আমাদের জ্ঞান অর্জনের বাধাগুলো দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে। বিশ্ব যখন জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে যাচ্ছে। মহাকাশ যাত্রা করছে। দ্রুত নিরাপদযান আবিস্কারের চেষ্টা করছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছে। মানুষের জীবনকে উন্নত আর সহজ করার চেষ্টা করছে। আমরা শুধু ভেড়ার পালের মত চেয়ে চেয়ে দেখছি। সে রকম হতে চেষ্টা করছি না। এই মুহুর্তে ইসরাইল করোনায় মৃত্যূ শূন্য। করোনা নিয়ন্ত্রনে সফল হয়েছে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে। যে মুহুর্তে আমরা শত শত মরছি প্রতিদিন। আক্রান্তেরও সংখ্যা বাড়ছে। আমরা প্রতিনিয়ত পড়ে আছি অনর্থক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে। যা থেকে জাতি হচ্ছে বিভক্ত। আর আমরা হয়ে যাচ্ছি বিশ্বের সবচে বড় সমালোচক জাতি আর বিতার্কিক বিচারক! আসলে কি আমরা আমাদের জন্য কিছু করছি?
বলা হয়ে থাকে একটা দেশের সবচে বড় গজব রাজনৈতিক অস্থিরতা। আল্লাহ্ রহমতে এটা স্বাধীনতার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এই গজব বহাল আছে। এই গজব থাকার কারণেই দেশ এগিয়ে যেতে পারছে না। আমাদের দেশে রাজনৈতিক আদর্শ বিলুপ্ত হয়েছে। এখন যেটা দেখা যায় ওটাতে রাজ আছে নীতি নেই। এই সব দেখে দেখে বড় হওয়া একটা জাতি মানুষিক দৈন্যদশা থেতে বেরিয়ে আসতে পারবে না। আজকে আমরা হুজুর ভাড়া করে ধর্মীয় কথাবার্তা শুনে মজা নিয়ে শুনে চলে আসি। হুজুরও ভাড়া খেটে তার পারিশ্রমিক নিয়ে যায়। এরপর এইসব ধর্মীয় কথাবার্তা আমরা কি কাজে লাগাই। রমজান মাসের ডাকাতিগুলোই প্রমান করে দেশে ধর্ম ব্যবসা চলে আর কিচ্ছু না। মানবতার শিক্ষাটা ধর্ম থেকে নেই না। বিদ্রূপ হিংসা নোংরামি বাজে চিন্তা করে ব্রেইন নষ্ট করছি আর দোষ দিচ্ছি সব ইহুদি নাসারার চক্রান্ত! ইহুদী নাসারা চক্রান্ত করে মোবাইল বানাই ফেলছে। তারা চক্রান্ত দ্রুতঘামী ট্রেন আবিস্কার করে ফেলছে। করোনা ভাইরাস বিরোধী টিকা আবিস্কার করছে। আমরা তো চক্রান্ত আবিস্কার করেই ক্ষান্ত হইছি। নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য অন্যকে দোষী করা আমাদের জাতিগত অভ্যাস।
আমাদের দেশে ভালো কোন গবেষনাগার নেই। খুবই কম শোনা যায় বাংলাদেশ নতুন কিছু করছে। নতুন জাতের ধান আর রোবট বানোনাকে এখন ভীষন বড় গবেষণার অংশ মনে করা হচ্ছে। অন্যদেশ থেকে প্রযুক্তি কিনে দেশের বিশাল অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এসব ব্যাপারে সরকারকে খুব একটা তৎপর হতে দেখা যায় না। বরং প্রযুক্তি কেনার ব্যাপারে সরকার খুবই উদার। আমাদের যে এটা নেই, সেটা নেই, কেন নেই এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর আসলে মানুষ নাই। আমাদের নিয়ে মাথা ঘামানোর জন্য মমতাজরা আছে। বাসার কাজের খালারা বাংলা রিডিং পড়ে শোনানোর জন্য সংসদে যায়। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নে তাকে কি বলেছে এইসব ব্যাখ্যা হয় সংসদে। এসব শুনে যারা মুচকি হেসে আনন্দ নেয় তারা কিভাবে দেশকে টেনে নিবে সেটাই আমার মাথায় আসে না। বরং তাদের টেনে নেবার কারণেই তো দেশের বারোটা বাজতেছে। আমরা এসব নিয়ে ট্রল করে সময় নষ্ট করি। মাথা ঘামানোর কথা যার, আমার মনে হয় তারও এই চিন্তা মাথায় নাই। ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেলে বিদেশী চক্র। কোন অস্ত্র দিয়ে ডাকাতি করতে হয়নি। আমাদের ভাড়া করা প্রযুক্তিতে যে ফাঁক ছিলো সেটা দিয়েই তারা টাকা লুট করেছে। বিষয়টা টের পেতেও ছয় মাস লেগেছে। একই ঘটনা আবারও শোনা যাচ্ছে। আমার কেন পারছিনা সেই চিন্তা সরকার প্রধানের থাকতে হবে। এই চিন্তা ছলিম উদ্দিন কমিল উদ্দিনের মাথায় ঘুরপাক খেলে চলবে না।