www.Google.com/addurl এই সাইটে চলে যান।
আপনার সাইট কেমন চলছে? মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছুতে পারছে কী? তিনটে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহজেই যাচাই করে নিতে পারেন।
www.alexa.com- ওয়েবসাইটের র্যাংকিং জানতে পারবেন।
http://www.centralask.site/delicious/ - কতজন সাইট বুকমার্ক করেছে তা জানা যাবে।
https://website.grader.com/ -বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ওয়েবসাইট ১০০’র মধ্যে কত নম্বর পাবে তা জানতে পারবেন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে ভালো ফল পেতে চাইলে আগে জানা দরকার কীভাবে তারা কাজ করে। গুগলের কথাই ধরা যাক,
গুগলের সার্চবক্সে কিছু লিখলে বিলিয়ন বিলিয়ন ইনডেক্স পেইজের মধ্যে থেকে কাছাকাছি ফলাফল নিয়ে তা প্রকাশ করে। এরপর তা উচ্চমান থেকে নিম্নমান বরাবর সাজায়। কিন্তু এই মান কীভাবে নির্ধারিত হয়? Relevance এবং authority এই দুটো এই দুইটি প্যারামিটার এ ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। কোন কিছু খুঁজতে গেলে তা কোন ওয়েবসাইটের সাথে কতটা সাযুজ্যপূর্ণ এটা নির্ণয় করাই হলো relevance. টাইটেল ট্যাগ, পেইজ কনটেন্ট এবং এ্যাংকর টেক্সট সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে এক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব হয়।
আর authority হলো, সাইটটি কতটা নির্ভরশীল এবং বিশ্বাসযোগ্য। অন্য সাইটগুলো কতবার উদ্দিষ্ট সাইটটিকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করেছে তা দিয়েই মূলত এটি নির্ণিত হয়। অন্য সাইটে কতবার উল্লেখিত হয়েছে তা গুরুত্বপূর্ণ। এটাকে বলা হয় Citation. তবে সব সাইটের Citation সমান গুরুত্ব রাখে না। যেসব সাইটের সাইটেশন বেশি তারা বেশি অথেনটিক হবে এটা বলাই বাহুল্য। গুগল জানে না আপনার পেইজ কতটুকু ভালো। তার চাই তথ্য। কয়টি সাইট আপনার পেইজকে লিংকড করেছে? এই সংখ্যা যত বাড়বে সাইটটিও পরিচিতি পেতে থাকবে। এ জন্যে কী করতে হবে? সহজ উত্তর, প্রচুর ভালো ভালো কন্টেন্ট লিখতে হবে। অন্যদের ব্লগে কমেন্ট করতে হবে। চিন্তাশীল এবং গঠনমূলক কমেন্ট। এর ফলে ভালো ভালো পেইজগুলো আপনাকে চিনবে, এবং রেফার করবে।
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, সঠিক কি ওয়ার্ড বাছাই করা। কোন কিছু সার্চ করতে গেলে আপনি কী ভাবেন? অন্যেরা কী ভাবে? আপনার প্রোডাক্টের সাথে সম্পর্কযুক্ত এসব ভাবনা নিয়ে গবেষণা করে সঠিক কি ওয়ার্ড নির্বাচন করুন। তবে কোন একটা নির্দৃষ্ট কি ওয়ার্ডের সার্চে আপনার ওয়েবসাইট প্রথম পৃষ্ঠার প্রথম জায়গাটা দখল করলেই যে সাইট প্রচুর ভিজিটর পাবে তা নয়। কোন কি ওয়ার্ড বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা জানবেন নিশ্চয়ই।
এভাবেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্যে কাজ করতে হয়।
কনভার্শন, এবং কল টু এ্যাকশন অনলাইন মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরী দুটো বিষয়।
সাইটে কোন ভিজিটর এলে তার সাথে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারটাকেই কল টু এ্যাকশন বলে। কনটাক্ট আস, ওয়াচ দিস ভিডিও, চুজ আ কালার ইত্যাদি নানারকম কল টু এ্যাকশন থাকতে পারে। এই মেনুগুলো প্রথম পেইজে সুবিধাজনক অবস্থানে রাখতে হবে যেন সহজেই তা ভিজিটরের দৃষ্টিগোচর হয়। কনটাক্ট আস জাতীয় সেকেলে পদ্ধতি ব্যবহার না করাই ভালো। এতে যোগাযোগের আনুষ্ঠানিকতা প্রলম্বিত হয়।
