ডিমপুতুল বানানো খুবই সোজা আর সাথে উপাদেয়ও বটে কারণ ডিম পুতুল বানাতে লাগে শুধুই ডিমের খোলসটা আর ভেতরের সব কিছু মজা করে অমলেট, পোচ, সিদ্ধ যাখুশী একটা বানিয়ে খেয়ে ফেলতে হয়।অবশ্য ডিমটা ভাঙার সময় সোজাসুজি মাঝামাঝি জায়গায় ভাঙা চলবেনা। ভাঙতে হবে ডিমের এক সাইডে আস্তে আস্তে ঠুকিয়ে বা চামচ দিয়ে খুব সাবধানে ঠুকঠুক করে। শুধুই একসাইড।
খাওয়ার পরে খোলসটাতে যেমন ইচ্ছা তেমন মনের মত করে ছবি একে নিতে হবে পার্মানেন্ট মার্কার বা রঙ তুলিতে।ঠিক এইভাবে,
পুরো ছবিটা আকার পরে
জিগজ্যাগ সিজারে কাটাকুটি আর একটু কাগজের ডেকোরেশন
সাজিয়ে দিলাম ডিমবৌপুতুল
এবার বানাবো ডিমবরপুতুল। আবারও চোখমুখ আঁকছি বরপুতুলটার।
মাথার কাছে মানে ডিমের ভাঙা অংশটার কাছে গ্লু লাগালাম হ্যাট পরাবোতো তাই।
কেকবসানোর ছোটো পেপারবাটি দিয়ে মুচড়ে ছোটো করে বরপুতলের মাপের ছোটো হ্যাট বানালাম।
এবারের বরপুতুলটাকে সাজাচ্ছি রঙিন জামাকাপড়ে।
এবার বরপুতুলের জন্য সানগ্লাস বানাই চকচকে র্যাপিং পেপার কেটে।
ওদের নতুন বিয়ে হয়েছেতো। ওরা হানিমুন যাচ্ছে তাই বরটার জন্য এই হ্যাট আর রোদ চশমার ব্যাবস্থা। বউপুতুলটার চাই একটা রঙিন ছাতা নাহলে সানবার্ন হয়ে রঙ পুড়ে যাবে। কেকপেপার আর স্ট্র দিয়ে ছাতা বানানো যায়।
ছাতাটা পেছনে টেপ দিয়ে লাগিয়ে দিলাম।
এবার আমি কাঠমিস্তরীর ফেলে দেওয়া টেবলের পায়ার বাড়তি অংশটুকুতে আইকা লাগালাম। (যেকোনো বোতলের মুখ বা কার্ডবোর্ড বা শক্ত কাগজ ও ব্যাবহার করা যেতে পারে এই অংশে)বসিয়ে দিলাম তাতে নববিবাহিত পুতুলদুটোকে।
এভাবেই বানিয়েছি গল্পরত জোকারবুড়ো।
হাম্পটি ডাম্পটি ও রাগী পাহারাদার
কিষানকিষানী পুতুল
বানিয়ে ফেললাম এক ঝাঁক ডিমপুতুল। সাজিয়ে দেই এবার ঘরের যেখানে ইচ্ছে সেখানে.......
এই দুটো পুতুল স্পেশালী কিষান ভাইয়া আর কিষানী আপুকে দিলাম।