ঈদের দিন- জর্দা স্পেশাল উইথ ম্যাংগো বার কুচি........
ঈদের দিন- স্পেশাল পোলাও.....
ইয়াম্মী ইয়াম্মী ডেকোরেটিভ পুডিং........
ঈদ স্পেশাল ডেজার্ট......
খানাপিনা কাবাব স্পেশাল........
চলে গেলো কোরবানী ঈদ! সব্বাই অনেক অনেক খানাপিনা করে ক্লান্ত শ্রান্ত সেটা জানি, কর্মক্ষেত্রেও ফিরে যেতে হয়েছে প্রায় সবাইকেই। তবুও কিছু কিছু খাদ্যপ্রেমীদের রসনা বিলাস এখনও কমেনি বরং বেড়েই আছে এখনও আমি সেটাও জানি। আর আমিও আবার খানা পিনা আর খানাপিনার সাজুগুজুতে দারুন আসক্ত প্রাণী আর তাই ভাবলাম এবারে শেয়ার করি কিছুমিছু ঈদ পরবর্তী আমাদের চিরচেনা খাবারের রেসিপি।
পরোটা দিয়ে ঝুরি মাংসভাজা। এই খানাটা কার প্রিয় না আমার খুব জানার ইচ্ছা আছে। ছোট্ট পিচ্চু বাবু থেকে আরম্ভ করে বুড়া দাদুদেরও অনেক অনেক প্রিয় খাবার এই ঝুরি মাংস ভাজা ইয়াম্মী ইয়াম্মী আর সাথে রুটি বা পরোটা হলে তো কথাই নেই। তবে ঝুরি মাংস ভাত দিয়ে খেতেও দারুন মজাদার!!! সে যাই হোক এখন বলি আমার ঈদ পরবর্তী ঝুরি মাংস আর পরোটা দিয়ে নাস্তা খাবার সেদিনের গল্পটা।
নাস্তায় ঝুরি মাংস --- পরোটা দিয়ে খানা পিনা
রেসিপি- ঝুরি মাংস
গরুর মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, আদা বাটা ৩ চা-চামচ, রসুন বাটা ২ চা-চামচ, গোলমরিচ বাটা ১ চা-চামচ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, ধনে বাটা ১ চা-চামচ, আদা, বাটা আধা চা-চামচ, এলাচি ৩/৪টা, দারুচিনি-লবঙ্গ ৩/৪ টুকরো, তেজপাতা ৩-৪টা, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা-চামচ, তেল ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো।
কিভাবে রাঁধতে হবে- প্রথমে কড়াইতে তেল দিয়ে, তেল গরম হলে তাতে আধা কাপ পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভেজে সব মসলা কষিয়ে মাংস দিতে হবে। এরপর পানি দিয়ে মাংস সেদ্ধ করে নিতে হবে। মাংসের পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে। এবার মাংস চামচ দিয়ে বা হাত দিয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঝুরা করে নিতে হবে। অল্প তেলে ১ কাপ পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে ঝুরা মাংস দিয়ে নাড়তে হবে। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে গরম মসলা আর গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে দিতে হবে।
সাথে পরোটা ভাজাটা আর শিখালাম না সবাই জানে......
ঝুরি মাংস ভাজা হলো। টেবিলে দেওয়াও শেষ-
এইবার নাস্তা রেডি-
পরোটা, ঝুরি মাংস আর দুটো ডিমভাজায় মজাদার ইয়াম্মী ইয়াম্মী সকালের নাস্তা।
এত মাংস কি ভালো লাগে??? ধ্যাৎ!!!!!!!!!!! তাই এবার দুপুরের খানা হোক অতি সাধারন ভর্তা ভাজি আর ডাল---
দুইটা কাঁচামরিচ ছেড়ে দিয়ে চুলায় চাঁপিয়ে দিলাম সিদ্ধ ডাল। অবশ্য তার আগে ঘুটাঘুটি শেষ!!!
চুলায় ফুটছে ঢাকনা চাঁপা ডাল-
ডালে দেবার জন্য পেঁয়াজ ভাজি-
ডাল ইজ রেডি-
কঁচুমুখী ভর্তা আর ঢেড়সভাজির সাথে টেবিলে দিয়ে দিলাম ডালের বাটি-
ভাতের ডিশে ভাত ঢেলে দিলাম সাথে-
দুপরের লাঞ্চ টেবিল রেডি এইবার!!!!!!!!
ওহ না না ফ্রিজ থেকে কালকের রাঁধা একটু মগজভুনা আর রোস্টের ভাঙ্গাচুরাও গরম করে দিয়ে দিলাম সাথে-
রাতে নানুবাসায় দাও্য়াৎ খেতে যাই ....... নান্না বান্না নাই....... খাই খাই পোলাও , কোরমা, কালিয়া, কোপ্তা, সালাদ, টালাদ, গালাদ.........
পরদিন আবার ----
নিহারী জ্বাল হচ্ছিলো হাড়িতে।
পেয়াজ বেরেস্তা করা হলো......
নিহারী ইজ রেডী!!!!!!!!!!
ঝটপট রোটি ফ্রিজ থেকে বের করে তাওয়াতে দিলাম।
নিহারী একেবারে রেডি-
নাও ব্রেকফাস্ট ইজ রেডী!!!!!!!!!!!!
এবার শেখাই কলিজা ভুনা-
কলিজা কেবলি চাপলো চুলায়- তেলে ঝালে পিঁয়াজে রসুনে আর গরম মসলায়.........
হয়ে আসছে প্রায় কলিজাভুনা......
রান্না শেষ ..... ঢেলে দিলাম এবার বাটিতে - ইয়াম্মী ইয়াম্মী কলিজাভুনা.......
শেষে হোক চা বানানো-
চুলায় পানি চাপালাম-
ঢেলে দিলাম দু'চামচ দুধ-
দু' চামচ চা এ্যাড করলাম-
চিনি ঢেলে দিলাম মাগে-
ছাকনী দিয়ে চা ছেকে নেই-
চা ইজ রেডি-----------
এইবার টাটা বাই বাই.......
সামুতে আজকাল পোস্ট দিলে নানা সমস্যা । একবারে পাবলিশ হয়না।
মন্তব্য দেখা যায়না মন্তব্য দেখা গেলেও তার উত্তর দেখা যায়না আর তাই এত সমস্যা নিয়ে মাথা গরম না করার জন্য মন্তব্য অপশনটা অফ রাখলাম।
সবাইকে ঈদের বাসী শুভেচ্ছা। ইদানিং বেশি বেশি বিজি হয়ে যাচ্ছি!!!!!!!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৭