আনন্দিত আন্দোলন
সকাল ৯টায় অফিসে এসে কিছুক্ষণ নিজের ডেস্কে কাজ করার পরে লিজার মধ্যে একটা বিদ্রোহী স্বত্তা জেগে উঠলো। তার মনে হলো এই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া উচিত। সে আর কিছু না ভেবে গটগট করে তাদের এমডি আহসান সাহেবের রুমে গেলো।
-স্যার! কিছু জরুরী কথা ছিলো। আপনার সময় হবে?
-এসো।
চশমাটা খসে গেলে মুশকিল! তাই নাক আর কানের সাথে চশমাটি ঠিকমতো বিন্যাস্ত করে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালেন লিজার দিকে।
-স্যার! আমার মনে হয় এই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া উচিত।
-আশ্চর্যের ব্যাপার! আমি নিজেও এই কথাই ভাবছিলাম। আচ্ছা, বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে তোমার যুক্তিগুলো কী কী বয়ান করো তো!
-কোন কারণ নেই। মনে হলো আর কী!
-বাঁচালে! যদি বলতে এইসব কর্পোরেট হুলিগানিজম, ম্যাটেরিয়ালিস্টিক জীবনযাপন, গ্রামে ফিরে চলো ইত্যাদি ইত্যাদি তাহলে বড় বিপদে পড়ে যেতাম। আমার নিজেরও মনে হচ্ছিলো বন্ধ করে দিলেই ভালো হয়। কোন কারণ ছাড়াই মনে হয় এমনটা। তোমারও মনে হয় জেনে ভালো লাগলো। জেন্টল পিপল থিঙ্কস এলাইক। এখন যাও ডেস্কে বসো অথবা সবাইকে জানিয়ে দাও এই আন্দোলনের কথা। আর আমি আজকে সারাদিন ঘুমাবো। ডোন্ট ডিস্টার্ব মি।
-থ্যাংকিউ স্যার!
এত সহজে, বিনা ব্যাখ্যায় স্যার বিষয়টি অনুমোদন করবেন লিজা ভাবতেই পারে নি। স্টিলের ব্যবসা তাদের। এক্সপোর্ট কোয়ালিটি স্টিল রপ্তানি করে উন্নত দেশগুলোয়। প্রতি বছরে লাভের অংক শুধু বেড়েই চলে। কর্মকর্তাদের মধ্যে কোন অসন্তোষ নেই। ভালো রকম ইনক্রিমেন্ট তো আছেই, উৎসবে-পার্বনে মোটা অংকের বোনাসও পায় সবাই। নিজ কক্ষে যাবার আগে লিজা আয়নার সামনে কিছুক্ষণ প্র্যাকটিস করে নেয় কী বলবে না বলবে সবার সামনে! উচ্চকণ্ঠ হয়ে সবাইকে শশব্যস্ত করে গলার রগ কাঁপিয়ে বক্তব্য দেয়ার কোনো দরকার নেই। অফিসের এটিকেট মেনেই সবাইকে বলা যাবে। তার কক্ষে সব মিলিয়ে আটজন বসে। সেখানে গিয়ে মৃদু উঁচু গলায় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সে,
"একটি বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অনেক তো কাজকম্ম হলো। এবার ছুটির পালা। আমার মতামত চাইলে বলবো, এনাফ ইজ এনাফ। এই প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধ করে দেয়া হোক। কারণ জানতে চান? কোনো কারণ নেই। আমাদের এমডি সাহবেও এই বিষয়ে একমত হয়েছেন।"
-সত্যি কথা বলতে কী, আমরাও এমনটাই ভাবছিলাম। গত বেশ কিছুদিন ধরে এটা নিয়ে আলোচনা করছিলাম আমরা। কিন্তু সাহস পাই নি বলতে। আপনি বলাতে সাহস পেলাম। এমডি সাহেবও রাজী হয়েছেন, সত্যি? তাহলে কাজ শুরু করে দেয়া যাক!
সবাই মিলে নানারকম কাগজ দিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন আর প্ল্যাকার্ড বানাতে থাকে। জ্বালাময়ী কোনো বক্তব্য ছিলো না সেখানে। প্রতিটা কক্ষে গিয়ে "ইউনাইটেড স্টিল করপোরেশন বন্ধ করো" লিখে সেঁটে দিয়ে ঘুমাতে গেলো সবাই। ঘুম থেকে উঠে হালকা নাস্তা করে সবাই মিলে একটা মিটিংয়ে বসে গেলো। এমডি সাহেব নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সেটার। তার ভাষণ শুনছিলো সবাই মনোযোগের সাথে।
"আই, এমডি আহসান মোল্লা, হেয়ার বাই ডিক্লেয়ার দ্যা শাট ডাউন অফ ইউনাইটেড স্টিল করপোরেশন, অন বিহাফ অফ...অন বিহাফ অফ...অন বিহাফ অফ মি!"
