পৃথিবীর সবচে বুদ্ধিমান এবং দ্বিতীয় ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রী আছে আমাদের দেশে। তিনি কোন ভুল করেন না। তিনি সমালোচনা গ্রহণ করেন এবং সহ্য করেন। কোন প্রকার তেলবাজকে পশ্রয় দেন না। কেউ তার প্রশংসা করলে তিনি মুচকি হাসেন না। তার গৃহীত সকল পজেক্ট প্যাকেজ পদক্ষেপ সবকিছুই ছিল নিখুত। তিনি চীন এবং কানাডার থেকেও উত্তম পদক্ষেপ নিয়েছেন। কেউ কাজে ফাঁকি দেবার সুযোগ পাচ্ছে না। তিনি আইনের সুষম সুশাসন বজায় রেখেছেন। তিনি দূর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করার পর থেকে আজও কেউ দূর্নীতি বা চুরি করে না! তিনি ছাড়া কারো মাথায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার বুদ্ধি আসেনা। তাছাড়া তিনি প্রচন্ড একজন ধর্মভীরু এবং দেশের জন্য রহমত।
করোনা হানা দেবার আগেই তিনি সক্ষমতার কথা বলেছেন। যারা তখন সমালোচনা করেছেন এখন তারা অনুতপ্ত হয়ে হোম কোয়ারেন্টে পালন করছ। তাঁর সক্ষমতার প্রমান ইতিমধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এখন কেউ চিকিৎসার অভাবে রাস্তায় কাতরাচ্ছে না। কেউ খাবারের জন্য ছুটছে না। সবার ঘরে ঘরে খাবার ডেলিভারি হচ্ছে। তিনি যে প্যাকেজ ঘোষনা দিয়েছেন। সেখানে গরীবদের ঋন দিবেন আর বড়লোকদের খাবার দিবেন। যার যা দরকার সেটা দিয়েছেন।যাতে কেউ হরিলুট করতে না পারে।
কেউ এখন চাল চুরি করার সাহস পাচ্ছে না। ঘোডাউনে চাল চুরি করে কেউ মজুদ করছে না। কেউ অভাবে লজ্জায় আত্মহত্যা করছে না। ঢাকার মেয়রগুলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মানুষের ঘরে ঘরে খাবার দিচ্ছে। তাঁর অধীনস্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেশাগ্রস্ত না। সেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা দিদি আসার দুইমাস থেকে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি সমন্বয় করে প্রতিদিন মিডিয়াতে সুন্দর করে কথা বলেন। তার কথাতেই বোঝা যায় উনি সফলতার সাথে করোনা নিয়ন্ত্রন করে যাচ্ছেন। সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী আবুল দাদার ভাই বর্তমান অর্থমন্ত্রী মোমেন ভাইর কাছে আমেরিকা হেল্প চেয়ে। এসব নিয়ে দেশবাসী গভীরভাবে গর্বিত হয়ে যাচ্ছিলো!! রোহিঙ্গাদের সফলভাবে তিনি মিয়ানমারে প্রেরন করেছেন। উনার যোগ্যতা নিয়ে মানুষ চমৎকার ভাবে বিশ্ময় প্রকাশ করেছেন। এত কিউট মন্ত্রীগুলা নিয়ে দেশবাসী আজ গর্বিত।
উপরোক্ত বিষয় বিবেচনা করে সহজে অনুমান করা যায় আমাদের নেতারা সত্যবাদী। তারা আমাদের সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ডের সাথে তুলনা করেছেন। দেখুন সবাই কিন্তু করোনা নিয়ে প্রচন্ড টালমাটাল অবস্থায় আছে কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, মন্ত্রীর নাতিপুতি আর তেলহীন মহান কর্মী বাহিনী দ্বারা সারাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এটা কিন্তু আমেরিকার চেয়ে কম না।
তাই আসুন- মনোবল ধরে রাখি। বাচলে শহীদ মরলে গাজীতে বিস্বাস রেখে একটু হোমকোয়ারেন্টে অবস্থান রাখি। ঘরে বসে বিনোদন তৈরি করুন বাহিরে নয়।