দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দারিদ্রতাকে সঙ্গী করেই দিন কাটাচ্ছে কুড়িগ্রামের মানুষগুলো।তাদের এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়,সমালোচনা হয়।প্রকল্প তৈরি হয়।কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না।
২০০৯ সালের পর আওয়ামীলিগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর,এই এলাকার দারিদ্রতা বিমোচনের অংশ হিসেবে ন্যাশনাল সার্ভিস নামক ২ বছর মেয়াদি প্রকল্প নেওয়া হয়।যেখানে এসএসসি পাসকৃত সকল ১৮ -৩৫ বছর বয়সের সকল বেকারদের চাকুরির ব্যাবস্হা করা হয়।চাকরি পাবার সুবাদে যারা ছোটখাটো কিছু কাজ করতো,তারা সেটা বাদ দিয়ে দেয়।ঐ সময়ে তাদেরকে ৬০০০ টাকা করে বেতন দেয়া হত,যেখান থেকে ২০০০ টাকা জমা রাখা হত।কথা ছিল দুই বছর পর জমা হওয়া ৫০ হাজার টাকার সাথে তাদের, আরও ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তাদের আরও কর্মক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়া হবে।কিন্তু বাস্তবটা ছিল অন্যরকম।খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে থাকা বেকারদের পরিনতি আরও খারাপ হয়।মাসিক ভাতা ৪ হাজার টাকা তারা নিয়মিত পেতো না।
২ বছর পর ৫০+৫০ হাজার টাকা তো পায়নি।তার ওপর নিজেদের বেতন থেকে রেখে দেয়া ৫০ হাজার টাকা তুলতে হয়েছে কয়েক কিস্তিতে।
এখন কথা হল,তাদের এই অনিয়মিত টাকা প্রদানের ফলে, চাকরির টাকা দিয়ে তারা কোনো রকম ব্যাবসা বা নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে নি তারা।
যার ফলে দু বছর পর,চাকরি যখন শেষ,বেকারদের বেকারত্ব আবার শুরু হয়।শুধু শুরুই হয়না,তখনকার বেকারত্বটাকে মেনে নেবার মত ছিল না।খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে থাকা এসব বেকারদের পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে।
সরকার ঠিকই অর্থগুলো ব্যায় করেছেন।কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনার কারনে তা বিফলে গেছে।এসব বেকাররা এখন খুবই খারাপ অবস্হায় দিন যাপন করছে।
এই সময়ে যদি এসব যুবকদের জন্য কোন ব্যাবস্হা না করা হয় বা তাদের পাশে না দাড়ানো হয়,পরবর্তি সময়ে কুড়িগ্রামের দারিদ্রতা আরও প্রকট রুপ ধারন করবে।
সরকারের উচিত ঐসব বেকারদেরকে আবার ন্যাশনাল সার্ভসের আওতায় ফিরিয়ে এনে,তাদের অবস্হার উন্নতি করা হোক।এবং প্রকল্পটি দুই বা চার বছরের জন্য না।দশ বছর স্হায়ী করার আবেদন জানাচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৬