ঠিক এমনই মেঘলা দিনে তুমি আর আমি ঘরের বাহিরে পা রাখব....
সকালের কাক ডাকা ভোরে চারদিকে যখন আলো আধাঁরির খেলা চলবে.... ঘুম ভাঙা চোখে দুজনে তখন নগ্ন পায়ে বকুলতলায় গিয়ে দাঁড়াব.... অনুদের বাড়ির পেছনের দিকের বকুলতলাটায়। রাতের বৃষ্টির পানি সকালে বকুলের পাতায় পাতায় জমে থাকবে.... গাছ ঝাকাঁ দিতেই ফুলের সাথে কিছু বৃষ্টিও ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে পড়বে আমাদের গায়ে, আমাদের মুখে। সেই আলতো বৃষ্টিতে ভিজে শাড়ির আচঁলভর্তি বকুল কুড়িয়ে তবেই বাড়ি ফিরব। ছোটবেলার মতোন মা আবারও বকুনি দিবে... তবুও ভেজা গায়েই বকুল ফুলের মালা গাথঁতে বসে পড়ব। সেই মালা হাতে জড়াতেই তোমার আমার গা বকুলের গন্ধে মো মো করবে। সেই ফুলের মালা শুকিয়ে গেলে বহুদিন বন্দি থাকবে আমাদের বইয়ের ভাঁজে।
অথবা কোন এক মাতালি হাওয়ার বিকেলে আমরা গিয়ে দাঁড়াব মাঠের কোণের সেই বিশাল কৃষ্ণচূড়া গাছটার তলে কিংবা পুকুরের ধারের সেই জারুল গাছটার তলে। বাতাস আমাদের কৃষ্ণচূড়া কিংবা জারুলের রঙে ঠিক রাঙিয়ে যাবে.... গায়ের বসনায় কখনও কৃষ্ণচূড়ার লাল কিংবা জারুলের বেগুনী রঙ উকিঁ দিবে ঠিক রংধনুর মতোন৷ অসময়ের কোকিলের সাথে আমরাও তাল মিলিয়ে ডাকব... কুহু.. কুহু.... সেই কোকিল আরও তারস্বরে ডেকে উঠবে কুহু....কুহু...
অথবা কোন এক বাদলা দিনে আমরা সেই পুকুরের সাথে হেলানো আমগাছটা থেকে ঝুপ করে লাফ দিব পুকুরের জলে.... তারপর পুকুরে ডুব দিয়ে বৃষ্টির শব্দ শুনব, ভেজা মাটির উষ্ণ গন্ধ আমাদের মাতাল করে দেবে।
অথবা এমন এক বৃষ্টিস্নাত বিকেলে আমরা সেই পদ্মদিঘিতে ভেলা ভাসাব.... খোঁপায় বেলিফুলের মালা আর একগুচ্ছ পদ্ম হাতে আমরা হারিয়ে যেতে চাইব কোন এক অজানায়। একদিন আমরা অবশ্যই বৃষ্টিবিলাসে গা এলিয়ে দিব.... অবশ্যই দিব।
কারণ বহুবছর আমি এই শহরের চিলেকোঠায় বন্দি। এবার আমার মুক্তির আস্বাদ চাই।
ছবি: গুগল
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৩০