চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলা একটি বেশ্ বড় উপজেলা। যার কারণে একে মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ নামে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। তবে, উপজেলার প্রশাসনিক এলাকা হিসেবে মতলব দক্ষিণ কে গণ্য করা হয়।
মতলব দক্ষিণে স্বাস্থ্য সেবার জন্য একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে ও ডজনখানেক প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার রয়েছে। সুবিশাল গ্রামীণ জনগনের জন্য স্বাস্থ্য সেবার নামে চলে ব্যাপক দুর্নীতি ও চিকিৎসার নামে হয়রানি। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেটিকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে দুর্নীতির বিষ-জাল।
উক্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হবার পর থেকেই সৎ ও অভিজ্ঞ সরকারি কর্মকর্তা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোঃ ইসহাক মিয়া এই সব দুর্নীতি গুলোকে চিহ্নিত করতে থাকেন। তিনি মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উভয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকুরি করেছেন। অতঃপর, তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে পদন্নতি পাবার পর শুরু করেন চিকিৎসা সেবাকে ঘিরে চলতে থাকা দুর্নীতি বন্ধের একটি অগ্রনী সংগ্রাম। কিন্তু এই দুর্নীতি বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে দুর্নীতিবাজদের আঘাতে আজ তিনি আহত হয়ে পরে আছেন বিছানায়।
বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনাকে পূঁজি করে কাপুরুষের দল গত ৬ এপ্রিল ডাক্তার ইসহাক এর সরকারি বাস ভববে দিনের আলো নিভে যাবার পরই হামলা চালায়। তাঁর উপর চড়াও হয়ে যাচ্ছে-তাই ভাবে তাঁকে শারীরিক ভাবে আঘাত করা হয়। সরকারি আসবাব-পত্র ভাংচুর করে। হয় লুটপাট। তাঁর সন্তানরা কেউ বাসায় ছিল না বলে রেহায় পেয়ে যায়। কিন্তু, এটা কী কারো কাম্য ছিল? দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার এই ফলাফল! পুলিশ এর ভূমিকা নিয়ে রয়েছে ব্যাপক সন্দেহ। ঘটনার দিন পুলিশকে পোন করেও কোন সাহায্য পাননি ডাক্তার ইসহাক। ঘটানার পর থানায় মামলা করতে গেলেও প্রথমে মামলা নিয়ে ওসি অপারগতা প্রকাশ করে। এরপর তবদির করে মামলা করলেও পুলিশের ভূমিকা সেই “ঝিমানো মুরগির"মতই থেকে গেছে। যার ফলে আজ এই পরিবারটি ভুকছে চরম নিরাপত্তাহীনতায়।
ডাঃ মো ইসহাক মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হবার পর পরই বন্ধ করেন চাঁদাবাজী। আর এই চাঁদা তুলতো স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রভাবশালী লোকজন। প্রত্যেক ডাক্তারকে দিতে হলো মাসিক হারে চাঁদা। যার ফলে প্রথম পর্যায়ে আঘাতটা পরে সাংবাদিকদের উপর, যারা টাকার লোভে এই মহান পেশাটিকে কলংকিত করছে। এরপরই স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে দখল হওয়া জায়গা পুনরুদ্ধার করে সীমানা প্রাচীর করতে গেলে মূল বিরোধ এর জন্ম নেয়। কারণ, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক-জন জমি দখল করে ঘর তৈরী করে ভাড়া দিয়ে টাকা আয় করতো। এমনকি চলতো মদ আর জুয়ার মত কাজ। যার ফলে পরম ভাবে ক্ষতির সম্মূখিন হয় এইসব চাঁদাবাজ আর দুর্নীতিবাজরা। তাছাড়া কয়েকজন দুর্নীতিগ্রস্থ ডাক্তারদের হুশিয়ারি করেন ডাক্তার ইসহাক। যার ফলে “চোরে চোরে মাসতুতু ভাই” এর মত ঘটনার উতপত্তি হয়।
বিভিন্ন সময় দুর্নীতিবাজরা অনেক অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করেছে ডাঃ মোঃ ইসহাক মিয়ার বিরুদ্ধে। কিন্তু তাদের ঐ কুৎসিত প্রচারণা ভেস্তেযায় সততার কাছে। কিন্তু, আজ এই সৎ লোকটি পরোছে বিছানায় অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়েও যাকে কিছু কাপুরুষের হাতে মার খেতে হয়েছে। জাতির কাছে লজ্জার আর কী হতে পারে। তাঁর সন্তানরা ও এলাকাবাসী এই হামলার সুষ্টু বিচার দাবি করছে। প্রশাসন কী জাগ্রত হবে??
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৪৯