আশরাফ মাহমুদ এব্ং আর সবাই......... লেখার বীপরীতে যুক্তি চাচ্ছি.....
আমি ২ ঘন্টার মতো আছি. . ..
আজ থেকে ১০০, ২০০, ৩০০, ১০০০ বছর পর মেয়েদের শারীরিক কাঠামোর কতটা পরিবর্তন হবে? মেয়েদের শরীর কতটা পেশীবহুল হবে? মেয়েরা তখন ছেলেদের সাথে পান্জা লড়াই এ জিতবে? এখন যদি বাংলাদেশ জাতীয় দলে অথবা অষ্ট্রেলিয়ার জাতীয় ক্রিকেট দলে ছেলে-মেয়েকে একসাথে সুযোগ দেয়া হয় তাহলে দলে কয়টা মেয়ে খেলার সুযোগ পাবে? একটাও না। অনেকে হয়তো বলতে চাবেন মেয়েদের তো সেভাবে ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে না!! ঠিক আছে, আজ থেকে ১০ বছর যদি ছেলে-মেয়েকে সমান ভাবে ট্রেনিং দেয়া হয় তবে কি ১০ বছর পর জাতীয় দলের ১২ জনের মধ্যে ৬ জন পুরুষ আর ৬ জন নারী খেলার সুয়োগ পাবে? এই চর্চাটা যদি ১০০ বছর চলে তবে কি ১০০ বছর পর ৬-৬ হবে? কখনোই হবেনা! মেয়েদের শারীরিক কাঠামোর কোনো পরিবর্তন হবেনা!!! (তবে আজ থেকে ৫০০ বছর পর যেসব নারী রোবট বানানো হবে তারা পুরুষ রোবট থেকে শক্তিশালী হবে। হা হা হা. . .) এইরকম অনেক শারীরিক উদাহরন দেওয়া সম্ভব।
সেদিন বাস স্টপেজে দাড়িয়ে ছিলাম। কাকরাইল মোড় থেকে একটু সামনে(ফাল্গুনের কাউন্টার)। লাইনে দাড়িয়েছি। অনেক বড় লাইন। সবার শেষেই দাড়ালাম। আমার পর দু'জন মহিলা আসল। তারা লাইনে দাড়াল না। গাড়ী আসার সাথেসাথেই সবার আগে উঠে গেল। পেছন থেকে কয়েকজন এটা নিয়ে কথা বলা শুরু করল। আমার সাহস হলোনা লোকগুলোকে কিছু বলার। আমার কাছে মনে হলো এই লোকগুলোর কিছু অনুভূতির মৃত্যু হয়েছে।
আর এক দিন আমি বাসে দাড়িয়ে আছি। আমার সামনে একটা মধ্যবয়স্কা দাড়িয়ে আছেন। আমি যেখানটায় দাড়িয়ে তার সামনের সিটটা খালি হল, আমি তাকে বসতে দেয়ার জন্য কিছুটা পেছন চলে আসলাম, কিন্তু আমার অন্য পাশের লোকটি সিটটিতে বসে পড়ল। মধ্যবয়স্কা আমার দিকে তাকিয়ে কিছুটা অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেন! এছাড়া আর কিছুই করার ছিলোনা।
মেয়েদের মানসিক ব্যাপারটা নিয়ে আর একদিন বলব। তবে মেয়েরা মানসিক দিক থেকে কয়েকটা ব্যাপারে পুরুষের চেয়েও অনেক শক্তিশালী।
আমি জোর দিয়ে বলব, প্রতিযোগিতা ও মেধায় নারীরা কখনোই পুরুষের সমমান হতে পারবেনা।
আমি নারী-পুরুষের পার্থক্য করি। তবে নারীকে অবমাননা করার দুঃসাহস আমার নাই।
(আমার মন্তব্য থেকেই সরাসরি)
যে লেখার প্রেক্ষিতেঃ সম-অধিকারের অর্থ কি? Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ১:৩০