কতদিন ধরে আমরা ভাওয়াইয়া এক্সপ্রেস এর দাবি নিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছি,সেটা হয়তো সরকার খেয়াল করেছেন কিনা,কে জানে?তবে একটা জিনিস,খেয়াল করে দেখুন,যতদিন ধরে এই দাবি তোলা হয়েছে,সেই একই সময় বা তার চেয়ে কম সময়ে,নোয়াখালি,সিলেট, কিংবা বরিশালে নতুন ট্রেন,বা ট্রেনের উন্নত বগি লাগানো হয়েছে।
এখানকার শিক্ষার কথা কি বলবো।
সরকার এখানে একটা জিনিসই করেছেন,তা হলো খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা কর্মসূচি।এটা করবেন না কেনো,আমরা গরিব না!!!। শিক্ষা জীবনের অনেক কষ্টের ১২ /১০ বছর পার করে এরা যখন দেশের অন্য জেলার বিশ্ববিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয় তখনও তারা এই বৈষম্যটা খুব ভাল করেই বোঝেন। যেখানে যশোর,বগুড়া,সিলেট,চট্রগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা বৃত্তি দাতা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক আছে,কুড়িগ্রামের জন্য কেউ নেই। দেশের ৪০ বা তারও বেশি জেলা পরিষদ জেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের বৃত্তি দিচ্ছে,তাদের কাতারে নেই কুড়িগ্রাম।যাই হোক,এতো বৈষম্যের কারনটা কি?বিভিন্ন সময়ে মানুষের মতামত,ফেসবুকের মতামত,ইত্যাদি থেকেই একটা কথা উঠে এসেছে,যোগ্য নেতৃত্বের অভাবেই এমনটা হচ্ছে।এখানকার চারটি আসনে নির্বাচিত সাংসদের চারজনই হলেন জাতীয় পার্টির।এলাকার উন্নয়ন না করেই ভাল মানুষ সেজে বসে আছেন।করবেনই বা কেমন করে,তাদের হাতে নাকি সেই ক্ষমতাই নেই।তারা তো এখন বিরোধিদলীয় নেতা। জাপা যদি কখনও ক্ষমতায় আসে তখন উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা করা যাবে।ততোদিনে আমরা মফিজ,দরিদ্র আর ভাসমান মানুষ হিসেবেই দিন কাটাতে থাকি.............
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