প্রিয় নীল পিঁপড়া,
কেমন আছস? শুনলাম তুই নাকি চারশ বিশ হইয়া গেছছ? তুই যে একটা খাটাস আগে বুঝিনাই। নতুন কইরা মনে হইতাছে যে আমি আসলেই বোকা মানুষ মানে ডিজিটাল বোকা । তোর আর আমার ভালোবাসা তাইলে কি শুধুই কাল্পনিক ভালোবাসা? শুনলাম খালি ঘরে কুনোব্যাঙ এর মত নাকি বইসা থাকস তাও আবার ল্যাপটপ কমপিউটার নিয়া। রাতেও ঘুমাস না নিশাচর নাকি তুই? তোর মত একটা ফালতু বালক কে আমি পছন্দ করি ভাবলেই আমার চক্ষে বৃষ্টিধারা বইতে থাকে। সকাল, বিকেল পুকুরপাড় এ বইসা চানাচুর খাই আর ভাবি তোর জুন মাসে আসার কথা আছিল। আমার লগে দেখা করবি আর তুই কিনা অদৃশ্য হইয়া আছস! তরে একবার কাছে পাই আগে, পরে শিক কাবাব বানামু। নষ্ট ছেলে কোথাকার। জনৈক গন্ডমূর্খ –র কাছ থেইকা জানতে পারলাম তরে নাকি কালোপরী কালো জাদু করছে? শুইনা খুব দুঃখিত হইছি। আমার মত উৎকৃষ্টতম বন্ধু হারিকেন জ্বালাইয়াও খুইজা পাবিনা। শ্রাবন জল ঝরিতেছে বিধায় তোর বাড়িতে যাইতে পারি নাই। ভাবতাছি আজ আমি কোথাও যাব না । মনে পড়ে তোর, ছোট বেলায় এক লগে ক খ গ ঘ ঙ পরছি। একদিন তুই আমার পেন্সিল চুরি করছিলি। পেন্সিল চোর কইয়া তরে কত খেপাইছি! ডানাহীন পাখির মতন ঘুইরা বেড়াইতাম । ঘুড্ডী লইয়া ঘুড্ডির পাইলট হইতি । বটবৃক্ষ -র কথা মনে আছে? দৌড়াইয়া যাইতাম ওইখানে গিয়া বটেরফল কুড়াইতাম। দূরের মেঘ দেখতাম। ইচ্ছে মত ছুটে বেড়াতাম আমরা । খেয়া ঘাট এর মাঝি হতি। নদীর পাড়ে চোরাবালি দেখতে যে কি মজা লাগত। এই তোর মশা মামার খবর কিরে? কি ভয় পাইতাম , বিকারগ্রস্ত মস্তিষ্ক সম্পন্ন লোক এবং দুঃখবিলাসী ছিল । তুইনা কইছস গ্রামের কান্ডারী হইবি অহনতো মনে হইতাছে তুই একটা কান্ডারী অথর্ব হইবি। কত স্বপ্ন ছিল তোর তুই চেয়ারম্যান ০০৭ হইবি । পরিবেশ বন্ধু থুক্কু জনগনের বন্ধু হইবি! শুনলাম সামনের মাসে তুই নাকি ঢাকাবাসী হইবি? ঢাকা যাইয়া কি দায়িত্ববান নাগরিক হইবি? তুই কি নিজেরে প্রিন্স হেক্টর ভাবছ? তুইতো দেখতাছি দিকভ্রান্ত পথিক হইছছ। মনডা কইতাছে তরে ধইরা কাঁচা শুঁটকি মাছ আর চিরতার রস খাওয়াই ! আমারে চিনস তোর অদ্বিতিয়া আমি । তোরে নিয়া কত স্বপ্ন ছিল , নীল সাগর এর পাড়ে একটা শান্ত কুটির বানামু আমরা। আমাদের স্বপ্ন কি তাহলে অপূর্ন –ই থাকবে? তুই কি চাছ তোরে আমি শ্রীঘরে পাঠাই? তোরে এত ভালবাসি ভাবতেই মনে হয় অদ্ভুত -আমি যাক, আমি আশা করি তুই সাদা মনের মানুষ হবি। আর যদি তা না হইতে পারিস তাহলে তোকে আমি মাইনাচ কইরা দিমু। আর হ্যাঁ নিজের দিকে খেয়াল রাখিছ, এই গরমে ভিটামিন সি বেশি কইরা খাবি।
তোর শুভ কামনায় –
রাধাচূড়া ফুল