নারায়ণগঞ্জ শহরটি লাশ,গুম,হত্যার শহর হিসেবে পরিচিত। এই নামটি শুনলেই চোখে
ভাসে শীতলক্ষায় ভেসে উঠা লাশের কথা, সাত টি খুনের (সেভেন মার্ডারের) কথা,অনেক রাজনৈতিক কর্মীর হত্যা ও গুমের কথা। একি সাথে ভেসে উঠে একটা কুখ্যাত পরিবারের নাম।সেই পরিবারের নাম "ওসমান পরিবার।"
Loading......
২০১৬ তে আবার সেই পরিবার আরো একটা ঘটনার সুত্রপাত করলো। একজন শিক্ষক কে কান ধরে উঠবস করালো সেই পরিবারের একজন সদস্য সেলিম ওসমান।স্যারের নামঃ শ্যামল কান্তি স্যার। তিনি একজন শিক্ষক,যাদেরকে সাধারণত মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবেই জানি। তিনি একটা স্কুলের ১৭ বছর ধরে প্রধান শিক্ষক। যার স্নেহ,ভালবাসা, শাসনে অসংখ্য শিশু মানুষ হিসেবে গড়ে উঠেছে।কিন্তু দুর্ভাগা তিনি,কারন তিনি এমন দেশে জন্ম নিয়েছেন যে দেশে শিক্ষক মর্যাদা পায়না,মর্যাদা পায় কুখ্যাত পরিবারের সদস্যরা। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির পছন্দের একজনকে প্রধান শিক্ষক করতে না পেরে শ্যামল স্যারকে পরিকল্পিত ভাবে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত আনার অভিযোগে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে এবং পরবর্তীকালে সেলিম ওসমান শ্যামল কান্তি স্যারকে সকলের সামনে কান ধরে উঠবস করিয়েছেন।
কিন্তু....
আমি মনে ককরি যে, কান শুধু শ্যামল স্যার ধরেনি,কান ধরেছে সকল শিক্ষক, কান ধরেছে পুরো বাংলাদেশ।
আমরা এই ধরনের কুকর্মের বিচার চাই। কিন্তু কার কাছে??
প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাড়িয়ে এই পরিবারের
পাশে থাকার কথা বলেছেন।
কিন্তু বিচার এর দাবি ছাত্রসমাজ করবেই।
ইতিহাস বলে যে, ছাত্রসমাজ তাদের নায্য দাবি সবসময় আদায় করে নিয়েছে। ছাত্রসমাজ জেগে উঠেছে তাই বিচার হবেই। আসুন, বিবেকের সামনে বিচারের দাবিতে
দাড়াই এবং শ্যামল স্যার তথা সকল শিক্ষকের মর্যাদাহানির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই এবং সকলে বোঝার চেষ্টা করি যে, 'বিশ্বাসের ভাইরাসে বিশ্ব আজ আক্রান্ত',
'পাপের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরে পৃথিবী জর্জরিত',
আর
আমাদের সরকারের মন ভ্রমরের চাঁক,
পলকে দেয় আঠারো (১৮) পাঁক।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০০