কনভার্শন হলো লিড (Lead) কে কাস্টমারে পরিণত করা। একজন ভিজিটর প্রথমবার সাইটে এসেই কাস্টমার বনে যান না। হয়তো বা তার ইচ্ছে আছে, কিন্তু নানা কারণে তা বাস্তবায়িত করা সম্ভবপর হচ্ছে না। এই সম্ভাব্য ক্রেতাদের নজরে রেখে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে হবে। এই পদ্ধতিকেই বলে কনভার্শন। তাকে ওয়েবসাইটের সাথে সংযুক্ত করুন। ব্লগে সাইন আপ করার ব্যবস্থা রাখুন, আরএসএস ফিডের মাধ্যমে আপডেটেড করুন। নিউজলেটার এবং ই-মেইল এর মাধ্যমেও সংযুক্ত করতে পারেন। এরকম যত বেশি অপশনের মাধ্যমে তাকে এনগেজড রাখা যাবে ততই তার ক্রেতা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
ভিজিটরদের লক্ষ্য করা এবং তাদের মনস্তত্ত্ব পাঠ করা ইনবাউন্ড মার্কেটিংয়ের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। অযথা হরেদরে সবাইকে ফোন বা ই-মেইল করার চেয়ে এমন একজনের সাথে যোগাযোগ করুন যে সত্যিই আগ্রহী। হুট করে কাউকে আউট অফ নোহয়্যার আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে ফোন করে তেমন কোন লাভ হবে না। কেউ আপনার দশটি প্রোডাক্টের মধ্যে একটি সম্পর্কে আগ্রহী হয়েছে; কোন সার্ভেতে অংশগ্রহণ করেছে বা ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করেছে এমন কাউকে ফোন করলে বরং তা ফলপ্রসু হবার সম্ভাবনা রয়েছে। একটি ভালো ওয়েবসাইট তার ‘লিড’দের ৫০%কে কনভার্ট করতে পারে।
তবে তাই বলে ভিজিটরদের সাইটে নিয়ে আসার চেয়ে কনভার্শন অধিক গুরুত্ব রাখতে পারে না। প্রায়োরিটি হওয়া উচিত এমন, ৮০% মনোযোগ দিতে হবে ভিজিটর যোগাড় করতে, এবং ২০% কনভার্শনে।
সনাতন মার্কেটিংয়ে সাধারণত ই-মেইলটাকেই গুরুত্ব দেয়া হয়। ইনবাউন্ড মার্কেটিংয়ে ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটার, লিনকেডিন, ডিগ, ব্লগ সবকিছুর সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ইনবাউন্ড মার্কেটিংয়ে গুগল একটি বিশাল অবদান রাখে। সনাতনী গুগল সার্চ সবসময় খুব বেশি কার্যকর নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে এ্যাডভান্সড গুগল সার্চ ব্যবহার করা উচিত। এখানে এ্যাডভান্সড গুগল সার্চের কিছু পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো:-
স্পষ্ট এবং বিস্তারিত ফলাফল পেতে ইনভার্টেড কমা ব্যবহার করুন। যেমন, মোহামেডান এর বদলে লিখুন “মোহামেডান”।
মাশরাফিকে সার্চ রেজাল্টে পেতে চান, কিন্তু এর সাথে ইনজুরি সংক্রান্ত কোন ফলাফল চান না। সেক্ষেত্রে হাইফেন ব্যবহার করুন। এভাবে- মাশরাফি-ইনজুরি।
একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের আওতায় রেজাল্ট পেতে চাচ্ছেন, তাহলে সার্চ কি-ওয়ার্ড ইনভার্টেড কমার ভেতর রেখে একটা কোলন দিয়ে ওয়েবসাইটের নাম লিখু। যদি http://www.somewhereinblog.net সাইটের মোহামেডান সংক্রান্ত লেখা পেতে চান তাহলে এভাবে লিখুন, “মোহামেডান”: http://www.somewhereinblog.net
Google index এ সাইটের মোট কতটি ভুক্তি আছে তা জানারও ব্যবস্থা আছে। খুব সহজ, facebook সম্পর্কে জানতে লিখুন,
কি-ওয়ার্ডের সাথে আরো শব্দ যোগ করতে এবং একই অর্থের আরো শব্দ যোগ করতে ~ ব্যবহার করুন। উদাহরণ- “Internet marketing”∼professional.
নির্দিষ্ট ধরণের ফাইল পেতে চাইলে সে ব্যবস্থাও আছে। যেমন, শুধু পাওয়ার পয়েন্ট ফাইল পেতে চাইলে, “Internet marketing” filetype:pptx
একাধিক শব্দকে একসাথে সার্চ করতে চাইলে ব্যবহার করুন OR command. খেয়াল রাখুন, OR অবশ্যই ক্যাপিটাল লেটারে লিখতে হবে।
উদাহরণ- Internet marketing OR advertising.
লেখাসূত্র- Brian halligan এবং Dharmesh shah এর বই Inbound Marketing.
(ক্রমাগত নীরস বানিজ্যিক পোস্ট দিতে থাকার জন্যে দুঃখিত)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০