আমি কোন রাজনৈতিক দলের নেতা নই, তবে রাজনৈতিক সচেতন মানুষ .কিন্তুু কেউ আবার সুশীল ভাববেন না. সুশীলদের আমি মোটে ও পছন্দ করি না. সুশীলদের কাজ অন্যকে ক্রিটিসাইজ করা. নিজের কিছু করার মুরোধ নাই, অন্যের ভুল ধরায় ব্যস্ত.
পাগল ও উন্মাদ ব্যতীত সবাই রাজনীতির সাথে প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষভাবে জড়িত. আমার নিজের ও পছন্দের রাজনৈতিক সংগঠন আছে. আমি যে দলের ই রাজনীতি করি না কেন, সামগ্রিক ভাবে বলতে গেলে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের মূলনীতি, মতাদর্শ কিন্তুু একই. সব সংগঠনের মূল লক্ষ্য সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলা. কিন্তুু এটা খাতা কলমেই রয়ে গেছে, কেউ ধারন করে না. সবাই চেতনা দেখায়, দেশের জন্য কেউ রাজনীতি করে না. রাজনীতি এখন চেতনাভিত্তিক নয়, তেলভিত্তিক. যে যত তেল দিতে পারবে, সে তত বড় নেতা .....
কেউ কেউ মাঝে গিরিস ও দেয় .
বাংলাদেশের রাজনীতি তে মার্ক জুকারবার্গের বিরাট অবদান. এই ভদ্রলোকটি ফেসবুক নামক এক আজবকল আবিষ্কার করছিল বলে আজ রাজনৈতিক এত চর্চা. রাজনীতি এখন দিবস ভিত্তিক. রাজনৈতিক দিবসে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিয়ে বিরাট বড় নেতা হয়ে যাচ্ছে. কেউ কেউ তো আবার একজন জুনিয়র রাখে, যে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রোগ্রামে ভাইয়ের ছবি তুলবে.কিছু কিছু জুনিয়র আছে যারা ভাইয়ের সাথে ছবি তুলতে পারলেই খালাস. পরবর্তীতে ছবি আপ্লোড দিয়া এক্কেবারে বিরাট একখানা তেলায়নের কাজ করে ফেলে. এভাবে হাঁটি হাঁটি পা পা করে একসময় সে ও বড় ভাই হয়ে যায়.তার ও জুনিয়র আসে ..তারাও তাকে তেল দিতে থাকে. এভাবেই চলছে.কিন্তুু
ঔ রাজনৈতিক দলের যখন খারাপ সময় থাকে এই সব দুধের মাছিগুলোর কোন খবর থাকে না.প্রতিনিয়ত এরা বিভিন্ন বুলি দেয়.মুখে এক কথা, কাজে কর্মে তার বিপরীত. মুখের কথার ১০% ও যদি বাস্তবায়ন হত, তবে দেশে এত অরাজকতা থাকত না. রাজনীতি হয়ে গেছে বয়ানবাজী.
রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটায় চাঁদাবাজিতে, নারীঘটিত কাজে, পরীক্ষা পাশে, চাকরিতে .........
এই প্রভাব যদি একাডেমিক উন্নয়নে হত, তবে কোন ডিপার্টমেন্ট শিক্ষকবিহীন থাকত না ...রাজনৈতিক নেতাগুলো যদি সৎ হত, তবে কেউ ষুষ দেয়া বা নেয়ার চিন্তা করত না, মানুষের বাক স্বাধীনতা খর্ব হত না. যারাই ক্ষমতায় থাকে, বাক স্বাধীনতা শুধু সেই দলের নেতাদের ই থাকে ...
সবাই সব কিছু বুঝে কিন্তুু মুখ বুঝে থাকে. কারণ সবাই যে নিজের টা নিয়ে ব্যস্ত. মুখ খুললে তো নিজেরটা হারাবে.
যাই হোক, সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক ..
মানুষের মঙ্গলকামী, দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ তৈরী হোক,
তেলবাজ, দিবসভিত্তিক রাজনীতিবিদ চাই না.........
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:০৮