সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবী ও ছাত্র সমাজের অনেকেই ধারণা করেন কুড়িগ্রাম এগিয়ে যাচ্ছে না সরকার পন্থি যোগ্য তরুণ নেতৃত্বের অভাবে বা নেতৃত্ত্ব থাকলেও তা খুব সামান্য পরিমানে আছে যারা একটি অঞ্চলকে অনেকদুর এগিয়ে যেতে কাজ করতে পারবে। কুড়িগ্রাম তথা রংপুর বিভাগের ছাত্রলীগ কর্মীদের বর্তমানে চাওয়া উত্তরবঙ্গ থেকে কমপক্ষে একজন যোগ্য নেতৃত্ব আসুক, যে পরবর্তীতে দেশের জন্য, নিজ এলাকার মানুষের জন্য কাজ করবেন। যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাবে উত্তরবঙ্গকে, এগিয়ে নিয়ে যাবে দেশকে।
গত কয়েকদিন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনে নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় আসেন কুড়িগ্রাম জেলার মোঃ রেজওয়ানুল হক চোধুরী শোভন। কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানায় তার জন্ম। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তিনি। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যয়ণরত।
তার বাবা বর্তমানে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা চেয়ারম্যান ও ২০০১ সাল থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এবং ১৯৮১-১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভূরুঙ্গামারী শাখার সভাপতি ছিলেন।
মোঃ রেজওয়ানুল হক চোধুরী শোভন-এর দাদা ছিলেন কুড়িগ্রাম-০১ (নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী) আসন থেকে পর পর দুইবার নির্বাচিত সাংসদ। তিনি জাতির জনক ও তার কন্যা দেশনেত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। পাকিস্তান আমলে আওয়ামীলীগের এমএলএ ছিলেন। এবং সফলভাবেই তিনি তার রাজনৈতিক জীবন অতিবাহিত করেন।
তার ছোট ভাই মোঃ রাকিবুল হক চৌধুরী ছোটন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিন শাখার সমাজসেবা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
পারিবারিক রাজনৈতিক দিক থেকে তার শিরা উপশিরায় আওয়ামীলীগের রক্ত বইছে। যোগ্য হিসেবেও আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন তিনি। উত্তরের সাধারণ মানুষ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা আশা করেন ২৯ তম সম্মেলনে দেশনেত্রী শেখ হাসিনা মোঃ রেজয়ানুল হক চোধুরী শোভনকে তার যোগ্য পদে রেখে দেশের ছাত্র-রাজনীতির সেবা ও ভবিষতে দেশ ও উত্তরের মানুষের সেবা করে কুড়িগ্রাম সহ উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন করার সুযোগ দিবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:০২