ঈদ মার্কেট ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ চক্ষু আটকে গেলো একটা জামা দেখে, আর শুধু আটকালোইনা সাথে সাথে মুখে ফুটে উঠলো মধুর হাসি আর দুই চোখের তারায় আনন্দের ঝিলিক বয়ে গেলো। মন বলে উঠলো, আরে এইতো আমার বন্ধু বিবর্তনবাদীর ঈদ স্পেশাল জামা!!!! তাড়াতাড়ি নিয়ে নিলাম সেটা।
আর কিছুদূর গিয়ে এবার তো আবার টাসকি খাবার যোগাড়! আরে এযে দেখি উধাও ভাবুক স্পেশাল জামা!!সেটাও প্যাকেটে ঢুকালাম।
তারপর যাচ্ছিলাম একটা বাচ্চাদের পোষাকের দোকানের পাশ দিয়ে, দেখি সারে সারে স্পন্জবব ড্রেস সেট।মনে পড়ে গেলো ফ্রুলিংক্স ভাইয়ার কথা।দোকানিকে গিয়ে জিগাসা করলাম ভাই এই ড্রেস কি বড় ছেলেদের পাওয়া যায়। দোকানী এবার একটু বড় বাচ্চাদের মানে ১২/১৩ বছরের ড্রেস দেখালো, আমি বললাম না মানে আরো একটু বড়দের ....। এই বার সে আমার দিকে চোখ কটোমোটো করে তাকালো, বলে কোন বুইড়া ধাড়ির জন্য এই বেবিগো জামা নিতে চান??আমি মহা রেগে গিয়ে বললাম ফ্রুলিংক্স ভাইয়ার জন্য চাই । তখন সে বড়সড় এই জামাটা বের করে দিলো। আর আমিও নিয়ে নিলাম সেটা ভাইয়ার জন্য।
বের হয়ে আসার সময় ঐ বাচ্চাদের দোকানেই পেয়ে গেলাম আরেক বেবি ভাইয়া স্বপ্নজয়ের জন্য স্পেশাল জামাটা।জামাটা আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছিলো।
আরেক দোকানে ভাস্কর বন্ধুর জন্য পেয়ে গেলাম ভাসকর্য্য মন্ডিত এ জামাটা
এবার যেটা পেলাম সেতো দেখছি অন্ধ দাঁড়কাকের জন্যই বানানো হয়েছে!!
বইখাতার দোকানের পাশ দিয়ে যেতে যেতে দেখি , ওমা একি এযে কাব্যের জন্য কাব্য লেখা জামা!!!
যীশু ভাইয়ার জন্যও পেয়ে গেলাম এখানেই
সোনালীডানার জন্য এর থেকে ভালো জামা কি আর হয়??
হারমোনিয়ান তবলার দোকানের পাশ দিয়ে আসতে আসতে দেখলাম ঝুলছে ইমন জুবায়ের ভাইয়ার জামাটা
ওহ !! বলতে ভুলে গেছিলাম বইএর দোকানে আমি আরেকজনের জন্যও জামা পেয়েছিলাম সেটা আমাদের অক্ষরের জন্য জামা।
এটা ভাঙা পেন্সিলের জন্য
মাই গড!!!!!!!!!!!! এবার একি দেখি ত্রিভুজ ভাইয়ার জামা!!!
আকাশ অম্বরের জামাটা আমার সবচাইতে পছন্দ হয়েছে।
এবার পেয়ে গেলাম ধীবর ভাইয়ার জামা
শান্তির দেবদূত ভাইয়ার জামাটা কি রকম শান্তি ছড়াচ্ছে!!
রাতমজুর আর শয়তানের জামাটাও ভালোই হলো মনে হয়
এসব কিনে টিনে বাড়ী ফেরার পথে দেখি ইট ভাঙা স্টলে বিকরি হচ্ছে
যে কেউ দেখলেই বুঝবে এ জামা পাথুরের না হয়ে যায়না।
ট্রাভেল এজেন্সী পার হবার সময় দেখি সেখানে ও ঈদ বাজার জমে উঠেছে। এবারে তাদের ফ্যাশন সৌম্য স্টাইল জামাকাপড়।
পুরান মার্কেটে না তবে নতুন মার্কেটেই পুরাতনের জন্য ঈদ স্টাইলে ছিলো এই পুরান আদলে এই নতুন জামাটা।
এখানে আরো পেলাম এটা ভাঙনের জন্যও।
সবশেষে পেলাম জেরীমনির কিউট জামাটা।
সপিং করতে করতে টায়ার্ড হয়ে গেছিলাম আমি। তাই বাড়ী ফিরে এলাম আজকের মত। ভাগ্যক্রমে পেয়ে গেলাম কিছু স্পেশাল ব্লগার ভাইয়াদের জন্য ঈদ স্পেশাল জামা কাপড়।
তবে বাকীদের জন্য আরেকদিন যেতে হবে আর আপুদের জন্য তো পুরো দুদিন লাগবে।