সারাদিনের ক্লান্তি শেষে পুরো শহরের মানুষ যখন ঘুমিয়ে পরতো, তখন রোদেলা নামের মেয়েটির সাথে কথা হত আসিফের। কেমন আছে, কি করলো সারাদিন, এসব নিয়েই কথা হত ওদের মধ্যে। মাঝে মাঝে অবশ্য রোদেলা একটূ-আধটু বিরক্ত হত। আসিফ না বোঝার ভান করে রোদেলার বিরক্তিটা আরও একটু বাড়িয়ে দিত। যেদিন রোদেলা ফোন রিসিভ করতো না সেদিন অনেক রাত পর্যন্ত মোবাইল সামনে রেখে চুপ করে বসে থাকতো আসিফ। এই বুঝি রোদেলার ফোন আসবে। বিনা শর্তেই আসিফ ভালোবাসতো মেয়েটাকে।
রোদেলা হল আসিফের পুরোনো দিনের জমে থাকা একটি স্মৃতি। মানুষের জীবন থেকে অনেক কিছুই হারিয়ে যায় , মুছে যায় অনেক স্মৃতিই । কিন্ত কিছু স্মৃতি অমর হয়ে থাকে, যা কখনো ভোলা যায় না। রোদেলার মিষ্টি হাসি বারবার আসিফকে চিৎকার করে ডাকে। আবেগমাখা কন্ঠে নরম সুরে বলা "কেমন আছেন" কথাটি বারবার পেছনে টেনে নিয়ে যায় আসিফকে।
বড় মিষ্টি মেয়ে রোদেলা। ওর খোলা হাসিই পৃথিবীর কয়েক'শ ভাষায় একবারে উত্তর জানিয়ে দিত, "পাশে আছি"।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আসিফের চেয়ে দুই বছরের জুনিয়র ছিল। রোদেলার সাথে যেদিন প্রথম দেখা হয়েছে, সেদিনই ওর প্রেমে পরেছে আসিফ। লাইব্রেরীতে বসে ড. পরিতোষ চন্দ্র রায়ের "হৃদয় দহন" বইটি পড়ছিল আসিফ। রোদেলা হঠাৎ সামনে এসে একটা মায়াবী হাসি দিয়ে বলেছিল, "ভাইয়া এই বইটা একটু দিবেন? লাইব্রেরীতে বইটা আর কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না।" আসিফ সেদিন মুখে কোন কথা বলেনি। রোদেলার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকাই, 'হ্যাঁ' উত্তর জানিয়েছিল।
টেবিলের ওপর থেকে বইটি নিয়ে যখন রোদেলা চলে যাচ্ছিল, আসিফ হঠাৎ করেই জিজ্ঞেস করে ফেলল-
-নাম কি তোমার?
-রোদেলা।
-ভাইয়া, আপনার নাম কি?
- আমি আসিফ।
সেদিন থেকেই শুরু। এই নরম সুরটি বারবার বুকের গভীরের কোন এক জায়গায় বাজতে শুরু করেছিল।
সারাদিন ব্যস্ত থাকলেও রাতে ঘুমানোর আগে আবেগী মনে রোদেলার কথা চিন্তা করতো। সপ্ন দেখতো।
রোদেলা বোরখা পরে বের হত। এজন্য যেকোন বোরখা পরা মেয়ে দেখলেই বুকের ভেতরে একটা ধুক করে শব্দ হত। তারপর যখন আবিষ্কার করতো এটি রোদেলা নয়, তখন খুব খারাপ লাগতো।
একদিন জয়বাংলা ভাস্কর্যের সামনে বোরখা পরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মেয়েকে দূর থেকে দেখে ভেবেছিল রোদেলা দাঁড়িয়ে আছে। খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে গেল মেয়েটির দিকে। কিন্তু না। রোদেলা নয়। রোদেলাকে আসিফ তখন পর্যন্ত দেখেছে মাত্র দুইবার। এই দুইবারে ওর হাসি দেখতে দেখতেই সময় কেঁটেছে। কোন রঙের বোরখা পরে এটা লক্ষ্যই করা হয়নি। সেজন্যই এত ঝামেলা পোহাতে হয়েছে।
রোদেলাকে তখন দেখতে না পেয়ে কেমন যেন খারাপ লাগতে শুরু করলো। আসিফ সেবার লজ্জা-স্বরমের মাথা খেয়ে মেয়েদের হলের সামনে গিয়ে রোদেলাকে ফোন করে ডেকে এনেছে। রোদেলা এসে তো অবাক হয়ে গিয়েছে। এই ছেলে কেন হলে এসে ডাকবে তাকে?
- কেমন আছেন? কি হয়েছে!
