অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম যে, এমন একটা লেখা লিখবো যেটা মানুষের জন্য বিশেষ করে সমাজ সচেতনতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে৷ এবং লেখাটা পড়ে মানুষ জন অনেক বাহবা দিবে।
সত্যি বলতে আজো সেরকম কিছু লেখা হয়ে ওঠেনি। তাই এখন ও মাঝেমধ্যেই নিজেকে প্রশ্ন করি, অনেকটা সময়ই তো সোস্যাল মিডিয়ার পেছনে ব্যয় করি! টুকটাক লেখালেখি তো কয়েকটা প্লাটফর্মেই করি! তবে কেন আজো সেরকম কোন গুরুত্বপূর্ণ লেখা মানুষকে উপহার দিতে পারলাম না?
প্রশ্নের উত্তরটা হয়তো পুরোপুরি কোনদিন পাব কিনা জানিনা। তবে খেয়াল করে দেখলাম যে, লেখার সময় যথেষ্ট তথ্য পাইনা। তারমানে দাঁড়ায় এরকম যে, আমি যে বিষয় নিয়ে লিখবো সে বিষয় নিয়ে আমার তেমন একটা তথ্যবহুল জ্ঞ্যান থাকেনা। অথবা ভিন্নভাবে চিন্তা করলে লেখার বিষয় গুলো নিয়ে তেমন একটা সময় খরচ করতেও অনেকটা কৃপণতার ভুমিকা পালন করি আমি। যে কারণে পর্যাপ্ত সময় থাকার পরেও লেখা হয়না।
মাঝেমধ্যে এরকম ও হয় যে, কোন বিষয়ে লিখবো সেটাই নির্দিষ্ট করে ভাবতে পারিনা। অর্থাৎ এই যে, "করিনা" "হয়না" পারিনা" নামক শব্দগুলো দ্বারা আচ্ছন্ন, আমার মধ্যে সময়ের প্রতি অবহেলার এবং নিজের স্বাধীনচেতা মনটাকে সংকোচিত করে রাখার একটা প্রবণতা রয়েছে।
দিনশেষে এরকম হয় যে, আমি নিজেই কোন বিষয় গুরুত্ব দিয়ে লেখিনা। গুরুত্ব দেইনা কেন? কারন, নিজের প্রতি বা নিজের লেখার প্রতি নিজেরই বিশ্বাস কম। অর্থাৎ আত্মবিশ্বাসের অভাব। কনফিডেন্স লেভেলটা নিচের দিকে থাকায় লিখতে গিয়ে ও অনেক কিছু লেখা হয়না। আর লেখা হয়না বলেই টুকটাক লেখা গুলো ও তেমন কারো কোন উপকারে ও আসেনা।
তাই আমার মতো আমাদের উচিত আশেপাশের সকল বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করা এবং পাশাপাশি সেই বিষয়ের উপর বাস্তব জ্ঞান অর্জন করা। তাতে অবশ্যই দিনে দিনে আপনার আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে উঠবে। একটা সময় আত্মবিশ্বাসের সাহায্যে আপনার লেখা প্রতিটি কথাই মানুষ এবং সমাজ সচেতনতার উপকারে আসবে।
মোড়াল অফ দ্যা স্টোরিঃ "আত্মবিশ্বাসী" হোন।