সুইডেন চার ঋতুর দেশ। ( ভোর, সামার, হোষ্ট, ভিনতার )। আমার মনে হয় সুইডিশ ঋতু গুলো বাংলা করলে ঠিক এভাবে বলতে হবে বসন্ত, গ্রীষ্ম,(হেমন্ত+শরৎ)ও শীত। যাইহোক চারটি ঋতুতেই চারটি ভিন্ন ভিন্ন রূপে অপরূপা সাজে দেখা যায় সুইডেনের প্রকৃতিকে । কোন ঋতুর চেয়ে কোনটা বেশী সুন্দর আমার পক্ষে বলা মুশকিল, যদিও আমার কাছে গ্রীষ্ম ও শীত এই দুইটা খুব বেশী ভালো লাগে অন্যদুটোও খারাপ লাগে না ।
মার্চ, এপ্রিল ও মে বসন্ত কাল, জুন,জুলাই ও আগষ্ট গ্রীষ্মকাল, সেপ্টেম্বর , অক্টোবর ও নভেম্বর হেমন্তকাল, এবং ডিসেম্বর , জানুয়ারী ও ফেব্রয়ারী শীতকাল। যদিও গ্রীষ্মকাল ছাড়া অন্য শীতই থাকে তবে গরম দেশ থেকে আসলে প্রখম এক,দুই বছর গ্রীষ্মকালও তারকাছে শীতই মনে হবে ।
মার্চ থেকে সুইডেনের মরা প্রকৃতি জেগে উঠতে শুরু করে , মরাগাছগুলো নতুন ,নতুন ডাল,পাতা নিয়ে নব জীবন শুরু করে মের শেষে রং বেরঙের মনোহারী ফুল আর নয়ন জুরানো সবুজে ভরে যায় সুইডেনের প্রকৃতি যা সহজেই যে কাউকে মুগ্ধ করবে।
যাক গা, ঋতু নিয়ে এত কথা এখন বলব না পরে কোন সময় বলব।এটা মুলত উইন্টার ছবিব্লগ। তবে আমার আগের ছবি ব্লগ থেকে দুইটা গাছের, চার ঋতুর চারটা ছবি থাকছে প্রথমে আপনাদের সুইডেনের প্রকৃতি সম্পর্কে ধারনা নেওয়ার জন্য।
উপরের ছবি দুটো মে থেকে আগষ্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ের দৃশ্য।
এটা আগষ্টের শেষ থেকে সেপ্টেম্বর সময়ের দৃশ্য ।
এটা নভেম্বর ডিসেম্বর সময়ের ।
আর এটা তো বুঝতেই পারছেন ! তবে এটা কখনো ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে মার্চ পর্যন্ত চলে।
গত সপ্তাহে আমাদের এখানে প্রচুর স্নো হয়েছে ,যদিও সুইডেনে স্নোর কারনে কখনো যাতায়াতে খুব বেশী সমস্যা হয় না, এটা এখানকার প্রতিবছরের দুর্যোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা না থাকলেও খুব দ্রত সময়ের মধ্যেই অনন্ত গাড়ী চলাচলের রাস্তা গুলো পরিস্কার করে ফেলে ঠিক এরকম ।
এটা আমাদের বাসার সামনের হাঁটার রাস্তা ।
এটা একটা গাড়ি চলার রাস্তা।
মাকে জবে যেতে হবে তাই বাচ্চাকেউ ডে- কেয়ারে দিতে হবে কিন্ত এই স্নোতে বাচ্চার ট্রলি ঠেলে নেয়া কি কষ্ট সেই ভাল বুঝে আমার চেয়ে যার ছোট বাচ্চা আছে ( স্নোতে ট্রলির চাকা আটকে যায়) তাতে কি! এর জন্য আছে বিকল্প ব্যবস্থা ।
এটার নাম ফুলকা এটা দিয়ে সাধারনত স্নোর সময় বাচ্চারা উপর থেকে নীচে পিছলে পরে ,মায়ের ও উপকার হচ্ছে মন্দ না।
এখানে মা তার বাচ্চাদের নিয়ে হালকাই খেলছে ফুলকা দিয়ে।
ভোর বেলায় জানালা দিয়ে তাকিয়ে এমন দৃশ্য দেখে কারো মন ভালো না হয়ে পারেই না ।
।
কিন্ত গাড়ীর দিকে তাকালে যে মন খারাপ হয়েই যায়।
আসুন বাসার সামনের খোলা বারান্দায় বসে একমগ কফি খান। ওহ্ সরি এক প্লেট স্নো খান ।
বাহিরে ফুল পাতা কিছু নেই তাতে অসুবিধা নেই আমার ঘরের ফুল দিয়েই আপনাদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:১৩