-তোমার সাথে একটু কথা আছে, আমার সাথে আসবে?
-হুম ।
সিনিয়র একজন ভাই এসে ডাকছে। ইচ্ছে না থাকলেও যেত হল রোদেলাকে।
একটি ফাঁকা জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে পাঞ্জাবীর পেছনে লুকিয়ে রাখা লাল, হলুদ আর কমলা রঙের কয়েকটি জারবেরা ফুল বের করে বলেছিল, "রোদেলা! তোমাকে পছন্দ করি । আমার মনে হয় ভালোবেসে ফেলেছি তোমাকে"
কোন ব্যপারকে সহজভাবে উপস্থাপন করার কৌশল জানা ছিল আসিফের। তাই খুব ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে না বলে সোজাসুজি মনের কথা জানিয়ে দিয়েছিল।
রোদেলা সেই জারবেরা ফুলটিকে হাতে তুলে নেয়নি সেদিন । কিছু না বলেই সেখান থেকে চলে এসেছিল। রাতে এসে ফোনে একবার বলেছিল, "ভালোবাসেন কেনো? "
মানুষ কেনো ভালোবাসে, এই কথাটির উত্তর দেওয়া হয়তো অনেক কঠিন। তবে রোদেলার নরম সুরের কথা আর ওর হাসির প্রেমে পরেছিল এটি নিস্বন্দেহে বলা যায়।
রোদেলা আসিফের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছিল। সামনে ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময়ে ছিটকে পরলে আর ফিরে আসা যাবে না। পড়াশুনা ছাড়া আর অন্য কিছু চিন্তাও করতে পারছে না এই মুহুর্তে। তাছাড়া বাবা মায়ের প্রতিও রোদেলার অনেক শ্রদ্ধাবোধ। বাবা-মা ওকে অনেক বিশ্বাস করে, সেই বিশ্বাসের অমর্যদা করতে চায় না রোদেলা। বাবা মায়ের পছন্দ করা ছেলেকেই বিয়ে করবে।
রোদেলা আসিফকে যখন তার বাবা-মা আর পরিবারের কথা বলেছিল, আসিফ রোদেলাকে এ বিষয়ে জোড় করেনি। ভালোবাসা নিয়ে আর কোন দিন কোন কথাও বলেনি । তবে একটি অনুরোধ করেছিল।
আসিফ ভালোবাসতে চেয়েছিল রোদেলাকে। রোদেলা তাকে ভালোবাসবে কি বাসবে না, এতে আসিফের কোন আপত্তি ছিল না।
রোদেলা সেদিন শুধু বলেছিল, ” আমার বাবা-মায়ের কাছে আপনি জানাতে পারেন, তারা সম্মতি দিলে আমার কোন আপত্তি থাকবে না। আপনি অপেক্ষা করতে পারেন।তার আগে নিজে একটি ভাল জায়গায় যান।“
আজ ২৭ মার্চ ২০১৭। চার বছর আগে এই দিনে প্রথম দেখা হয় রোদেলার সাথে। আসিফ আজ সিলেট যাচ্ছে রোদেলার বাসায়। আসিফের একটি চাকরী হয়েছে। এবার রোদেলার বাবার অনুমতি নিয়েই রোদেলাকে ভালোবাসবে। আর একা একা ভালোবাসতে হবে না। ট্রেনে ওঠার আগে বিভিন্ন রঙের কয়েকটি জারবেরা ফুল কিনেছে। ফুল ব্যাগে রাখেনি, যদি নষ্ট হয়ে যায়,এই ভয়ে। কানে ইয়ারফোন দিয়ে আসিফ আজ অঞ্জন দত্তের বেলাবোস গানটি শুনছে-‘চাকরীটা আমি পেইয়ে গেছি বেলা সত্যিই!’ । কখন যে সপ্নে বিভোর হয়ে গেছে ও! বেলাবোসকে হয়তো এতক্ষনে রোদেলা বানিয়ে ফেলেছে।
বাবা-মা আর পরিবারের দোহাই দিয়ে রোদেলা আসিফ থেকে দূরে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু আসিফ রোদেলাকে দূরে যেতে দেয়নি। কয়েকটাদিন রোদেলার সাথে কথা না বলেই কাঁটাতে হয়েছিল আসিফকে।
তারপর একদিন রোদেলাকে কথা দিয়েছিল, কখনোই আর মুখ দিয়ে ভালোবাসি কথাটি উচ্চারণ করবে না।গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে চাকরি খুঁজে রোদেলার বাবার কাছ থেকে রোদেলাকে নিয়ে আসবে, কথা দিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন পাওয়ার জন্য তখনো দেড় বছর বাকী ছিল।
এই দেড় বছরে ওদের আর কাছে আসা হয়নি। রোদেলা পড়াশুনা নিয়ে ব্যাস্ত, আর আসিফ ব্যাস্ত থাকতো গান-বাজনা, আড্ডা নিয়ে। রোদেলার সাথে কখনও দেখা হলে আসিফ কেমন যেন চুপসে যেত, কোন কথা বলতো না। ভালো না বাসলেও আসিফের প্রতি রোদেলার কি যেন একটা মায়া ছিল। সবসময় আসিফের কাছ থেকে কিছু একটা আশা করতো। হয়তো শেষ পর্যন্ত ভালোবেসে ফেলেছিল। ভালোবাসা তৈরি হয় কিছু প্রতিশ্রুতি নিয়ে , যেসব প্রতিশ্রুতি ভেঙে দেয় পুরোনো কিছু প্রতিশ্রুতির দেয়ালকে। রোদেলা হয়তো পুরোনো কিছু প্রতিশ্রুতির দেয়াল ভেঙে ফেলছিল!