তার এহেন রাজনৈতিক সুষমামণ্ডিত, প্রভাবিত বক্তব্য শুনে কেউ কেউ বেশ খুশি হন, আবার মৃদু উষ্মাও প্রকাশ করেন অনেকে।
-স্যার, এইটা কী বললেন! আপনি কড়া ডানধারার সমর্থক হতে পারেন, কিন্তু সবার সামনে সেটা এভাবে প্রকাশ করায় আমাদের অনুভূতি আঘাত পেয়েছে।
আরেকদল এর প্রতিবাদ করেন,
"সবকিছু নিয়ে অনুভূতি গেলো গেলো বললে তো হবে না। আপনারা সব সময় আমাদের আগে এ্যাটাক করেন।"
বেশ একটা হৈ হল্লা লেগে যায়। তবে লিজা সহ কজন নেতৃস্থানীর কর্মকর্তার চেষ্টায় সবাই শান্ত হয় আবার। তবে আলোচনা আর তেমন জমলো না। মোদ্দা কথাটি তো একই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করো। তবে কেন এই হঠাৎ বন্ধের পাঁয়তারা তা অবশ্য স্পষ্টভাবে কেউই জানে না। আলোচনা সংক্ষিপ্ত করে ক্ষিপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ অফিসের সবখানে নানা বর্ণের ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড দিয়ে সজ্জিত করেন।
সেদিন রাতে সবার খুব ভালো ঘুম হয়। ভোর হতে না হতেই সবাই অফিসের দিকে ছোটে হুড়মুড় করে। অফিসটা যে করেই হোক বন্ধ করতে হবে। সবার আগে উপস্থিত লিজা। তখন অফিসের দারোয়ান এবং ঝাড়ুদারও আসে নি। বন্ধ দরোজার সামনে ঘোরাফেরা করে সে তার অস্থিরতা লঘু করতে চায়। ঐ যে, আসছে দারোয়ান। তার খুব ইচ্ছে করে এই যে অফিস বন্ধের কার্যক্রম সংঘটিত হতে যাচ্ছে, তা সম্পর্কে তাকে কিছু বলে। কিন্তু এটা করতে সে অক্ষম। কারণ এই বিষয়টি শুধু এ গ্রেড এর কর্মকর্তা কর্মকর্তাদেরই জানার কথা।
-কী খবর আপা? আইজ এত তাড়াতাড়ি আইলেন যে?
-জরুরী কাজ আছে। তুমি তোমার কাজ করো।
সকাল আটটার মধ্যেই সবাই মোটামুটি এসে যায়। সবার মধ্যেই দুর্দান্ত আনন্দ। নটার সময় এমডি সাহেব এলেন। এসেই লিজাকে তলব করলেন তার রুমে।
-তারপর লিজা! কাজের কদ্দুর হলো?
-বেশ ভালো স্যার! গতকাল তো সবাই বেশ ভালো রেসপন্স করেছে। এবং এটা যথাযথ গোপনীয়তার মধ্যেই রাখা হয়েছে। পিওন, ঝাড়ুদার বা দারোয়ানেরা কেউ কিছু জানে না। জানলে তারা নিশ্চিতভাবেই বাগড়া দেবে।
-আজকের কর্মসূচি কী?
-ওহ স্যার, ডেনমার্ক থেকে যে শিপমেন্ট আসার কথা ছিলো, ওটা সম্ভবত এসে গিয়েছে। ফোন করে খবর নিতে হবে।
-তো দেরী করছো কেন? ফোন করো যাও!
-জ্বী স্যার যাচ্ছি।
-এখন তো কাজের অনেক চাপ, প্রায় দ্বিগুণ। অফিসের শিডিউলড কাজের পাশাপাশি অফিস শাটডাউনের কাজও করতে হবে। তোমার বোঝা উচিত।
গজগজ করতে করতে লিজা তার ডেস্কে গিয়ে বসলো। ফোনে কিছুক্ষণ কথা বলার পর একটা স্বস্তির শ্বাস ফেললো। সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছে। অফিসের কাজকর্ম করতে করতে তারা খোশগল্পে মেতে ওঠে। সবাই এখান থেকে বেরিয়ে যাবার পরে কী করবে, তাদের স্বপ্ন নিয়ে বলতে থাকে।
-আমার স্বপ্ন... এখানকার পাট চুকে গেলে দুই মাস খালি ঘুরবো দেশে-বিদেশে।
-আমার স্বপ্ন... আমাদের বাসার ছাদের বাগানটায় আরো অনেক বেশি সময় দেবো। সবুজে সবুজে স্নিগ্ধ হয়ে যাবে জায়গাটা। প্রাণভরে শ্বাস নেবো!
