বাংলাদেশে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ
যদি গড়ে প্রতি সেমিসটারে প্রত্যেকের টিউশন ফি ৪০ হাজার টাকা হয়
তবে সরকার ৭.৫% হারে ভ্যাট পাবে ১৫০ কোটি টাকা, যা বছরে ৪৫০ কোটি টাকা।
(এর জন্যই আন্দোলন)
অথচ সরকার ছাত্রদের থেকে ভ্যাট না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইনকাম ট্যাক্স নেয় তাহলে হিসাব টা কেমন হয়ঃ
৫ লক্ষ শিক্ষার্থীর সেমিসটার প্রতি টিউশন ফি ৪০ হাজার হারে ২০০০ কোটি
যা বছরে ৬০০০ কোটি টাকা
যদি ১৫% হারেও ট্যাক্স নেয় তবে সরকার পাবে বছরে ৯০০ কোটি টাকা
(যেহেতু এইদেশে আমার মত চুনোপুটীকেও ২০% হারে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয়)
তাহলে সরকারে লাভ কোথায়…? সরকার কি তা জানেন না……?
জানেন…।। তাহলে সমস্যা টা কোথায়…?
---ট্যাক্সের টাকা আদায় করায়।
সরকার মনে করে ঐ সব চোরেরা কোন না কোন ভাবে ট্যাক্স ফাঁকি দিবে।
সেই তুলনায় ছাত্রদের কাছ থেকে খুব সহজেই ভ্যাট আদায় করা যাবে।
(যেমন ভোক্তা হিসাবে আমরা শপিংমল বা চেইন সপ গুলিতে ভ্যাট দিতে বাধ্য থাকি)
--- ঐ সব রাঘব বোয়াল চোর, যারা বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে নিজের ফায়দা লুটছে, তাদের কাছ থেকে সরকার কতটা ট্যাক্স আদায় করতে পারবে তা মনে হয় আমারাও কম বেশী সবাই জানি।
এখানে একটা বিষয় না বলে পারছি না, অনেকে বলছেন সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ভ্যাট না থকলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন থাকবে। সরকারের কেন এই দ্বৈত নীতি। খুবই যুক্তি সঙ্গত প্রশ্ন। তাই এই আন্দোলন কে আমি স্বাগত জানাই। তবে সাথে সাথে আরো একটি প্রশ্ন আমার মাথায় আসে যা হল, সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন যদি ৫০ টাকা হয় তবে বেসরকারীর ৫০০০ টাকা কেন? এই বৈষম্য নিয়ে কি কেউ কোন আন্দোলন করছেন?
যেখানে ছাত্ররা প্রতি বছর ৬ হাজার কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয় নামক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিচ্ছে, আন্দোলন করছে না, বাবার পেনশন, মায়ের গয়না, সব বিক্রি করে ঐ সব কসাইদের হাতে তুলে দিচ্ছে বিনা বাক্যে, কোন আপত্তি ছাড়া, সেখানে সরকারের কোষাগারে অল্পকিছু টাকা দিতে এই আন্দোলন করাটা কতটা যুক্তি সঙ্গত।
তাই বলছি, চলুন না এই আন্দোলনের পাশাপাশি টিউশন ফি কমানোর আন্দোলন টাও শুরু করি। তাহলে কিছুটা হলেও বেঁচে যাবে আমাদের বাবা মায়ের রক্ত পানি করা টাকার একটা অংশ। যা দিয়ে আমার ও আপনার বাবা মা আমাদের কিনে দিতে পারবে একটা ডেক্সটপ কিম্বা ল্যাপটপ। যে স্বপ্নটা এই মধ্যবিত্ত জীবনে আমি ও আপনি দেখি, প্রতিদিন, প্রতিমূহুর্তে।