সময় নস্টের পরোয়া করিনা।বাসায় ফিরেই একটু রেস্ট নিয়েই সোজা মার্কেটে দৌড়। তো সেদিন বিকেলে প্ল্যান করলাম আজ বনানী-১১ এ যত বুটিক সপ আছে সব চষে ফেলতে হবে। দেখতে হবেনা কে কি বানালো কি ডিজাইন করলো ডিজাইনাররা!
তো নগর দোলা, কে ক্রাফ্ট, দেশাল এসব ঘুরে ঘুরে কোনোকিছু না কিনে টাইম পাস করতে লাগলাম ইফতারের জন্য। ঢুকলাম গিয়ে অন্যমেলা বুটিকসপে। সালো্য়ার কামিজ দেখছিলাম আর আমার পাশেই সালো্য়ার কামিজ দেখছিলেন এক দম্পতি সাথে মহিলার ছোটো বোন।ছোটোবোন বেশ মোটা সোটা , বড় বোন তার ৪ গুন মোটা।বেশ কিছুক্ষন দেখে শুনে ট্রায়াল দিয়ে দুবোন বেশ মনোক্ষুন্ন হয়ে ফিরে আসলেন। মহিলা কে তার হাসব্যান্ড শুধালেন, কি হল, পছন্দ হল কিছু??
মহিলা ছোটোবোনকে দেখিয়ে বল্লেন এই একটাই শুধু ওর গায়ে ফিট হয়েছে। হাসব্যন্ড জোরে শোরেই জিগ্গাসা করলেন আর তোমার হলনা?মহিলার গলাও বলতে গেলে মাশাল্লা মাইক লাগবেনা।
মহিলাও জোরেশোরেই বললেন যে কটা জামা ট্রায়াল দিলাম তার একটাও আমার গায়ে আটেনা।
হাসব্যন্ড অমনি ক্ষেপে উঠে দোকানী ছেলেটাকে বললেন কি দোকান দিছেন হ্যা যে সব রকম সাইজ মানুষ পায়না? ভদ্রলোক মহা খাপ্পা হয়ে উঠলেন দোকানী ছেলেটার উপর।পারেন তো এই মারেন কি সেই মারেন, কেনো তারা মোটা মানুষদের জামাও বানাইনি এই অপরাধে।
দোকানী ছেলেটা আমতা আমতা করে বল্লো আসলে স্যার আমরা রেডিমেড জামা তো ৪৪/৪৬ এর উপরে তেমন একটা বানাইনা,৪৪/৪৬ মাপের যে কটা ছিলো শেষ হয়ে গ্যাছে।
মহিলা তখন তাড়াহুড়া করে হাসব্যন্ড কে থামাতে গলার স্বর সপ্তমে চড়িয়ে বলতে লাগলো, থামো থামো আসলে তুমি ভাবতেছো আমি জামা না পাওয়াই মন খারাপ করছি ? আসলে ঠিক যে কটা জামা আমার চক্ষে লাগছে তার একটাও আমার গায়ে আটেনা।
মহিলার উচ্চস্বরে কারণ দর্শানো দেখে ও উনার হাসব্যান্ডের মারমুখী চেহারা দেখে আশেপাশের সব মানুষজন মুখ টিপে হাসাহাসি করতে লাগলো। শেষমেষ হাসব্যান্ড একটু শান্ত হয়ে আবারো দোকানীকে জিগ্গাসা করলেন অল্টার করেও কি এইসব জামার সাইজ বাড়ানো যায়না?
দোকানী অপারগতা জানাতে উনি রেগে মেগে দোকান থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এক ঠোটকাটা ভদ্রলোক এতো সব পযর্বেক্ষন করছিলেন উনি বলে ফেল্লেন, বেচারা হাসব্যান্ড, উনি কেনো যে কাপড়ের সাইজ অল্টারের ভাবনা বাদ দিয়ে বৌ্য়ের সাইজ অল্টারের কথা ভাবছেন না?