-আমার স্বপ্ন...
স্বপ্ন নিয়ে আলোচনায় তারা এত বেশি মগ্ন হয়ে ছিলো, পিওন সোহেল কখন চা নিয়ে এসেছে সবার জন্যে বুঝতেই পারে নি। সবাই আতঙ্কে সিঁটিয়ে যায়। এরা যদি তাদের মূল উদ্দেশ্য জেনে যায়, তাহলে পরিকল্পনার দফারফা হয়ে যাবে একদম। তারা তো আর লিজাদের মতো সুখবিলাসী হয়ে সুবিধাবাদী লেজাচরণ করে স্বপ্ন দেখার স্পর্ধা করতে পারে না! একদম মোটাদাগের জীবন যাপন করে তারা। কোম্পানি বন্ধ করে গ্লাইডারে করে উড়তে বিদেশের কোন পাহাড়ে যেতেই পারে লিজারা, সোহেল সেই স্বপ্ন দেখারও সাহস পায় না। উশখুস করতে থাকে তারা। সোহেল কি বুঝেই ফেললো? যদি অত্যাধিক অস্থিরতায় তাদের মনের চাঞ্চল্য বাড়াবাড়ি রকম বেড়ে না যেতো, তবে তারা ঠিকই বুঝতে পারতো যে, সোহেলের আচরনে কোন অস্বাভাবিকতা নেই। কিন্তু লিজার মনে হলো সোহেল ধীর পায়ে হেঁটে সবাইকে ক্রুর চোখে পরখ করতে করতে মাথায় অশুভ কোন ফন্দি আঁটছে।
-কী খবর সোহেল? ভালো আছো তো?
শুকনো মুখে লিজা জিজ্ঞাসা করলো। লিজার কাছ থেকে খাতির পেয়ে সোহেল তো খুশিতে ডগমগ! তার উচ্ছসিত উত্তরে সবাই স্বস্তি পেলো, সে কিছু জানে না এ ব্যাপারে। মিটিং বেশ ভালোই জমে উঠেছিলো, হঠাৎ একটি জরুরী কথা মনে পড়ায় লিজা বাগড়া বাঁধালো।
-সবাই কি ভুলে গেছে আজকে রয়াল স্টিলের টেন্ডারের কথা? আলোচনা মুলতবী রেখে সবাই কম্পিউটারের সামনে বসুন।
নতুন জয়েন করা একটি ছেলে তার অস্বস্তি ঝেড়ে ফেলে জিজ্ঞেস করেই ফেললো,
-ইয়ে মানে, আমরা না এই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করার জন্যে আন্দোলন করছি? তাহলে কাজ করার কী দরকার?
ছেলেটির অপরিপক্ক মনোভাবের পরিচয় পেয়ে সবাই কিছুটা বিরক্ত হলেও এই বয়সে এমন অকাল বিদ্রোহী মনোভাব থাকতেই পারে ভেবে তাকে ক্ষমা করে দিয়ে বোঝাতে শুরু করলো,
-শোনো বোকা, এই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করার জন্যে আমাদের আন্দোলন বহাল থাকবে সবসময়ের জন্যে। তাই বলে কাজ বন্ধ রাখবো কেন? এটা অনেকটা সজারুর পিঠে মিঠে পিঠে দিয়ে কাঁটায় কাঁটায় ক্ষতবিক্ষত করার মতো ব্যাপার। তারপর আমরা জলহস্তির মতো বিশাল হাঁ করে কলাগাছ খাবো। কিছু বোঝা গেলো?
