রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট চমৎকার একটা জায়গা। বর্ষাকালে যেতে পারলে খুব ভালো লাগত। আমাদের গন্তব্য থেকে সকাল ১০টার দিকে সিএনজি নিয়ে রাতারগুল গেলাম। আমরা যেখানে ছিলাম সেখান থেকে এক ঘন্টার মত লাগল যেতে।
দুধ চা সাগরে ঘুরে এলাম ইয়ে মানে পানির কালার দেখে তাই মনে হয়েছিল , যেহেতু বর্ষাকাল ছিলনা, পানি কম থাকাতে পানির রঙ মাটির কালারের সাথে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল।
১।
পথের এক জায়গায় রাতার গুল যাওয়ার সাইনবোর্ড চোখে পড়েছে। আমরা সিএনজি থামিয়ে এখানে ছবি তুলেছিলাম।
২।
নৌকা দিয়ে যাওয়ার সময় এমন ছোট ছোট গাছের ঝোপ চোখে পড়বে।
৩।
দুধ চা সাগর।
৪।
৫।
৬।
ঘাট থেকে একটু সামনে থেকে তোলা এই ছবি তাই পানি এখানে কম দেখা যাচ্ছে।
৭।
নৌকায় যাচ্ছি আমরা , আমাদের অবশ্য দেখা যাচ্ছেনা। আমরা অদৃশ্য আছি। ণৌকা চলছিল আর আমি গলা ছেড়ে গান করছিলাম। কে কি ভাবলো কেয়ার করিনি। কারন এত সুন্দর জায়গা দেখে খুব ভাল লাগছিল।
৮।
৯।
১০।
নৌকা দিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর এই টাওয়ার দেখা যায়। অবশ্য আমরাই মাঝিকে বলেছিলাম টাওয়ারের কাছে নিয়ে যেতে। অনেকেই জানেনা যে এখানে টাওয়ার আছে। যার কারনে টাওয়ার না দেখেই চলে আসে।
১১।
টাওয়ারের উপর থেকে তোলা
১২।
টাওয়ারের ভেতরের ছবি।
১৩।
টাওয়ার থেকে তোলা। বর্ষার সময় এই জায়গা পানির নিচেই থাকে
১৪।
টাওয়ার থেকে তোলা
১৫।
আমরা নৌকা থেকে নেমে জংগলের ভেতর ঢুকেছিলাম। আমাদের মাঝি মারুফ-ই বলছিল আপনারা এখানে নেমে ছবি তুলতে পারেন। আমাদের নামতে দেখে পরে কয়েকটা নৌকা এখানে থেমেছিল।
১৬।
নৌকা থেকে নেমে খুব ভেতরে যাইনি আমরা। কারন একটা ভয় ছিল , কখন কি চলে আসবে কে জানে।
১৭।
বর্ষাকালে এই গাছগুলো একদম পানির নিচে থাকে।
মাঝি মারুফ কে আমাদের খুব ভালো লেগেছিল। সহজ সরল একটা কিশোর ছেলে। ও নৌকা চালানোর সময় অনেক গল্প করছিল। কোন কোন নাটক, বিজ্ঞাপনের শুটিং এখানে করা হয়েছে তাই বলছিল। বর্ষার সময় এখানে বড় নৌকা লাগে আর সে সময় নাকি এক নৌকায় অনেকেই উঠতে পারেনা কারন পানি বেশি থাকে বলে। বর্ষার সময় টাওয়ারের তিন তলা পর্যন্ত পানি থাকে। গাছগুলোর বেশিরভাগ অংশ পানির নিচেই থাকে।
আহা! সোয়াম্প ফরেস্ট, কত সুন্দর। কোন এক বর্ষায় আমার আবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে । সিলেটে গেলে আসলে সময় নিয়ে যাওয়া উচিত যাতে ইচ্ছেমত ঘুরা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