+) পজিটিভ সাইনটা খুবই দারুন। সাইনটা দেখলে X-Y অক্ষের কথা মনে পড়ে। মোট চারটা ভাগ থাকে সেখানে। অতি পজিটিভ, অতি নেগেটিভ আর পজিটিভ-নেগেটিভ মিলে মিশে একটা পাঁচমিশালী অবস্থা। তাই যখন কাউকে বলা হয়- 'Be Positive' তার মানে দাঁড়ায় তাকে সব অবস্থায়, সব অক্ষে টিকে থাকতে হবে, স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সেখান থেকে ভালোটুকু বের করে নিতে হবে। এসব ধনাত্মক মানুষদের জন্যই বোধ হয় শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলে গেছেন সেই বিখ্যাত কথা-"গোলমালে মাল আছে, গোলটা ছেড়ে মাল-টা নেবে"। তো এসব মানুষ যদি তাদের পজিটিভনেসের খাতিরে ফরমালিন মেশানো আম খেয়ে মনকে সান্ত্বনা দেয় এই বলে যে-'যাক, পাকস্থলিতে ফরমালিন গেছে; ওটা আর পঁচার কোন চান্সই নেই' তবে তাদের বাহবা দিতেই হয়। যদি কাক তাদের গায়ে বিষ্ঠা ত্যাগ করে তখন তাদের যুক্তি হবে-'যাক, রাস্তাটা তো পরিষ্কার থাকলো, নোংরা হলোনা'! এভাবে বেড়ে চলা আশাবাদী মানুষের সংখ্যা অনেক। তারা স্বপ্ন দেখতে জানে। হতাশাগ্রস্থ নৈরাশ্যে ডুবে তারা পৃথিবী-র সমস্ত কিছুকে একমনে অভিশাপ করে চলেনা। যদি পৃথিবী টিকে থাকে তো থাকবে শুধু তাদের জন্যই। নেগেটিভরা হারিয়ে যাবে। তাদের যেতেই হবে নিম্নগামী অক্ষাংশে এবং তাদের কেউ দেখতে পাবেনা। সবচেয়ে বেকায়দায় আছে আরেকটা প্রজাতি। যারা মানুষের মুল বা আদর্শের মৌলবাদ নিয়ে পড়ে আছে। এদের বিশ্লেষন করলে রুট ওভারের রেজাল্টের মতো +/- উত্তর পাওয়া যায়। এরা থেকেই পজিটিভ, থেকেই নেগেটিভ। এরা অর্ধেক পানিকেও ঘৃণা করে আবার অর্ধেক ফাঁকা গ্লাস কেও। এরা খালি চিৎকার করে বলতে থাকে- "শালা, জল যখন দিলি তখন কাঁচের গ্লাশে দিলি কেন? ফাঁকা না ভরা তা বাইরে থেকে বোঝা যাবে কেন?" সম্ভবত এরাই সবচেয়ে কৌশলী ধাঁচের। এদের ভাবনাতেই চিপসের প্যাকেটগুলো বাতাসে ফুলে ওঠে আর নিজেকে পজিটিভ দেখায়। এদের ভাবনাতেই সাবানের ফেনা ছাপিয়ে মসৃণ ঊরু ক্যামেরার ফোকাসে চলে আসে।
মানুষ চার অক্ষের বাইরে যেতে পারেনা। মানুষ দুইটা সাইনের বাইরেও যেতে পারেনা। যে মানুষগুলো পারে তাদের সমাজ কখনো দাম দেয়নি আর দেবেও না। সমাজের চোখে তাদের দাম নেই। তারা শূণ্য (০); না ধনাত্মক, না ঋণাত্মক।। এদের একটা আলাদা পৃথিবী থাকে যাকে দেখতে পাওয়ার ক্ষমতা 2D মানুষকুলের নেই।