রোদেলার সদাথে আসিফের দেখা হয়ে গেলে আসিফ খুব একটা কথা বলতো না, তবে পাশ কাঁটিয়ে চলে গেলে পিছন থেকে তাকিয়ে থাকতো অনেক্ষন। এই সময় রোদেলা একবার পিছন ফিরে তাকাতো।
রোদেলার বাড়ি সিলেটে। একবার আসিফ একটা দুর্ঘটনা বাঁধিয়ে ফেলেছিল। সেবার রোদেলা ওর জন্মদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল না। দুইদিন বন্ধ ছিল তাই বাড়িতে চলে গিয়েছিল। সেদিন সকালে উঠেই আসিফ মেয়েদের হলের পাশের রাস্তাটিতে দাঁড়িয়ে আছে। দুই ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও রোদেলা বের হচ্ছে না। অনেক চিন্তা করে একটা কল দিল।
- কোথায় তুমি, রোদেলা!
- বাড়িতে এসেছি, কেন কিছু বলবেন?
- না।
আজকের দিনে রোদেলাকে না দেখতে পেলে খুব ভাল হবে না। রোদেলাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। জয়দেবপুর ষ্টেশন থেকে ট্রেন ধরে চলে গিয়েছিল সিলেটে। রোদেলার বাড়ির সামনে গিয়ে ফোন করেছে, রোদেলা একটু বেরিয়ে আসো। তোমাকে একবার দেখেই চলে যাবো আমি। রোদেলা ভয় পেয়েছিল, বাড়ির লোকজন যদি টের পেয়ে যায় যে একটি ছেলে এসেছে ওকে দেখতে। মুখে তো চুনকালি পরে যাবে। আসিফকে ফিরিয়ে দিতেও ইচ্ছে করছে না। সেদিন আসিফের সাথে দেখা করেছিল রোদেলা। কয়েক মাস পর সেদিন অনেক সময় ধরে কথা হল দুজনের।
পিয়াইন নদীর তীরে। সাদা মেঘগুলো পাহাড়ের সাথে বারবার আলিঙ্গন করছিল। পশ্চিমাকাশে ঢলে পরা সূর্যের আলো লুকোচুরি খেলছিল। প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে আরও হাজারগুন বাড়িয়ে দিয়েছিল রোদেলার হাসি। সমস্ত জাফলং সেদিন হয়তো তাকিয়ে ছিল রোদেলার দিকে।
রোদেলাও হয়তো একসময় ভালোবেসে ফেলেছিল আসিফকে। হয়তো ইচ্ছে করেছিল আসিফের হাত থেকে বর্ণিল জারবেরা ফুলগুলোকে হাতে তুলে নিতে। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে দু-একবার দেখা হলেও আসিফ কথা বলতো না , কিন্তু রোদেলা জানতো আসিফ তাকিয়ে থাকবে । এজন্য হেঁটে যাওয়ার সময় একবার পিছন ফিরে আসিফের দিকে তাঁকিয়ে দেখতো। এ সময় আসিফ অন্য রকম একটা আনন্দ পেত , আর এ আনন্দ রোদেলাকেও বহুগুনে আনন্দিত করে দিত।
প্রিয়জনদের আনন্দ দেখলে মানুষ একধরনের তৃপ্তিবোধ করে । হয়তো মনের এক কোনে আসিফ নামের প্রিয়জনটি জায়গা পেতে শুরু করেছিল ।
দেখতে দেখতে ফুরিয়ে গেল দেড় বছর। আসিফের গ্রাজুয়েশন শেষ। এবার চলে যাবার পালা। তার সুন্দর ক্যাম্পাস, হল, বন্ধু সবার কাছে বিদায় নিতে পেরেছিল। কিন্তু সেদিন রোদেলার সাথে আসিফের দেখা হয়নি। রোদেলাকে সেদিন খুঁজে পায়নি কোথাও। শেষবারের মত একবার দেখতেও পেল না আসিফ। মনে পাহাড় সমান দুঃখ নিয়েই বিদায় নিয়েছিল প্রিয় ক্যাম্পাস থেকে।
