দেশে প্রতিদিন চাল চুরি হচ্ছে। কোথাও কোথাও শুধুমাত্র দল থেকে বহিস্কার করেই দায় এড়ানো হচ্ছে। বহিস্কার করে দায় এড়ানো বিষয়টা বেশ পুরোনো। কারণ এই চোরগুলা আবার নিয়ম করে দলে ভিড়ে যায়। পুলিশে ধরে নিয়ে গেলেও রাজনৈতিক বিবেচনা আর স্থানীয় অন্য চোরদের সহায়তায় দ্রুত আইনের ফাঁক দিয়ে ডেলিভারি হয়ে মাটিতে বিচরন করে। আবার চুরি করে কোন রকম সংকোচ ছাড়াই। এভাবেই চোর চক্র বাংলাদেশে থেকেই যাচ্ছে
সরকার প্রধানকে দেখা যায় যে কোন বিষয় যখন চরম আলোচিত হয় তখন তিনি হস্তক্ষেপ করেন!! এবং কড়া হুশিয়ারি দেন। বেশিরভাগ সময় সেটা স্রেফ হাুয়ারির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তিনি চাইলে আসামী খালাস পায়। তিনি চাইলে এক সপ্তাহের মধ্যে খুনির ফাঁসি হয়। অথচ চোরের উপযুক্ত বিচার হবে না এটা কোন কথা!! এই মহা দূর্যোগে তিনি যদি দুইটা চোরকে দলমত ভুলে ক্রসফায়ারের নির্দেশ দেন। আমি শিওর চাল চুরি প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। এখন শোনা যাচ্ছে ওয়ার্ডে দলীয় কমিটি করে চাল বিতরন করতে! এভাবে চুরি ঠেকানো সম্ভব! সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিলে বহুলাংশে চুরি ঠেকানো যাবে এটা সবাই বুঝতেছে প্রধানমন্ত্রী বুঝতেছেন না! সুতরাং চোররা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে নখ দন্তহীন বাঘ মনে করে চুরি করেই যাচ্ছে।
দেশের মানুষের মন জয় করা খুব সোজা। সেদিন যখন বললেন প্রয়োজনের বিদেশ থেকে ডাক্তার আনবেন। আমি দেখেছি বহু মানুষ আবেগে আপনার কথা লক্ষ লক্ষবার শেয়ার করেছে। তারা খুব পজেটিভলি নিয়েছে। সেটা আদৌ সম্ভব নাকি অসম্ভব কেউ যাচাই করতে যায়নি। এরপরই দেখলাম মানুষের সেবা করতে যেয়ে ডাক্তার মইন মারা গেছেন! তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি মৃত্যুর পরে আপসোস ছাড়া! অাফসোস আপনার মত প্রধানমন্ত্রীর জন্যও যিনি প্রসংসা শুনতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন আর সমালোচনাকারীদের জন্য অন্য ব্যবস্থা রেখেছেন!