মস্তিস্ক একটা অভূতপূর্ব এন্টেনা! যার মস্তিস্কের গড়ন যতটা উন্নত, তার সেই এন্টেনার পাউয়ার ততটা বেশি। আর সেইসব উন্নত এন্টেনার মস্তিস্ক বিভিন্নসময় বিভিন্নভাবে ভিন্নগ্রহ বা ভিন্নজগতের এলিয়েনের সাথে প্রায়সই যোগাযোগে সক্ষম হয়। কেউবা ভাবের আদান প্রদানেই সীমাবদ্ধ থাকে, আবার কেউবা তথ্যের বিনিময়ের। বর্তমান বিশ্বে এলিয়েনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলা একজন স্বার্থপর এবং এলিয়েনদের বিশ্বস্ত গুপ্তচরের দায়িত্ব পালকারী মানুষ হলো স্টিফেন হকিংয়স। স্কটল্যন্ড ইয়ার্ডের এলিয়েন ক্রিমিনাল ফোর্সের একদল গবেষক অতি সম্প্রতি বুঝতে সক্ষম হয়েছেন যে অতি অল্প বয়সে এই হকিংসের সাথে ভিন্নজগতের একদল বুদ্ধিমান এলিয়েনের যোগাযোগ স্থাপিত হয় এবং ঐসকল এলিয়ানরা অতি কৌশলে হকিংসের সমগ্র মস্তিস্কের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়। হকিংস তখন সবেমাত্র University of Cambridge এ ভর্তি হয়েছেন। হঠাৎই একদিন ব্যলেন্স হারিয়ে তিনি সিড়িতে পড়ে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হোন। আসলে সেইসময়টাতেই তার মস্তিস্ককে এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগের প্রক্রিয়ায় নেয়া হয়। পৃথিবীর বড় বড় ডাক্তাররা তখন তাকে amyotrophic lateral sclerosis (ALS) এ আক্রান্ত বলে চিহ্নিত করেন, এবং জানিয়ে দেয়া হয় যে তিনি আর বেশিজোড় বছর দুয়েক বাচবেন। তার মটর নিউরনগুলো ধীরে ধীরে অকেজো হতে শুরু করে, তখন তার বয়স মাত্র ২১ বছর। কিন্তু অন্যদিকে তার মস্তিস্কের নিউরন শক্তিশালী হতে থাকে, এবং সফলভাবে তিনি এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হোন। হকিংস ধীরে ধীরে তার হাত, পা, শ্রবনশক্তি, কথা বলার ক্ষমতা সবই হারাতে থাকেন । ১৯৮৫ সালে জেনেভায় এক সায়েন্টিফিক কনফারেন্সে গেলে সেখানে এলিয়েনরা তার উপর শতভাগ নিয়ন্ত্রন প্রতিস্ঠা করেন। ডাক্তাররা তাকে নিমোনিয়ায় আক্রান্ত বলে চিহ্নিত করেন। সেখানেও মৃত্য তাকে নিয়েই নিয়েছিল, পৃথিবীর তাবৎ ডাক্তারকে ভুল প্রমানিত করে তিনি বেচে রইলেন কিন্তু শ্বাষ প্রশ্বাস নেয়ার ক্ষমতাটাও তখন হারালেন। তাকে বাচিয়ে রাখা হলো লাইফ সাপোর্ট দিয়ে। শতভাগ বাকশক্তিও হারালেন তিনি কিন্তু অবাক ব্যপার হলো তার মস্তিস্ক এলিয়েনদের সাথে নানান তথ্যের আদানপ্রদানের মাধ্যমে আরো ধারালো আর শক্তিশালী হতে থাকে। 26 April 2007 সালে পুরোপুরি প্যারালাইজড হকিংসকে নাসা মহাশুন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করে, হকিংসের ইচ্ছে অনুযায়ী। ৪০ বছরে প্রথমবারের মত মহাশুন্যে হকিংস হুইল চেয়ার ছারা ঘুরে বেড়াতে সক্ষম হোন এবং মহাশুন্যের বাস্তব অভিজ্ঞতা তিনি এলিয়েনদের পাচার করেন। স্কটল্যন্ড ইয়ার্ডের এলিয়েন ক্রিমিনাল ফোর্সের গবেষকরা ইদানিং ধারনা করছেন যে এলিয়ানদের জন্য তথ্য সংগ্রহের জন্য তাদেরই অনুরুধে হকিংস মহাশুন্য ভ্রমনে গিয়েছিলেন। আজো হকিংস পৃথিবীর মানুষদের প্রতারিত করে এলিয়েনদের স্বার্থ রক্ষা করে চলছেন। আর মানুষের দৃস্টি অন্যদিকে রাখার জন্য মাঝে মাঝেই স্রস্টা সৃস্টি নিয়ে দুই চার কথা বলে বেড়াচ্ছেন।
কিছু কিছু গবেষক তার মস্তিস্কের নিউরন সিস্টেমের উপর কাজ করে কিছু অদ্ভুদ সিগনালের সন্ধান পেয়েছেন, যেসব সিগনাল কোন মানব মস্তিস্ক দিতে পারে না! কিন্ত অনেক গবেষকের ধারনা, হকিংসের উপর সক্রিয় গবেষনা করতে গেলে এলিয়েনরা তাকে আর বাচিয়ে রাখবেনা। তার চেয়ে ভাল মানুষের মনুষত্ব যদি তার জাগ্রত থাকে, তবে স্রস্টা ও সৃস্টির অনেক রহস্যই হয়ত হকিংস তার জীবদ্দশায় সমাধান করে দিয়ে যাবেন।
পুনশ্চ১: মস্তিস্ক বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সম্পর্কিত নয়। আদিম যুগ থেকেই কিছু কিছু মানুষের মস্তিস্কের পাউয়ার অনেক বেশি ছিল আর তাদের সাথে প্রায়ই ভিন্নজগতের যোগাযোগ হতো। আমাদের নবিজী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ভয়াভহ উন্নত মস্তিস্কের অধিকারী ছিলেন, তারও যোগাযোগ হয়েছিল কিছু এলিয়েনের সাথে। কিন্ত সে যুগে মানুষের তথ্য প্রযুক্তিতে ততটা উন্নত ছিল না। এই যোগাযোগে কখনো তার বক্ষ বিদির্ন হয়েছে, কখনো তিনি জ্ঞান হারিয়েছেন। কিন্তু হকিংসের মত কখনোই এলিয়েদের নিয়্ন্ত্রনে চলে যাননি। বরং আমাদের নবিজী সেই এলিয়েনদের সহায়তায় তখনকার প্রেক্ষাপটে অশান্তিময় আরবজাতির ভাগ্য উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে গেছেন!!!( এটা আমার উর্বর মস্তিস্ক প্রসুত কিছু চিন্তা বা কল্পনা। আর এই চিন্তা করার ক্ষমতা আছে বলেই আমরা মানুষ, দয়া কইরা এই জন্য কেউ গালি প্রদান করিবেন না)
পুনশ্চ ২: উপরে উল্লেখিত হকিংসের জীবনের সকল ঘটনাই ১০০% সত্য, শুধুমাত্র স্কটল্যন্ড ইয়ার্ডের এলিয়েন ক্রিমিনাল ফোর্সের (বাস্তবে নাই, আমিই নাম দিছি) গবেষক হিসাবে একমাত্র অনিগিরিই ছিল!!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩২