মনের ভেতরে থাকা ক্যান্সারের থেরাপি দেবার সুযোগ নেই। কারণ সেই অজ্ঞাত ক্যান্সার দেখা যায় না। কিন্তু অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকে কর্মে। পুরো মুসলিম সমাজে হিংসা আর আত্ম অহংকারে ভরে আছে। সেখানে পড়ে আছে শুধু ধর্মীয় ক্যাসিংটা আর ভেতরে সুযোগের অভাবে ভালো মানুষিকতা ওঁত পেতে আছে। মানুষকে ছোট করা, তুচ্চ তাচ্ছিল্য করা সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বহুকাল ধরে। এসব নিয়ে পড়ে থাকার কারণে ইবনে সিনা, ওমর খৈয়ামের মত বিজ্ঞানিদের বিকাশ ঘটছে না। বেরিয়ে আসছে নোংরা নোংরা সব শাসক শ্রেণী। যারা সীমিত ক্ষমতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করে থাকে।
পৃথিবী জুড়ে ধর্ম পালনে শ্রেষ্ট হলেও প্রকৃতভাবে ধর্মকে লালনে সবচে নিচে অবস্থান করছে মুসলিমরা। একারণে লেবাসধারী লোকজনও ওজনে কম দেয়, মানুষ খুন করে, দূর্নীতি করে, ধর্ষণ করে, মানুষ ঠকানোর মত নোংরা কাজগুলো করে থাকে। ননমুসলিমরাও যে করে না তা না। যেখানে ইসলাম ধর্মের মানুষই বেশি সেখানে অন্য ধর্মের মানুষকে বলা পক্ষপাতিত্ব হয়ে যাবে।
ইহুদি ধর্মের মানুষরা জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে যাচ্ছে। নিজ ধর্মের মানুষের প্রতি তারা সমভাবে উধারও। ছোট বেলা থেকে তাদের সম্পর্কে নৈতিবাচক কাহিনী শুনে বড় হয়েছি। এখনও শুনছি। তাদের তৈরি ফেসবুকে তাদেরই সমালোচনা করছি আমরা! তাদের পক্ষ হতে এর চেয়ে বড় কনসিডর আর কি হতে পারে। অথচ তারাও নির্যাতক শ্রেণী। কয়েকযুগ ধরে ফিলিস্তিনের সাধারণ মুসলিমদের উপর নিয়মিত হত্যাকর্ম চালায়। বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা সেটার শব্দহীন নিন্দা জানিয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। কোন মুসলিম কোন মুসলিমের জন্য না। কিন্তু প্রতিটা ইহুদি নিজেদের ভেতরে বিশ্বজুড়ে গড়েছে বৃহৎ ঐক্য। ইসরাইলের ভেতরে সরকার আর মানুষের সম্পর্কে জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে একটু ঘাটলে বোঝা যায় তারা কতটা এগিয়ে। মুসলিমরা প্রচুর ওয়াজ মাহফিল করে ধর্ম প্রচারের ভং ধরলে ভেতরে ভেতরে প্রচুর বানিজ্য ছাড়া আর কিছুই না। কারণ টাকা ছাড়া কেউ ওয়াজ করতে চায় না। কারো কারো পেশা হচ্ছে ওয়াজ করা। মূলত নীতি কথা বললেও নীতিতে নেই তারা।
সত্য শুনে কেউ ব্যথিত হলে ক্ষমা করবেন। সমালোচনা সহ্য করতে না পারলে কিছু করার নাই।