কয়দিন আগে জাপানিজ টিভিতে একটা অনুষ্ঠান দেখিয়েছিল। সেই অনুস্ঠানে এমন কয়েকজন মানুষকে হাজির করা হয়েছিল যারা দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর আবার জীবন ফিরে পেয়েছে। মাসের পর মাস হয়ত এই পৃথিবীর কোন অনুভূতিই তাদের স্পর্শ করেনি। কিন্তু কেমন ছিল তাদের সেই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষন, সেই অভিজ্ঞতা তারা শেয়ার করেছেন ঐ অনুস্ঠানে। তাদের সবার অভিজ্ঞতায় একটা অদ্ভুদ মিল ছিল। জাপানিজ এই মানুষগুলো কোমায় থাকা অবস্থায় অন্য একটা জগতের ডাক পেতেন, সেখানে তারা তাদের মৃত আত্মীয়স্বজনদের অনুভব করতেন, যারা তাদের ডাকতেন নতুন কোন স্বর্গীয় জগতে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা অনুভব করতেন একটা বিস্তির্ন মাঠ বা একটা সমু্দ্রের ওপারে মৃত দাদা দাদী নানা নানী বা এইধরনের পরিচিত মানুষজন ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাদের ডাকছেন।
অদ্ভুদ সুন্দর ব্যপার হলো, আমাদের দেশেরও কোমা থেকে ফেরত আসা যেকোন মানুষকে জিজ্ঞেস করলে মোটামোটি একই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা শুনবেন। এই অদ্ভুদ সুন্দর পৃথিবীর সব দেশের মানুষেগুলোই হয়ত একই রকমের কথা বলবে।
ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে বাস করা ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের মানুষগুলোর এই অদ্ভুদ সাদৃশ্য মৃত্যুর পর অন্য একটা জগতের অস্তিত্বকেই কি জানান দেয়? যুগে যুগে কালে কালে মানুষের কোন সাধনাই বিফলে যায় নি কোন দিন, আর বেচে থাকার সুতীব্র সাধনায় মানুষ যে বহুকাল আগেই সফল সেটা কি আর বলতে হয়। নতুন জগতে প্রবেশের একমাত্র দরজাটাই যে মৃত্যু, সেই চিরসত্য দরজায় কড়াঘাত করতে মানুষের কেন এত ভয়? চিরসত্য চিরসুন্দর এই দরজায় কড়াঘাত করা যেখানে সকল ধর্মের সকল মানুষের জন্য সমানভাবেই আসবে, সেখানে ধর্মতো অতি ঠুনকো এক পাগলামী বৈ কিছুই নয়। মৃত্যুর মত একটা অনিন্দ্যসুন্দর বিষয়ে সবাইকে যেখানে সমান হয়ে যেতে হয়, সেখানে ধর্মের বিভাজনতো শুধুই ছেলেখেলা!
পুনশ্চ: মৃত্যু চিরন্তন কিন্ত মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে আমার এই প্রযোজনা হয়ত নিছকই যুক্তিহীন, বিজ্ঞানে এসব অভিজ্ঞতার ব্যখ্যা বেশ ভালভাবেই বলা আছে হয়ত। তারপরও প্রশ্ন করাই যায়, What exactly are Near-death experiences (NDEs)?
Are they hallucinations?
Spiritual experiences?
Are they simply chemical changes in the brain and sensory organs in the moments prior to death?
Or Proof of life after death?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩৫