যে কোন দূর্ঘটনায় যাচাই বাচাই না করেই অনেক সময় একজনকে হিরো বানানো হয়। রানা প্লাজা যখন ধ্বংশ হল, তার প্রায় ১৭ দিন পর রেশমা নামক একটা মেয়েকে উদ্ধার করে তাকে হিরোইন বানানো হল। যদিও সে কিভাবে বেঁচে ছিল এরকম অনেক প্রশ্নের জবাব ছিল না। থাকবেও না। কারণ সব মিথ্যা নিখুত হয় না।
হালি আর্টিজনে জঙ্গি হামলায় নিয়ত হয়েছিল ফারাজ হোসাইন নামক একটা ছেলে। তিনি ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের নাতি। তার মৃত্যুর পর প্রথম আলো দিয়ে রটানো হয়েছে বন্ধুকে বাঁচাতে যেয়ে জীবন দিয়েছেন! এই ঘটনার সাক্ষী শুধুমাত্র প্রথম আলো। তারা ইচ্ছামত ঘটনা সাজিয়ে প্রত্রিকায় ছাপিয়ে প্রমান করার চেষ্টা করে গেছে। বাস্তবতা হচ্ছে, সে রকম কোন ঘটনা অন্যকোন প্রত্রিকায় দেখা যায়নি বা কোন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছে এমন না। উল্লেখ্য প্রথম আলো ট্রান্সকম গ্রুপের একটা প্রতিষ্ঠান।
সর্বশেষ দেখলাম ইউএস বাংলা বিমান নিয়ে। সেখানে নিহত হয়েছে অর্ধশতাধিকের বেশি মানুষ। আমরা তাদের জন্য দোয়া করতে পারি। কোন ধরণের বাজে তথ্য হাজির করতে পারি না। দুঃখজনক হলেও সত্য, সেখানে মরহুম সহকারী পাইলট পৃথিলা রশিদকে অনর্থক হিরো বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। এতে করে মূলত তাকে আরো ছোট করা হচ্ছে! তিনি দশজন নেপালীর জীবন বাঁচিয়েছেন এমন কথা বেঁচে ফেরা কোন যাত্রী বলেনি। আমাদের দেশের কিছু সংবাদ মাধ্যম এসব ঘটনা বানিয়ে প্রচার করছে। খবরের ভেতরে পড়ে দেখি এরকম কোন প্রমান নেই। হয়তো তারা অনুমান করে খবর বানাচ্ছে! যদিও পাইলট এবং কন্ট্রোলারের ভুলবোঝাবুঝিতে দূর্ঘটনাটি ঘটেছিল। সেখানে পাইলট নিজের জীবন বাঁচাতে পারেনি অন্যের জীবন বাঁচাবে কিভাবে?
আরো ভাল করে জানতে দয়া করে নিচের লিংকটা পড়ুনঃ
http://bdfactcheck.com/factcheck/47