এদিকে রোদেলা সেদিন ফোন বন্ধ করে রুমে বসেছিল। চোখের জল সেদিন অনুমতি ছাড়াই ঝরতে শুরু করেছিল। একটি অপরাধবোধ কাজ করছিল রোদেলার মধ্যে। ছেলেটি তো ওকে শুধু ভালোবেসেছিল। ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার পৃথিবীর সকল মানুষেরই আছে। কিন্তু রোদেলা আসিফকে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। রোদেলার সে দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ছিল যে , আসিফ ভর দুপুরে রোদেলার হলের সামনে দাঁডিয়ে আছে কিংবা রোদেলার ক্লাসের সামনে ঘুরঘুর করছে। এসব হয়তো ভালোবাসা প্রকাশের কোন ঈঙ্গিত ছিল না, তবে এসব যে বারবার অপেক্ষা করার প্রমান করেছিল তা রোদেলা একটু দেরীতে হলেও বুঝতে পেরেছিল ।
ক্যাম্পাস থেকে চলে আসার পর রোদেলার সাথে দেখা হয়নি। মোবাইল থেকে পুরোনো সিমটি খুলে নতুন করে একটি সিম নিয়েছে। রোদেলার নাম্বারটি মুখস্ত ছিল । ভুলবেও না হয়তো কখনোই। রোদেলা কখনো আসিফের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল কিনা কে জানে! হয়তো করেছিল, হয়তোবা না।
চাকরী পেতে আসিফের বেশ সময় লেগে গেছে। প্রায় দু’বছর। রোদেলার কোন খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি এর মধ্যে।এমনও হতে পারে আজ সিলেটে গিয়ে শুনতে হতে পারে রোদেলার বিয়ে হয়েছে। রোদেলা তার বাবার পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করেছে, সুখে সংসার করছে। এমন অবস্থায় আসিফ যদি রোদেলার বাড়িতে চলে যায় তাহলে একটু সমস্যাই হতে পারে।
হঠাৎ আসিফের মনে পরে গেল, পুরোনো মোবাইলের সিমটি মানিব্যাগের মধ্যেই আছে। সিমটি খুলে রোদেলার নাম্বারে একটা ম্যাসেজ পাঠিয়ে দিল, আমি আসছি। পিয়াইন নদীর ধারে , ছোট্ট টিলার ওপরে। আজ বিকেল ৪ টায়।
সিলেট থেকে জাফলং পৌঁছাতে আসিফের একটু দেরী হয়ে গেল। কিন্তু খুব একটা তাড়াহুড়ো করে যাচ্ছে না আসিফ। কেমন যেন মনে হচ্ছে, রোদেলা আসবে না।
পিয়াইন নদীর তিড়ে সেই টিলার কাছে গিয়ে তাকিয়ে আসিফ একটু থমকে গিয়েছে। নীল রঙের শাড়ি পড়া একটি মেয়ে , চুল খুলে দাঁড়িয়ে আছে। আসিফ রিতীমত ঘামতে শুরু করেছে। পেছন থেকে বুঝতেও পারছে না, এটা কি রদেলা!
**
এবার একবার ডাক দিল।রোদেলা!
আজও জাফলংয়ের গোয়াইন নদীর তীরে পাহারের সাথে সাদা মেষগুলো আলিঙ্গন করছে। পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া সূর্যের আলো লুকোচুরি খেলছে। তবে আজ জাফলংয়ে নতুন করে মাত্রা পেয়েছে বৃষ্টি। রোদেলার অশ্রু বৃষ্টি। সমস্ত জাফলং সেদিন শুধু রোদেলার সৌন্দর্য দেখেছিল, আজ সেই সুন্দরের ভালোবাসা উপভোগ করছে। রোদেলার দিকে এগিয়ে গিয়ে আসিফ জারবেরা ফুলগুলো রোদেলার হাতের দিকে দিয়ে বলল, ভালোবাসি! রোদেলা এবার আসিফের দুহাত তার হাতে জড়িয়ে ধরেছে। রোদেলার চোখের জলে আসিফের হাত ভিঁজে যাচ্ছে। যে চোখের জল স্বীকার করছে আমিও ভালোবাসি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২