somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মৃত্যুর মত একটা অনিন্দ্যসুন্দর বিষয়ে সবাইকে যেখানে সমান হয়ে যেতে হয়, সেখানে ধর্মের বিভাজন শুধুই ছেলেখেলা

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কয়দিন আগে জাপানিজ টিভিতে একটা অনুষ্ঠান দেখিয়েছিল। সেই অনুস্ঠানে এমন কয়েকজন মানুষকে হাজির করা হয়েছিল যারা দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর আবার জীবন ফিরে পেয়েছে। মাসের পর মাস হয়ত এই পৃথিবীর কোন অনুভূতিই তাদের স্পর্শ করেনি। কিন্তু কেমন ছিল তাদের সেই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষন, সেই অভিজ্ঞতা তারা শেয়ার করেছেন ঐ অনুস্ঠানে। তাদের সবার অভিজ্ঞতায় একটা অদ্ভুদ মিল ছিল। জাপানিজ এই মানুষগুলো কোমায় থাকা অবস্থায় অন্য একটা জগতের ডাক পেতেন, সেখানে তারা তাদের মৃত আত্মীয়স্বজনদের অনুভব করতেন, যারা তাদের ডাকতেন নতুন কোন স্বর্গীয় জগতে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা অনুভব করতেন একটা বিস্তির্ন মাঠ বা একটা সমু্দ্রের ওপারে মৃত দাদা দাদী নানা নানী বা এইধরনের পরিচিত মানুষজন ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাদের ডাকছেন।
অদ্ভুদ সুন্দর ব্যপার হলো, আমাদের দেশেরও কোমা থেকে ফেরত আসা যেকোন মানুষকে জিজ্ঞেস করলে মোটামোটি একই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা শুনবেন। এই অদ্ভুদ সুন্দর পৃথিবীর সব দেশের মানুষেগুলোই হয়ত একই রকমের কথা বলবে।
ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে বাস করা ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের মানুষগুলোর এই অদ্ভুদ সাদৃশ্য মৃত্যুর পর অন্য একটা জগতের অস্তিত্বকেই কি জানান দেয়? যুগে যুগে কালে কালে মানুষের কোন সাধনাই বিফলে যায় নি কোন দিন, আর বেচে থাকার সুতীব্র সাধনায় মানুষ যে বহুকাল আগেই সফল সেটা কি আর বলতে হয়। নতুন জগতে প্রবেশের একমাত্র দরজাটাই যে মৃত্যু, সেই চিরসত্য দরজায় কড়াঘাত করতে মানুষের কেন এত ভয়? চিরসত্য চিরসুন্দর এই দরজায় কড়াঘাত করা যেখানে সকল ধর্মের সকল মানুষের জন্য সমানভাবেই আসবে, সেখানে ধর্মতো অতি ঠুনকো এক পাগলামী বৈ কিছুই নয়। মৃত্যুর মত একটা অনিন্দ্যসুন্দর বিষয়ে সবাইকে যেখানে সমান হয়ে যেতে হয়, সেখানে ধর্মের বিভাজনতো শুধুই ছেলেখেলা!

পুনশ্চ: মৃত্যু চিরন্তন কিন্ত মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে আমার এই প্রযোজনা হয়ত নিছকই যুক্তিহীন, বিজ্ঞানে এসব অভিজ্ঞতার ব্যখ্যা বেশ ভালভাবেই বলা আছে হয়ত। তারপরও প্রশ্ন করাই যায়, What exactly are Near-death experiences (NDE­s)?
Are they hallucinations?
Spiritual experiences?
Are they simply chemical changes in the brain and sensory organs in the moments prior to death?

Or Proof of life after death?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩৫
১৩টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×