করোনাকে সাময়িক সমস্যা মনে করে যারা অস্থায়ী ট্রুডো সাজতে চেয়েছিলো তাদের কথা মনে করলে একদিন বাঙ্গালী ছিলাম গানটা ঠাস করে মাথায় আসে। সমস্যা না বুঝে আবেগী বক্তব্য দিয়ে মানুষে বিভ্রান্তি প্লাস ভয় দেখানোর কারণে কথিত লকডাউন উপযুক্ত কাজে আসেনি। মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেসন, লকডাউন কথায় ভয় পেয়ে যায়। যদিও বিষয়টা সহজ বাংলায় প্রচার করলে হয়তো কাজে আসতো। অন্যদিকে বিদেশ ফেরত রোগীদের কার্যকরী পরিক্ষা করানো যায়নি বরং প্রতিনিয়ত পরিক্ষা করানোর সংখ্যাও নিলজ্জের মত বলা হতো। আস্তে আস্তে প্রকাশ পেলো ভুয়া পিপিই, মাস্কের ভয়াবহ খবর। স্বাস্থ্য খাতের ভয়াবহ দূর্নীতি নজরে আসতো না যদি করোনার দেখা না মিলতো। সব অবস্থাপনার মধ্যে পুলিশ ভাইরা প্রাণপন চেষ্টা করে গেছে লকডাউন কার্যকর রাখতে কিন্তু কাজে আসেনি। অন্যদিকে থেমে নেই দূর্নীতি, টাকা পাচারের গল্প। এসব গল্পের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানোর খবর। এ যেন দিশে হারা ম্যাজিক্যাল জাতি।
সামাজিক দূরত্ব নয় বরং শারিরিক দূরত্ব বললে বিষয়টা জাতীয়ভাবে বিভ্রান্ত হতো না। অনেকেই এখনও বিষয়টা নিয়ে বুঝে না। অনেকে মনে করে ক্রস দেয়া চেয়ারে বসা যাবে না কিন্তু সিঙ্গেল চেয়ারে ডাবল বসা জায়েজ! বাহিরে বের হলেই দেখা যায়। তাছাড়া অনেকে মাস্ক থুতনিতে দিয়ে কথা বলে। প্রধানমন্ত্রীকে এরকম করতে দেখা গেছে। এটা আবার অনেকেই কপি করেছে যারা তার অনুসারী। অথচ মাস্ক ব্যবহারের একটা সুন্দর নিয়ম আছে।
সরকারের হাতে যথেষ্ট সময় ছিল। কালক্ষেপন আর মিথ্যাচারের হাহাকারের মধ্যে বেরিয়ে এসেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মালেক ভাই। মানুষ জানলো নির্বাচন কমিশনারে নুরুল হুদার মত দেখতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মালেক ভাই। যিনি মানবিক বিভাগের ছাত্র প্লাস রিয়েল অযোগ্য মন্ত্রী। মূলত তিনি একজন ব্যবসায়ী। যিনি ডাক্তার তিনি আবার শিক্ষামন্ত্রী। যেমন খুশি সাজো টাইপের অবস্থা। সুতরাং কেউ সফল না। ব্যর্থতা তাদের চেয়েও জনগনের বেশি। কারণ জনগন অযোগ্য লোকজনকে মেনে নিয়েছে দুপুর আড়াইটার দুঃসংবাদ শোনার জন্য।
এখন করোনা হবে এই ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে বেঁচে থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। খুব দ্রুতই দুপুর আড়াইটার খবরের সংখ্যাটা আপনার সংখ্যাটা আসবে এমন না। কারণ পরীক্ষা করাতে হলে অনেক দিন বেঁচে থাকতে হবে। এই সম্ভবনা থাকলে আপনি দুপুর আড়াইটার খবরে সংখ্যা হয়ে আসতেও পারেন। দয়াকরে সতর্ক থাকুন।
আসুন দেশকে ভালোবেসে দেশের মানুষকে নেতা বানাই। বিদেশকে যারা ভালোবাসে ওদের তাড়াই।