কয়েকদিন ধরেই গণমাধ্যমে ঝড় তোলা সংবাদ,I am GPA 5। একটা ভিডিও প্রকাশ করা হল,সাথে সাথে আমরা সবাই বিশ্বাস করে নিলাম।তার মান নিয়ে ভাববার প্রয়োজন মনে করলাম না।আমি বিষয়টিকে গ্রহন করতে পারছি না।যে কোনভাবেই ওই ভিডিও প্রশ্নের সম্মূখিন।
-নেপালের রাজধানীর নাম জানবার বাধ্যবাধকতা নেই আমাদের কাররই।যদি থেকে থাকে,আমি আপনাকে ১৯৩ দেশের রাজধানীর নাম জিজ্ঞাসা করবো।পারবেন তো?
-আমি জিপিয়ে ৫ পেয়েছি তার ইংরেজীকে ভুল করাকে আমি দোষের কিছু দেখছি না,কারণ ইংরেজী আমাদের মাতৃভাষা না।আর একটা ইংরেজি দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না।
-যে প্রশ্নটা সবচেয়ে বেশী নাড়া দিচ্ছে,তা হলো,এটা কোন সাজানো কাহিনী নয়তো?তাই যদি না হবে,সেখানে যে প্রশ্নগুলো করা হলো শিক্ষার্থীদের,"জাতীয় স্মৃতিসৌধ কোথায়?শহীদ মিনার কোথায়?"।এই প্রশ্নগুলো যদি দেশের যে কোন অশিক্ষিত মানুষকেও জিজ্ঞাসা করা হয়,তাদের বেশিরভাগ -ই সঠিক উত্তর দিবে।আর এসএসসি পাশ করা শিক্ষার্থী পারবে না,এটা মানতে পারছি না।
- সবশেষে যে বিষটা, তা হল।যদি ভিডিওটা সত্যিই হয়,বানোয়াট না হয়,আমি ওই সাংবাদিকের শাস্তির আবেদন করছি।কারণ ভিডিওতে যেসব শিক্ষার্থীদের দেখানো হয় তাদের সবার বয়স ১৮ এর নিচে,মানে শিশু।আর শিশুদেরকে গণমাধ্যমের সামনে এভাবে অপমান করার অধিকার আপনার নেই, সাংবাদিক।এই বয়সে ভুল করে যে কোন কিছুই করতে পারে।এই অপমানকে সহ্য না করতে পেয়ে যদি ১৩ জনের একজনও সুসাইড করে,বা অন্য কোন ভুল কাজ করেই ফেলে,সে দায় কে নেবে?
-গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে মুখস্থনির্ভর আর রেজাল্টমূখি বলা হয়েছে।এ বিষয়ে দেশের গন্যমান্য কয়েকজন শিক্ষাবিদও সম্মতি দিয়েছেন।রেজাল্টমূখীর কথাটা না হয় মানলাম,কিন্তু এই শিক্ষাব্যবস্থাকে আপনারা কিভাবে মুখস্তনির্ভর বলছেন?আপনার মনে হয় সৃজনশীল প্রশ্ন সম্পর্কে ধারনা নেই শিক্ষাবিদ সাহেব।এখানে মুখস্থ করে এসে পরিক্ষায় লিখা সম্ভব নয়।
-অতঃপর ভিডিওটিকে ব্যাবসা সফল না বলেই পারছি না.....
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১