বলে চোখ পাকিয়ে তাকায় বক্তা। স্বাভাবিকভাবেই ছেলেটি কিছু বোঝে নি। সে নার্ভাস ভঙ্গিতে মাথা নাড়লো, হ্যাঁ বুঝেছে সে। অন্য সবাই মৃদু হাসলো, কারণ তারা জানে, এখানে বোঝার কিছুই নেই। মনে যা আসে ইচ্ছেমত তা মুখের কাছে সাজিয়ে রেখে পরিবেশন করলেই হলো। কেন তারা এই আন্দোলন করছে নিজেরাও ঠিকঠাক জানে না। এই কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে তাদের সচ্ছল জীবন হুমকির মুখোমুখি হবে, নানারকম বিলাসিতার ধারেকাছেও যাওয়া যাবে না। তারপরেও তাদের কাছে মনে হয়, এর চেয়ে যুক্তিগ্রাহ্য আর কোনো কিছুই হতে পারে না। আবার এটাও মনে হয়, কাজ বন্ধ করাটা সম্ভব না। কাজপোকা তাদের শরীরে কামড়ায়, মাথার চুলের ভেতর লুকিয়ে থেকে রক্ত খায়। তাদের আর কোনো উপায় নেই। এই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার রোমান্টিসিজমের ঘাড় মটকে দেয় বিভীষণ দায়িত্বসমূহ।
লাঞ্চের সময় এমডি সাহেব সবাইকে তলব করলেন। তাকে দেখে মনে হচ্ছে কিছুটা বিরক্ত। বিরক্তি ঢাকার কোন চেষ্টা নেই তার মধ্যে। কপালের ঘাম রুমাল দিয়ে মুছে সবার দিকে রোষকষায়িত দৃষ্টি মেলে তিনি বলা শুরু করলেন,
-আপনাদের দিয়ে আসলে কিছু হবে না। কিছু আশা করাই ভুল। খালি ব্যানার, ফেস্টুন, আর প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে রাখলেই তো হবে না। প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার জন্যে যেসব অফিসিয়াল ক্রাইটেরিয়া তার কোনোটাই তো মেইনটেন করা হচ্ছে না। এতদিন এখানে কাজ করেও আপনারা দাপ্তরিক কাজ কিছুই বোঝেন না। ভেরি স্যাড।
এবার লিজার বলার পালা,
-স্যার, ডন্ট বি ম্যাড! কাজের তো কেবল শুরু। আর ব্যানার, ফেস্টুন ওগুলো সব উঠিয়ে ফেলেছি। পিওন, দারোয়ানরা দেখলে মুশকিল। আমরা পেপারওয়ার্ক করার কাজ শুরু করবো খুব শিঘ্রী।
-খুব শিঘ্রী মানে কবে?
-এইতো একটা স্মারকলিপি তৈরি করছি। এটা প্রেসিডেন্টের কাছে যাবে। অনুলিপি যাবে শিল্পমন্ত্রী, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আর...
-আমি এসব কিছু বুঝি না বা জানতে চাই না। আমি মার কাছে যাবো। এ্যাঁ এ্যাঁ এ্যাঁ!
এমডি সাহেব শিশুর মতো কাঁদতে শুরু করলেন। কান্না সংক্রামক। পুরো হলের লোকজন এ্যাঁ এ্যাঁ, ভেউ ভেউ, ভ্যা ভ্যা প্রভৃতি অব্যয়িকায় ডুবে গেলো। সেই মূহুর্তে চা দেয়ার জন্যে রুমে ঢুকলো মাজেদ নামের একজন পিওন। তার দিকে কেউ খেয়ালই করলো না! সে অবাক হয়ে কান্নাপর্ব দেখতে লাগলো। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার এই, সেখানে ডাঁই করে রাখা সমস্ত লিখন তার নজরে পড়লো। সে পড়তে জানে না, তাই ফাইভ পাশ দারোয়ান মকবুলকে ডেকে নিয়ে এলো। দেখাদেখি সবাই চলে এলো। তাদের পেটের ওপর ফ্লাইংকিক দেবার এই প্রস্তুতিতে রেগে গিয়ে সকল কর্মকর্তাকে কান্নাকক্ষে তালা মেরে রাখলো। এতে অবশ্য লাভের চেয়ে ক্ষতিই হলো বেশি! তাদের কান্না আরো বেড়ে গেলো। এভাবে পুরো একদিন চলে গেলে বাধ্য হয়ে তারা তালা খুললে এক অভূতপূর্ব সৌহার্দপূর্ণ দৃশ্যের অবতারণা হয়। তারা সবাই একে অপরকে আলিঙ্গন করে। কে পায়াভারী কর্মকর্তা আর কে পেটেভাতে কর্মচারী তা নিরূপন করা কঠিন হয়ে যায়। তবে এই আন্তরিকতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। পুরো একদিন অফিস বন্ধ রাখার ফলে অনেক কাজ জমে আছে। কর্মকর্তারা ভাবেন, সব কাজ শেষ করে আবারও প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়ার আন্দোলনে শামিল হবেন তারা। আর কর্মচারীরা আরো বড় আকারের তালা কিনে আনে। এইবার আটকালে আর বের হতে দেয়া যাবে না!
তবে পরস্পরের এই কার্যক্রম এক দুষ্টচক্রের ভেতর পড়ে গেছে, যা কেউ ভাবে নি এখনও।
লিজারা আন্দোলন করে যাবে, আবার কাজও করবে। না করে কী পারে! ওয়ার্কআহোলিক!
মকবুলরা মওকামতো লিজাদের পেয়ে দরজা বন্ধ করে শাস্তি দেবে। কিন্তু আবার সময়মত খুলেও দেবে। না দিয়ে কি পারবে? সামান্য কর্মচারী তারা। বড়সাহেবদের শাহরিক যন্ত্রণা আর যন্ত্র হয়ে ওঠার কুমন্ত্রণা তারা বুঝলে তো!
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মপোলব্ধি......
আত্মপোলব্ধি......
একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !
হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।
আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।
আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন